মানুষ ঈশ্বরের তৈরি পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ জীব, আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলোতে ও পাওয়া যায় দেবতারাও মানুষ জন্ম নেওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে | তাই ফকির লালন একটি গানের মধ্যে বলেছেন, "মানব জনম পাওয়ার আশায় কত দেব দেবতা বঞ্চিত হয়, এই ভালো জনম দিন দয়াময় আমায় দিয়েছো কোন ফলে, আর কি হবে মানব জনম বসবো সাধু মেলে" | অর্থাৎ যেই জনম পাওয়ার জন্য দেব দেবতারা ও ব্যাকুল হয়ে থাকে, আমি কি এমন ভালো কাজ করেছি যে আমি এই মানব জনম পেলাম| যখন আমি মানব জনম পেলাম তখন আমি এই জনম টা কে ভালো কাজে লাগাবো, সৎপথে চলবো সৎকর্ম করবো।
আমরা জানি না যে কখন কোন সময়ের কোন মুহূর্তে আমাদের মৃত্যু হয়ে যাবে, তাই প্রতিটি মুহূর্তে খুশিকে উপভোগ করবো, আজই জীবনের শেষ দিন মনে করে, সেই কাজগুলো করতে হবে যে কাজগুলো না করলে আমরা মরেও শান্তি পাবো না | এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন কি কাজ বাকি আছে, যে কাজ গুলো না করলে মরেও শান্তি পাবনা। প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যাবে |ফকির লালন এই গানের এর পরের লাইনে বলেছেন, "শোন ওরে ও মন রসনা, সামঝা কারো বাঞ্ছা কেনা, লালন বলে কুল পাবেনা, এবার ঠকে গেলে"। ফকির লালনের গানে বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন ভাষার ঝলক দেখা যায় | এই লাইনে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, মানুষের লোভ অর্থাৎ চাহিদার কোন শেষ নেই, একটা চাহিদা পূরণ হতে আরও একটা চাহিদা সৃষ্টি হয়, সেই কারণেই সব কিছু পাওয়ার পরেও মানুষের মনে শান্তি থাকে না, তার পরেও কোন না কোন বিষয় নিজেকে অভাবী মনে হয়।
তাই লালন ফকির নিজের মন কে বলছেন শোন ওরে ও মন রসনা সামঝা কারো বাঞ্ছা কেনা, বাঞ্ছা অর্থাৎ ইচ্ছা বা মনস্কামনা | এমন ইচ্ছা কর বা মনস্কামনা কর যাতে তুমি সদানন্দময়ী থাকতে পারো, যেই প্রাপ্তির পরে মনে কোনো অশান্তি না থাকে, নিজেকে ও অভাবি না মনে হয় | তাই আগে ভালো করে বোঝো তারপর নিজের ইচ্ছা পূরণ কর | নিজেকে প্রশ্ন করো তোমার কি চাই, আর অনুভব কর যে কি পেলে তোমার সমস্ত চাহিদা পূরণ হবে | তারপর মনে আর কোন অশান্তি না থাকে | কারণ লালন বলে কূল পাবে না এবার ঠকে গেলে | অর্থাৎ মানব জনম একবার যদি তোমার চাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভুল হয়ে যায় তাহলে একটা সময় সেই ভুল সুধরানোর উপায় থাকবে না
ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় সিংহ রাশি সিংহ রাশি রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি, সিংহ রাশিতে যখন রবি প্রবেশ করে তখন ভাদ্র মাসে শুরু হয়| মানুষের জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী মানুষের প্রকৃতি ও ভাগ্যের সম্পর্কে কিছুটা স্থূল ধারণা পাওয়া যায় | ভাদ্র মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম, তারা খুব সাহসী দৃঢ় প্রকৃতির, এরা চায় সবার থেকে আগে এবং সবার উপরে থাকতে, সেই জন্যই এরা যে কাজে হাত দেয় তা সম্পন্ন করতে জীবন-মরণ চেষ্টা করে থাকে| সমস্ত বড় ব্যাপারের দিকে এদের নজর থাকে, বড় আদর্শ সামনে রেখে এরা সেই ভাবে চলতে চেষ্টা করে, কিন্তু এরা আশা ও আদর্শ উচ্চ হওয়ায় মাঝে মাঝে তা কার্যক্ষেত্রে ফলদায়ক বা কার্যকরী হয় না| এরা একটু সরল প্রকৃতির অর্থাৎ খোলাখুলি ব্যবহার ও কথাবার্তা বলতে বেশি পছন্দ করে, মিথ্যা, ছল, প্রতারণা, এসব ব্যাপার কে অত্যন্ত ঘৃণা করে| এরা নিজেরা সৎ থাকার কারণে অন্যদের তেমন মনে করে এবং অন্যদের খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে ফেলে| কিন্তু বাস্তব জগতে মানুষ যখন চালাকি, প্রতারণার, পরিচয় পায় তখন এদের মন তিক্ত হয়ে যায়, এবং এরা কঠোর হৃদয়ের মানুষ হয়ে ওঠে| জাতকের...
শ্রাবণ মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় কর্কট রাশি কর্কট রাশি, রাশিচক্রের চতুর্থ রাশি, কর্কট রাশিতে যখন রবি প্রবেশ করে তখন শ্রাবণ মাসে শুরু হয়| জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী জাতকের স্বভাব প্রকৃতি ও ভাগ্যের সম্পর্কে কিছুটা স্থূল ধারণা পাওয়া যায় | শ্রাবণ মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম এরা খুব বেশি পরিমাণে ভাবপ্রবণ আবেগপ্রবণ ও অভিমানি প্রকৃতির হয়ে থাকে, এদের মধ্যে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা স্নেহ মায়া-মমতা বেশি দেখা যায়, এরা সমাজের কল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োগ করে, দাতা ও শান্তিপ্রিয় প্রকৃতির হয়ে থাকে| এদের মধ্যে কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখতে পাওয়া যায় যা অন্যদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না, যেমন প্রাচীন জিনিসের উপরে প্রচন্ড আকৃষ্ট থাকে প্রাচীন শাস্ত্র, ইতিহাস, পুরান, প্রাচীন নির্মাণ ইত্যাদির প্রতি এদের আকর্ষণ থাকে| এরা সংসারী এবং গৃহসুখ প্রিয় প্রকৃতির, তবুও এদের ভ্রমণের খুব নেশা থাকে| এরা পরিশ্রমী কিন্তু কারো আদেশ অনুযায়ী কাজ করার থেকে ভালোবাসার বিনিময়ে পরিশ্রম করতে বেশি পছন্দ করে | এরা অন্যের থেকে সহানুভূতি, ভালোবাসা, প্রশংসা, বাহবা পাওয়ার জন...
হাতে অর্ধচন্দ্র রেখা থাকলে এমনটাই ঘটবে? হস্তরেখা মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয় একথা চিরন্তন সত্য|জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রাচীন মুনি ঋষিদের অনেক তপস্যার ফল| জ্যোতিষ শাস্ত্রে আপনার বিশ্বাস থাকুক বা নাই থাকুক তবুও দেখে নিন আপনার দুই হাত | দুই হাতের একসাথে জোড়া করলে যে অর্ধচন্দ্র তৈরি হচ্ছে সেটি কেমন| palmistry হাতের রেখা দেখে নিজের ভাগ্য সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করুন আর না করুন এটা মানতেই হবে যে - হস্তরেখা বিচার বিশ্লেষণ একটা অতি প্রাচীন পদ্ধতি| মানুষ যখন প্রচুর চেষ্টা করার পরও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয় না, তখনই ভাগ্যের সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী হয়| আপনার লেখাপড়া, চাকরি , বিবাহ , ব্যবসা , অতিত , ভবিষ্যত সবই জানা যায় আপনার হাতের করতলে তালুর রেখা থেকে। এখন আপনার নিজের হাত আপনি নিজে দেখে নিন। দুই হাত জোড়া করে তালু পাশাপাশি রেখে দেখুন। দেখুন দুই হাতে কনিষ্ঠ আঙুলের ঠিক নীচ থেকে একটি করে হৃদয় রেখা তর্জনী আঙুলের দিকে চলে গিয়েছে এবং রেখাটি মধ্যমা ও তর্জনী আঙুলের মধ্যবর্তী অবস্থানে কিছুটা উপর দিকে উঠে গেছে। এবার পাশপাশি দু’টি হাতের তালু ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন