ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয়
|
সিংহ রাশি
|
সিংহ রাশি রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি, সিংহ রাশিতে যখন রবি প্রবেশ করে তখন ভাদ্র মাসে শুরু হয়|
মানুষের জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী মানুষের প্রকৃতি ও ভাগ্যের সম্পর্কে কিছুটা স্থূল ধারণা পাওয়া যায় |
ভাদ্র মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম, তারা খুব সাহসী দৃঢ় প্রকৃতির, এরা চায় সবার থেকে আগে এবং সবার উপরে থাকতে, সেই জন্যই এরা যে কাজে হাত দেয় তা সম্পন্ন করতে জীবন-মরণ চেষ্টা করে থাকে| সমস্ত বড় ব্যাপারের দিকে এদের নজর থাকে, বড় আদর্শ সামনে রেখে এরা সেই ভাবে চলতে চেষ্টা করে, কিন্তু এরা আশা ও আদর্শ উচ্চ হওয়ায় মাঝে মাঝে তা কার্যক্ষেত্রে ফলদায়ক বা কার্যকরী হয় না| এরা একটু সরল প্রকৃতির অর্থাৎ খোলাখুলি ব্যবহার ও কথাবার্তা বলতে বেশি পছন্দ করে, মিথ্যা, ছল, প্রতারণা, এসব ব্যাপার কে অত্যন্ত ঘৃণা করে| এরা নিজেরা সৎ থাকার কারণে অন্যদের তেমন মনে করে এবং অন্যদের খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে ফেলে| কিন্তু বাস্তব জগতে মানুষ যখন চালাকি, প্রতারণার, পরিচয় পায় তখন এদের মন তিক্ত হয়ে যায়, এবং এরা কঠোর হৃদয়ের মানুষ হয়ে ওঠে| জাতকের গর্ব ও আত্ম অভিমান খুব বেশি পরিমাণে থাকতে পারে| অন্যের চাইতে কিছু বিষয় নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলেও মনে করতে পারে| এরা স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করে তাই অনেক সময় লোকের মুখের উপরে অপ্রিয় সত্য কথা বলে বলে অন্যকে চটিয়ে দিতে পারে, ফলে এদের শত্রুতে পরিণত হয়| এরা সাহসী নেতৃত্বের এবং কর্তৃত্বের ক্ষমতা এদের মধ্যে দেখা যায়, সেজন্য জাতকের নেতৃত্ব দ্বারা যে কোনো কষ্ট সাধ্য কাজেও এরা কখনো এরা কখনো বিফল হয় না| এরা নিজের ব্যক্তিত্বের জোরে এবং হৃদয়বৃত্তির ভালোবাসার দ্বারা লোককে শাসন ও পরিচালনা ও করতে পারে| এদের মধ্যে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যায়, এরা স্নেহপ্রবণ এরা যাকে ভালবাসে তাকে গভীর ভাবে ভালবাসে, এরা যেমন এদের ভালোবাসার পাত্র কে খুব গভীর ভাবে ভালবাসে, ঠিক তেমনই চায় যে তার প্রিয় পাত্র তাকেও ঠিক একইরকম ভালোবাসুক| এরা ভালবাসলেও জোর করে তার প্রতিদান চায় না| যেখানে ভালোবাসা তিনি আশা করেন বা ভালোবাসা যেখানে ন্যায্য প্রাপ্য সেখানে ভালোবাসা না পেলে তিনি মানসিক আঘাত পান| এরা যাকে ভালবাসে তার কোন দোষ ত্রুটি থাকলেও তাকে ক্ষমা করতে সংকোচ বোধ করে না| বিপদে যদি আশ্রয় চায় তাহলে তিনি প্রাণ দিও আশ্রয় প্রার্থী কে রক্ষা করে থাকে| এদের হৃদয় অনেক বড় তাই জাতকের জীবনে হৃদয়বর্তী ভালোবাসা সংযত করা উচিত তা না হলে অপাত্রে স্নেহ প্রীতি ভালোবাসা দেওয়ার ফলে অধঃপতন হইতে পারে| জীবনসঙ্গী নির্বাচন ক্ষেত্রেও এদের অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ, অসৎ সঙ্গে হৃদয় ভিত্তিক ভালোবাসা দেখালে জাতকের চিন্তার ও চেষ্টার ভাবধারা নষ্ট হতে পারে এবং উন্নতির পথে বাধা হতে পারে| এরা অত্যন্ত স্বাধীনতাপ্রিয় প্রকৃতির বন্ধন এরা সহ্য করতে পারে না বা চায়না| অর্থনৈতিক ব্যাপারে এরা কিন্তু বিশেষ ভাগ্যবান কিন্তু মন বড় হওয়ার কারণে অর্থ ধরে রাখতে পারেনা| এরা চেষ্টা করে সঞ্চয় করার কিন্তু তেমন সঞ্চয় করতে পারে না| এদের জীবনে অনেক বার উন্নতির সুযোগ আছে কিন্তু এরা প্রথম জীবনে উন্নতির সুযোগ ঠিক ভাবে ধরতে পারে না, কিন্তু শেষের দিকে বিশেষ উন্নতি করে থাকে| এবং ভাগ্য শালী হয়ে থাকে, অর্থাৎ জীবনের প্রথম দিকে যে পরিশ্রম করে শেষের দিকে তারই ফল ভোগ করে| এদের মধ্যে যথেষ্ট কর্মক্ষমতা দেখা যায়| এদের ইচ্ছা ও সংগঠন ক্ষমতা থাকার কারণে এদের অধিনস্ত কর্মচারীঃ এদের কথা মত চলতে বাধ্য হয়| এরা শিক্ষা বিভাগ বা নাট্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ অভিনয় জগতে বা সংগঠনকারী বা কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে বা অধ্যক্ষের কাজ অথবা সমাজে শান্তি রক্ষার কাজ যেমন পুলিশ বিভাগ এবং যেখানে ন্যায়ের প্রয়োজন সেই সব ক্ষেত্রে বিশেষ উপযুক্ত| এরা স্নেহপ্রবণ মানুষ হওয়ার কারণে অন্যকে ভালোবাসে কিন্তু অন্যের দ্বারা ভালোবাসা না পাওয়ার জন্য যথেষ্ট মানসিক কষ্ট ভোগ করে| এদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কিছুটা বেশি থাকে এদের হৃদরোগ, বাতের রোগ, বা প্রস্তাব জনিত কোন সমস্যা বা চোখের রোগ, ফুসফুসের দুর্বলতা, চর্ম রোগের প্রবণতা থাকতে পারে
তাই এই বিষয়ে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা প্রয়োজন এই বলে আজকের লেখা শেষ করছি নমস্কার
ভাদ্র
উত্তরমুছুন