হাতে অর্ধচন্দ্র রেখা থাকলে এমনটাই ঘটবে?
হস্তরেখা মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝিয়ে দেয় একথা চিরন্তন সত্য|জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রাচীন মুনি ঋষিদের অনেক তপস্যার ফল| জ্যোতিষ শাস্ত্রে আপনার বিশ্বাস থাকুক বা নাই থাকুক তবুও দেখে নিন আপনার দুই হাত | দুই হাতের একসাথে জোড়া করলে যে অর্ধচন্দ্র তৈরি হচ্ছে সেটি কেমন|
হাতের রেখা দেখে নিজের ভাগ্য সম্বন্ধে অনেক কিছু জানা যায়। জ্যোতিষ শাস্ত্রে বিশ্বাস করুন আর না করুন এটা মানতেই হবে যে - হস্তরেখা বিচার বিশ্লেষণ একটা অতি প্রাচীন পদ্ধতি| মানুষ যখন প্রচুর চেষ্টা করার পরও সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয় না, তখনই ভাগ্যের সম্বন্ধে জানতে আগ্রহী হয়|
আপনার লেখাপড়া, চাকরি , বিবাহ , ব্যবসা , অতিত , ভবিষ্যত সবই জানা যায় আপনার হাতের করতলে তালুর রেখা থেকে।
এখন আপনার নিজের হাত আপনি নিজে দেখে নিন।
দুই হাত জোড়া করে তালু পাশাপাশি রেখে দেখুন। দেখুন দুই হাতে কনিষ্ঠ আঙুলের ঠিক নীচ থেকে একটি করে হৃদয় রেখা তর্জনী আঙুলের দিকে চলে গিয়েছে এবং রেখাটি মধ্যমা ও তর্জনী আঙুলের মধ্যবর্তী অবস্থানে কিছুটা উপর দিকে উঠে গেছে। এবার পাশপাশি দু’টি হাতের তালু পাশাপাশি রেখে দেখুন একটি অর্ধচন্দ্রের মত হয়েছে কিনা । যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটি সৌভাগ্যের অর্ধচন্দ্র।
এই সৌভাগ্যের অর্ধচন্দ্র থেকে কি ফল পাওয়া যায় দেখুন |
কমবেশি সকল মানুষের অর্ধচন্দ্র তৈরি হয় কিন্তু
তার গঠন ঠিক কেমন হয়েছে তার উপরে নির্ভর
করছে আপনার প্রকৃতি ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আর তার সঙ্গে আপনার ভাগ্যের অনেকাংশ।
জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে , এই রেখাকে বলা হার্ট-লাইন বা হৃদয়-রেখা। যদি দেখেন, আপনার দুই হাতের হৃদয় রেখা তালু মিলিয়ে একটি সুন্দর অর্ধচন্দ্র তৈরি করেছে তবে মনে রাখবেন আপনি অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের মানুষ। আপনার ভাগ্যকে আপনি নিজে তৈরি করে নিতে পারেন। কর্মক্ষেত্র আপনি সফলতাপান। আপনার মধ্যে নেতৃত্ব করার ক্ষমতা আছে।
মনে রাখবেন সব মানুষের হাতে এমন অর্ধচন্দ্রের সৃষ্টি হয় না। অনেক মানুষের হাতে দু’টি রেখা মিলিয়ে অনেকটা সরলরেখার মতো দেখতে পাওয়া যায়। যাদের হৃদয় রেখা এমন হয়, তাঁরা খুবই দয়ালু ও হৃদয়বান প্রকৃতির মানুষ হয়।
সহজ , সরল জীবন পছন্দ করেন। কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হলে অপরের উপরে নির্ভর করেন।
এই বিচার পদ্ধতি অনুসারে বোঝা যায়, কোন মানুষের হৃদয় কেমন। দুই হাতের হৃদয় রেখা মিলে যত বেশি অর্ধচন্দ্রাকৃতি হবে, তবে সেই মানুষও তত বেশি কঠোর মানসিকতার।
আবার যত বেশি সরলরেখার মতো হবে ততবেশি কোমল হৃদয়ের মানুষ। আর হৃদয়ই (মন) তো মানুষের স্বভাব, প্রকৃতি ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তৈরি করে। আর সেই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসারেই তৈরি হয় মানুষের নিজের জগৎ , সাংসারিক, পরিবেশ ক্ষেত্রের সফলতা, ব্যর্থতা, সুখ ও দুঃখ।
জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্পর্কে জানতে আমাদের যুক্ত থাকুন|
আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের লেখা এই পর্যন্তই|
নমস্কার
Astrolger Dr. Pradyut Acharya
Contact +91 9333122768
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন