পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মরনের পরের অনুভূতি

ছবি
আত্মা  রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল, রাতে ঘুম ভাঙলে বাথরুম করার অভ্যাস আছে, তাই ঘুমের ঘোরে ঘর থেকে বেরিয়ে বাথরুম করতে বেড়িয়েছি | ( রাস্তার পাশে নর্দমায় রাতে প্রস্তাব করি, বাথরুম ঘর থেকে আলাদা আর জলের কল আলাদা তাই রাস্তার পাশে পাকা নর্দমায় প্রস্তাব করা হয়) বাথরুম সেরে ঘরে আসছি দেখি দরজা খোলা নেই, ভাবছি দরজা কে বন্ধ করল? মনে হয় আমার স্ত্রী বেড়িয়ে ছিল ভুলে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে | স্ত্রী কে নাম ধরে ডাকছি তবুও দরজা খুলছে না, এবার খুব জোরে চেঁচিয়ে ডাকছি ভাবছি পারার লোক উঠে যাবে, তবুও দরজা খুলছে না | এটুকু সময়ের মধ্যে এতটাই গভীর ঘুম? দরজা টোকা দিয়ে ডাকতে হবে, দরজায় টোকা দিতেই হাত দরজার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে| আশ্চর্য হয়ে গেলাম দেখি আমার হাত দরজা স্পর্শ করছে না, বন্ধ দরজার ভেতরে চলে যাচ্ছে, আবার বেড়িয়ে আসছে আস্তে আস্তে পুরো হাত চলে গেল, আমি এক পা এগিয়ে দেখি পাও চলে যাচ্ছে, আর এক পা বাড়িয়ে আমি ভিতরে চলে এলাম | অন্ধকার ঘরে ছেলে ভয় পায়, তাই জিরো লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাতাম| সেই জিরো লাইটের আলোতে দেখি আমি, আমার স্ত্রী, ও আমার ছোট ছেলে, যেভাবে ঘুমিয়ে থাকি সেভাবে সবাই ঘু...

🌺 বেদান্ত দর্শন: আত্ম-উপলব্ধি, বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্রের মিলন 🌺

ছবি
Indian Best Astrology and Palmistry Consultant Service | MyAstrology Ranaghat Nadia  Vedant বেদান্ত (Vedanta) শব্দের অর্থ হলো বেদের অন্ত —অর্থাৎ সমস্ত জ্ঞানের চূড়ান্ত প্রান্ত। জীবনের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর, অস্তিত্বের রহস্য, সুখ–দুঃখ, জন্ম–মৃত্যু, দেহ–আত্মা—সবকিছুর যে জ্ঞান এক স্থানে গিয়ে মিলিত হয়, তাকেই আমরা বলি বেদান্ত দর্শন। আমাদের সাধারণ জীবনের ছোট ছোট প্রশ্ন থেকে শুরু করে সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য পর্যন্ত, সবকিছুরই উত্তর নিহিত আছে এই দর্শনে। বেদান্ত কেবল একটি দার্শনিক শিক্ষা নয়, এটি হলো অস্তিত্বকে জানার এক অনন্ত পথ । ✨ আমি কে?—বেদান্তের কেন্দ্রীয় প্রশ্ন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় অর্জুনকে বলেছিলেন— 👉 “আমি সর্বত্রই আছি, সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে আমার অস্তিত্ব ছড়িয়ে আছে।” কিন্তু সেই “আমি” কে? আমি কি শরীর? শরীরের অঙ্গ চলে গেলেও প্রাণ থাকে। হাত–পা কেটে গেলে মানুষ বেঁচে থাকে। তাই আমি শুধু শরীর নই। আমি কি মন বা মস্তিষ্ক? স্মৃতি হারালেও প্রাণ থাকে, কিন্তু তখন সুখ–দুঃখ, রাগ–অহংকার থাকে না। মন–মস্তিষ্কও তাই ‘আমি’-এর পূর্ণ ব্যাখ্যা নয়। আমি কি আত্মা? আত্মা অমর। তাকে আগুন প...

ধর্ম না বিজ্ঞান?

ছবি
অন্যান্য পন্ডিত শীলা রুপা গোস্বামী যে বিষয়গুলোর অভাব মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করেছিলেন আমরা বিজ্ঞানের যুগে ধর্মকে কুসংস্কার বলে দুরে সরিয়ে দিচ্ছি| ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতা কথা বললেই, অনেকেই মনে করে তার জন্য একটা প্রাপ্ত বয়সের প্রয়োজন, অর্থাৎ যখন বয়স হবে তখন আধ্যাত্মিকতায় প্রবেশ করাই ঠিক | কিন্তু কখনোই বোঝার চেষ্টা করি না, যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গে আধ্যাত্মিকতা কতটা প্রয়োজন | আমরা বিজ্ঞানের খোঁজে ধর্মের থেকে দূরে পালাই, কিন্তু কখনো ধর্মের মধ্যে বিজ্ঞান কে খোঁজার চেষ্টা করি না, কারণ এটা হল কুসংস্কার | আমি বলব ধর্ম সব সময় সংস্কার, অর্থাৎ বিজ্ঞান | ধর্ম কখনোই কুসংস্কার হতে পারে না| আমাদের ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে সেই শিক্ষা পাওয়া যায় যা কোন শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান পাওয়া সম্ভব নয় | যেমন বিজ্ঞান সমস্ত সমস্যার সমাধান, বৈজ্ঞানিক উপকরণ এর দ্বারা সমাধান করার চেষ্টা করে, কিন্তু তাতে একটা নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয় | কিন্তু ধর্ম কোন সমস্যা মূল থেকে সমাধান করে | অন্যান্য যে কাজগুলো করে আপনি শনিদেবের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন  যেমন উদাহরণস্বরূপ আমার সঙ্গে আমার এলাকার লোকের...

জ্যোতিষ শাস্ত্র কি ?

ছবি
পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সঠিকভাবে কিছুই জানি না, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব | আমি আলোচনা করব জ্যোতিষশাস্ত্রের কিছু বিষয় নিয়ে, জ্যোতিষশাস্ত্র বেদের অঙ্গ, বেদের আর এক নাম শ্রুতি | এই বেদ গুলোকে অনেক মানুষ শুধু ধর্মগ্রন্থ ভেবে ভুল করে থাকে, এগুলো শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থই নয়, এই গ্রন্থ গুলোর মাধ্যমে মানব জাতিকে উন্নত করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে | বেদ এমন এক গ্রন্থ যার শিক্ষা হাজার হাজার বছর পর ও মানুষকে উন্নত করতে সাহায্য করে | আপনি ভাবছেন বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এখন যথেষ্ট উন্নত | আপনার ভাবনাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি, কিন্তু আমি যেই বিষয়গুলো তুলে ধরতে চাই সেই বিষয়গুলো একটু বোঝার চেষ্টা করবেন | বেদ সম্বন্ধে যতটুকু জানা যায় তা হল বেদ পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন গ্রন্থ, এবং বেদ মানুষ দ্বারা সৃষ্ট নয়, ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্ট | ঈশ্বর কথাটা বাদ দেওয়া হলে, তাহলে কারা সৃষ্টি করেছে? | পৃথিবীর ইতিহাস সম্বন্ধে আমরা কেউই সঠিকভাবে জানিনা | প্রত্নতাত্ত্বিকরা সত্যের সন্ধান করে চলেছে | ইতিহাস সম্বন্ধে আমরা যতটুকু জানি তা মাত্র 500--1000 বছরের, তার আগের...

জ্যোতিষ শাস্ত্র কেন মানবো?

ছবি
Astrology জ্যোতিষশাস্ত্র হল এমন একটি শাস্ত্র, যে শাস্ত্র দ্বারা মানুষের ভাগ্য বিচার করা হয় | অর্থাৎ মানুষের অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় | কিন্তু কিভাবে? | কিভাবে মহাকাশে অবস্থিত, কিছু গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের  মাধ্যমে মানুষের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানা যায়?| আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের আরও একটা অংশ হলো সমুদ্রশাস্ত্র, এই শাস্ত্রে মানুষের মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত বিচার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে | সমুদ্র শাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল হস্তরেখা | শুধুমাত্র হাতের রেখা বিচার বিশ্লেষণ করে ও মানুষের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয় | কিন্তু কিভাবে? | অন্যান্য  - জ্যোতিষ শাস্ত্র জ্যোতিষ শব্দের উৎপত্তি আমি একজন জ্যোতিষ শিক্ষার্থী ( SKVSA) PHD, Kolkata আমি নিজেকে জ্যোতিষ বিদ্ বলেও পরিচয় দিয়ে থাকি, কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্রের গভীরতা এতটাই যে পিএইচ ডির হাজারো ডিগ্রির কাগজ অর্জন করলেও এই শাস্ত্রের সম্পূর্ণ আয়ত্ত করা সম্ভব না| তা যাইহোক এখন প্রশ্ন হল গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান দ্বারা ও হাতের রেখা বিচার বিশ্লেষণ করে, কিভাবে মানুষের স...

জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রসঙ্গে

ছবি
জ্যোতিষ শাস্ত্র  যেকোনো শিক্ষা কোন মানুষ কে জানতে এবং শিখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে তার প্রচেষ্টার মাধ্যমে | তা সে, যে বয়সেরই হোক না কেন, জানার ও শেষ নেই, শেখার শেষ নেই | প্রত্যেক বয়সেই ধাপে ধাপে সবাই কিছু না কিছু শিখতে ও জানতে চেষ্টা টুকু করে | তাই আজকের দিনে জ্যোতিষ এর তত্ত্ব খুব ভালো করে জানতে গেলে অনেক গুলি বিজ্ঞানের সাহায্যের প্রয়োজন হয় | যেমন গণিত বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শরীর তত্ত্ব, ও মহাকাশ বিজ্ঞান প্রভৃতি | জ্যোতিষ হলো সেই বিদ্যা, যার দ্বারা আকাশে অবস্থিত গ্রহগুলির স্থিতির দ্বারা অতীত ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান সম্বন্ধে আমরা জানতে পারি | অন্যান্য হাতের কব্জিতে মণিবন্ধ রেখা  এই শাস্ত্রের অর্থ হল, যে শাস্ত্র জীবনে আলো দেয়, প্রকাশ দেয়, সেই হলো জ্যোতিষ শাস্ত্র | জ্যোতিষ শাস্ত্র বেদের ই একটা অঙ্গ | প্রাচীনকাল থেকে আমাদের পৃথিবীতে যেসব জ্যোতিষ আলোচিত হয় তা হলো ফলিত ও গণিত জ্যোতিষের মাধ্যমে | যে বিদ্যার দ্বারা মহাকাশে নক্ষত্র ও গ্রহদের গতি, অবস্থান ও চরিত্র সম্বন্ধে জানা যায় সেই বিদ্যাকে গণিত জ্যোতিষ বলা হয় | আবার যে বিদ্যার দ্বারা, গ্রহদের অবস্থান সাপেক্ষে মানুষের জী...

যে কাজগুলো করে আপনি শনিদেবের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন

ছবি
শনিদেব   যখনই মানুষের সময় খারাপ চলে মানুষকে বলতে শোনা যায় শনির দশায় ধরেছে । দশা অন্তর্দশা সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান থাক বা নাই থাক এ কথা সত্য যে শনিদেব কে নিয়ে ভয় ভীত প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই রয়েছে| শনিদেবের অশুভ প্রভাবে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়| জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী শনিদেব হল সর্বাধিক পাপ গ্রহ, কিন্তু এই শনিদেব আবার ভাগ্যপতি ও কর্মফল দাতা| শনি দেব কে দন্ড নায়ক অর্থাৎ দন্ডাধিপতি ও বলা হয়| জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে জন্ম কুণ্ডলীতে শনি যে ঘরে অবস্থান করে, সেই ঘর সম্পর্কিত এবং তার তৃতীয়, সপ্তম, ও দশম দৃষ্টি দ্বারা, তৃতীয়, সপ্তম, দশম ঘর থেকে যেই ফল পাওয়া যায় সেই ফল সম্পর্কিত বহু সমস্যার সৃষ্টি করে| যেমন যদি কোন মানুষের লগ্নে শনি অবস্থান করে তাহলে তার জীবনের সমস্ত কিছুই অত্যন্ত ধীরগতিতে হয়, অর্থাৎ আপনার জীবনের সব কিছুই হতে পারে কিন্তু যখন চাইবেন তখন পাবেন না, পাওয়ার জন্য আপনাকে অনেক বাধা-বিঘ্ন ও সমস্যার মধ্য থেকে নিজের চেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করে নিতে হবে| অন্যান্য করতলে অর্ধচন্দ্র রেখা থাকলে অবশ্যই জেনে নিন  এবং তৃতীয় দৃষ্টি দ্বারা তৃতীয়...