হঠাৎ করে ফেসবুক সার্ভার ডাউন

ছবি
  Facebook  আজ, ৫ই মার্চ, ২০২৪, রাত 9:00 নাগাদ হঠাৎ করে ফেসবুক সার্ভার ডাউন হওয়ার কারণ এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। কিছু সম্ভাব্য কারণ: ডেটা সেন্টারে ত্রুটি: ফেসবুকের ডেটা সেন্টারে কোন ত্রুটির কারণে সার্ভার ডাউন হয়ে থাকতে পারে। সাইবার হামলা: ফেসবুক সার্ভারে কোন সাইবার হামলার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। নতুন আপডেটে ত্রুটি: সম্প্রতি ফেসবুকে কোন নতুন আপডেট দেওয়া হয়ে থাকলে, সেই আপডেটে ত্রুটির কারণেও সার্ভার ডাউন হতে পারে। অন্যান্য কারণ: বর্তমান পরিস্থিতি: বর্তমানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে। সার্ভার কখন সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে তা এখনো জানা যায়নি। কিছু ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারছেন, তবে অনেকে এখনো সমস্যার সম্মুখীন।

মরনের পরের অনুভূতি

After the death
আত্মা 

রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল, রাতে ঘুম ভাঙলে বাথরুম করার অভ্যাস আছে, তাই ঘুমের ঘোরে ঘর থেকে বেরিয়ে বাথরুম করতে বেড়িয়েছি | ( রাস্তার পাশে নর্দমায় রাতে প্রস্তাব করি, বাথরুম ঘর থেকে আলাদা আর জলের কল আলাদা তাই রাস্তার পাশে পাকা নর্দমায় প্রস্তাব করা হয়)
বাথরুম সেরে ঘরে আসছি দেখি দরজা খোলা নেই, ভাবছি দরজা কে বন্ধ করল? মনে হয় আমার স্ত্রী বেড়িয়ে ছিল ভুলে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে | স্ত্রী কে নাম ধরে ডাকছি তবুও দরজা খুলছে না, এবার খুব জোরে চেঁচিয়ে ডাকছি ভাবছি পারার লোক উঠে যাবে, তবুও দরজা খুলছে না | এটুকু সময়ের মধ্যে এতটাই গভীর ঘুম? দরজা টোকা দিয়ে ডাকতে হবে, দরজায় টোকা দিতেই হাত দরজার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে|
আশ্চর্য হয়ে গেলাম দেখি আমার হাত দরজা স্পর্শ করছে না, বন্ধ দরজার ভেতরে চলে যাচ্ছে, আবার বেড়িয়ে আসছে আস্তে আস্তে পুরো হাত চলে গেল, আমি এক পা এগিয়ে দেখি পাও চলে যাচ্ছে, আর এক পা বাড়িয়ে আমি ভিতরে চলে এলাম | অন্ধকার ঘরে ছেলে ভয় পায়, তাই জিরো লাইট জ্বালিয়ে ঘুমাতাম| সেই জিরো লাইটের আলোতে দেখি আমি, আমার স্ত্রী, ও আমার ছোট ছেলে, যেভাবে ঘুমিয়ে থাকি সেভাবে সবাই ঘুমিয়ে আছি | তাহলে আমি কে? বুঝলাম আমি আত্মা, ঘুমিয়ে আছে আমার শরীর, আমি আমার স্ত্রী কে নারিয়ে ডাকার চেষ্টা করছি কিন্তু আমার হাত তার শরীরে স্পর্শ হচ্ছে না, আমার ডাক সে শুনতে পাচ্ছে না, পাশে ঘুমানো ছোট ছেলেকে আদর করার চেষ্টা করছি, তার শরীরও স্পর্শ হচ্ছে না সেও আমার ডাক শুনতে পাচ্ছে না | তাদের মাঝে শুয়ে আছে আমার শরীর তাকেও নারাতে পারছিনা | ছেলে ও স্ত্রী আমায় বড্ড ভালো বাসে দুজন দুপাশে আমায় জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে, কিন্তু এখনও তারা জানেনা যে আমি আর নেই, যখনই জানতে পারবে তখনই কান্নায় ভেঙে পরবে, দুজনেই একেবারে অসহায় হয়ে গেল | ছোট্টো ছেলেটাকে নিয়ে কি ভাবে জীবন যাপন করবে ওরা? দুজনেই আমার প্রাণের থেকে প্রিয়, এদের কষ্ট আমি একদম সহ্য করতে পারি না, ছেলেটি মানুষ করবো বলে একটা ভাল স্কুলে ভর্তি করেছি, আমি না থাকলে ওর খরচ কে চালাবে? | আমার স্ত্রী যখন আমার কাছে প্রথম আসে তখন আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো, এখন একটু ভালো হয়েছে তার জন্য তাকে অনেক সার্থত্যাগ করতে হয়েছে, সে ভবিষ্যতের চিন্তা করে অনেক সার্থত্যাগ করেছে।

কিন্তু আমি তার জন্য কিছুই করে যেতে পারলাম না, তার কষ্টের ফল হিসেবে আরও কষ্টই হতে চলেছে | না না কিছু হবে না আবার কোন ছেলে দেখে বিয়ে করে নেবে, কিন্তু আমার ছেলে তার কি হবে? সে কার কাছে থাকবে? আমার স্ত্রী যদি তাকে নিয়ে যায় তার নতুন স্বামী কি আমার ছেলেকে মেনে নেবে? সে কি পরের ছেলে মানুষ করবে? যদি না করে তাহলে আমার ছেলে পুরো অনাথ হয়ে যাবে | হে ঈশ্বর বল কেন এমন হলো, আমার সুখের সংসার ভেঙে তছনছ করে দিলে | এই সান্তনা সান্তনা তুমি আর বিয়ে করবে না, (সান্তনা আমার স্ত্রী ) তাহলে আমাদের ছোট ছেলে অনাথ হয়ে যাবে, এই বাবু বাবু তোর মাকে বল তুমি আর বিয়ে করবে না, তাহলে আমার কি হবে| আমার কথা কেউ শুনছে না, হে ঈশ্বর তুমি তো আমার কথা শুনতে পাচ্ছো আমায় একটি বার সুযোগ দাও, আমি এদের সব কিছু বুঝিয় দিয়ে যাই, শুধু একটি বার| এই সান্তনা কিগো আমার নামে কিছু টাকা আছে, তুমি এটিএম দিয়ে তুলে নিও  এটিএম-কার্ড ওখানে আছে, তুমি এটিএমের পিন জানতো? ১২৩৪ এই পিন নাম্বার মনে রাখবে তা নাহলে টাকা তুলতে পারবে না, আমি তোমাকে খুবই ভালোবাসি, তুমি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো |হে ঈশ্বর ও তো আমার কথা শুনতেই পারছে না| এই বাবু তুই কিন্তু ভালো ভাবে পরাশোনা করবি, মাকে বলবি ল্যাপটপ না বিক্রি করে, বড়ো হলে তোর লাগবে |

এই কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না দম বন্ধ হয়ে আসছে, বুক ভার হয়ে আসছে, চোখে জল ঝরে পরছে, কষ্টে ছটফট করছি, স্ত্রী ভয় পেয়ে গেছে আমাকে নাড়াচাড়া দিয়ে বলছে কি হয়েছে তোমার কাদছো কেন? চোখ খুলে দেখি স্ত্রী ও ছেলে দুজনে দুপাশে বসে আছে, স্ত্রী বলল কি হয়েছে স্বপ্ন দেখেছো | আমি দুজনকে জরিয়ে ধরে একটু কান্না করলাম, একটু আদর করে বললাম হ্যাঁ | ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম, আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য | আবারও সুযোগ পাওয়ার জন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হলো, কারণ এমন সুযোগ তো সবাই পায় না | মানুষের মৃত্যু কখন হবে কেউ জানেনা, তাই সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজ আগে করে ফেলা ভালো | এই ছিল আমার উপলব্ধি |

মন্তব্যসমূহ

Astrologer Dr Prodyut Acharya, MA. M Phil. PhD. in asrtology gold medalist,

Astrologer Dr Prodyut Acharya, MA. M Phil. PhD. in asrtology gold medalist,
Online Astrology service and Palm reading, best Astrologer and palmist in india

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রধানমন্ত্রীর ডাকে প্রদীপ, মোমবাতি, জ্বালানোর সাথে উচ্চারণ করুন, সনাতনের আদি শব্দ "ওঁম"

ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন হয়

শিব পুজো করার আগে জেনে নিন শিবলিঙ্গ কি?

পৃষ্ঠাসমূহ