অন্যান্য
পন্ডিত শীলা রুপা গোস্বামী যে বিষয়গুলোর অভাব মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করেছিলেন
আমরা বিজ্ঞানের যুগে ধর্মকে কুসংস্কার বলে দুরে সরিয়ে দিচ্ছি|
ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতা কথা বললেই, অনেকেই মনে করে তার জন্য একটা প্রাপ্ত বয়সের প্রয়োজন, অর্থাৎ যখন বয়স হবে তখন আধ্যাত্মিকতায় প্রবেশ করাই ঠিক | কিন্তু কখনোই বোঝার চেষ্টা করি না, যে শিক্ষাগত যোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গে আধ্যাত্মিকতা কতটা প্রয়োজন | আমরা বিজ্ঞানের খোঁজে ধর্মের থেকে দূরে পালাই, কিন্তু কখনো ধর্মের মধ্যে বিজ্ঞান কে খোঁজার চেষ্টা করি না, কারণ এটা হল কুসংস্কার | আমি বলব ধর্ম সব সময় সংস্কার, অর্থাৎ বিজ্ঞান | ধর্ম কখনোই কুসংস্কার হতে পারে না| আমাদের ধর্ম গ্রন্থ গুলোতে সেই শিক্ষা পাওয়া যায় যা কোন শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান পাওয়া সম্ভব নয় | যেমন বিজ্ঞান সমস্ত সমস্যার সমাধান, বৈজ্ঞানিক উপকরণ এর দ্বারা সমাধান করার চেষ্টা করে, কিন্তু তাতে একটা নতুন সমস্যা সৃষ্টি হয় | কিন্তু ধর্ম কোন সমস্যা মূল থেকে সমাধান করে |
অন্যান্য
যে কাজগুলো করে আপনি শনিদেবের অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন
যেমন উদাহরণস্বরূপ আমার সঙ্গে আমার এলাকার লোকের অত্যন্ত মনোমালিন্য | মনে হয় তারা আমার ভালো সহ্য করতে পারে না |তারা আমার মুখ এবং আমি তাদের মুখ দেখতে চাই না | তাই মনোমালিন্য এড়াতে কোন বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের কাছে গেলাম, তাকে সমস্যার কথা খুলে বললাম সে একটা সুন্দর যুক্তি দিল, যে বাড়ির চারিদিকে পাঁচিল দিয়ে নিন, তাতে সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে | তার কথা শুনে আমি বাড়ির চারিদিকে পাচিল দিয়ে নিলাম, এবং তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য অনেকটাই কমে গেল | কিন্তু মনের মিলটা আর হলো না | কিছুদিন পরে আমার গুরুদেব আমাদের বাড়িতে আসলো, তাকে আমি সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম, গুরুদেব ধর্ম অনুযায়ী আমাকে একটা উপায় বললেন, যে বাড়িতে একটা পুজোর আয়োজন করতে হবে, তাহলে লোকের সঙ্গে মনোমালিন্য কমে যাবে | আমি রাজি হয়ে গেলাম গুরুদেব আমাকে বললেন, এলাকার সমস্ত বাড়ি থেকে ভিক্ষা করে এই পুজো করতে হবে, তখন আমি একটু ইতস্তত বোধ করলাম, কারণ পুজো করবার মতো যথেষ্ট সামর্থ্য আমার আছে, ভিক্ষা করার কোন প্রয়োজন নেই | গুরুদেব বললেন ভিক্ষে করে এই পুজো করতে হয় | তাহলেই তোমার উপর কেউ হিংসা করবে না | গুরুদেব কে বলে নতুন সমস্যা তৈরী করেছি, তাকে খুব সন্মান করি তাই গুরুদেবের কথা অমান্য করতে পারলাম না|
সুতরাং আমাকে সবার কাছে ভিক্ষা চাইতে যেতে হলো, নিজের মনে খুবই সংকোচ বোধ হচ্ছে, যেসব বাড়িতে আমি কখনো যায়নি, যাদের সঙ্গে কখনো কথা বলার প্রয়োজন হয়নি, আজ তাদের সকলের বাড়িতে আমার যেতে হচ্ছে ভিক্ষা চাইতে | নিজের অহংকার চূর্ণ হলো, যেসব বাড়িতে গেলাম তারা সবাই ভিক্ষা দিল, যাদের সঙ্গে বেশি মনোমালিন্য ছিল তাদের বাড়িতে ভিক্ষে চাইতেই চোখে জল চলে এলো| তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের মনোমালিন্য, আমার চোখের জল দেখে তার চোখেও জল চলে এল | আমি নিজের অহংকার ত্যাগ করে তাদের বাড়ি ভিক্ষে চাইতে গিয়েছি, সে কারণে সেও নিজের মনে কোন দোষ রাখল না এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগলো | তার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য শেষ হয়ে গেল |
অন্যান্য
জ্যোতিষ শাস্ত্র কি?
এলাকার সকলে মিলে বাড়িতে সুন্দর একটা পূজার অনুষ্ঠান করলাম, এবং যেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে থাকতে এতদিন সংকোচ বোধ হতো, আজ তাদের সঙ্গেই খুব আনন্দে কাটাতে পারছি| তারা আমার সমস্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ছে, এবং আমিও তাদের নিয়ে বেশ ভালোই আছি, যতটা পারছি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি | তখন আমি বুঝতে পারলাম যেখানে থাকি তারা সকলেই খারাপ নয়, খারাপ ছিলো আমার ইগো | তাহলে দেখুন বিজ্ঞান এই সমস্যা সমাধান কখনো করতে পারত, যা আমার গুরুদেব ধর্মের নামে করে দিয়েছেন | এটা একটা কাল্পনিক গল্প | ঠিক আমাদের ধর্মগ্রন্থ আমাদের মানুষ হওয়ার জন্য সুন্দর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়, কিন্তু আমরা সেটাকে বুঝতে না পেরে কু-সংস্কার বলে উড়িয়ে দেই, এবং প্রকৃত ঞ্জান থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন