বিশ্বখ্যাত মেধাবীরাই কেন নাস্তিক হয়?

ছবি
  MyAstrology  — যুক্তি, আস্থা ও মানুষের মানসিক দ্বৈততা নিয়ে এক দার্শনিক বিশ্লেষণ ✍️ Prodyut Acharya সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা হল: “বিশ্বখ্যাত মেধাবীরা সাধারণত ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না” বা তারা নাস্তিক । এই বক্তব্যটি যেমন বিভ্রান্তিকর, তেমনি একপাক্ষিক। কারণ "মেধা" বলতে আমরা কী বুঝি, এবং "বিশ্বাস" বা "আস্থা" মানে ঠিক কী — এই দুই বিষয় না বুঝলে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো স্বাভাবিক। 📚 মেধা কাকে বলে? — একটি বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেধা কেবলমাত্র পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বিষয় নয়। দার্শনিকের মেধা চিন্তাশক্তিতে, বিজ্ঞানীর মেধা বিশ্লেষণ আর পর্যবেক্ষণে, কৃষকের মেধা বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সৃষ্টিশীল প্রয়োগে, গৃহিণীর মেধা সংসার রচনায়, সাধকের মেধা আত্মোপলব্ধিতে। অর্থাৎ, মেধা একমাত্রিক নয় , এটি ক্ষেত্রভেদে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। ⚖️ ধর্ম বনাম বিজ্ঞান? নাকি পরিপূরক দু'টি পথ? আমরা মানবজাতির মানসিক গঠন যদি বিশ্লেষণ করি, দেখি মানুষের মধ্যে দুটি বিপরীতমুখী প্রবণতা রয়েছে: যুক্তি, বিশ্লেষণ, প্রমাণনির্ভর মনন — যা বিজ্ঞান জন্ম দেয় আস্থা, অনুভব, মান্যতা ও অ...

জীবনে সফলতা প্রাপ্ত করতে নিজের মনকে অন্যের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখুন

 

Mind
Goutam Buddha 

মানুষের মনই সুখ দুঃখের মূল কেন্দ্র, মনের সুখই বড় সুখ, মন চায় শুধুই আনন্দ। আনন্দ পাওয়ার জন্য মন অনেক কিছুই করতে চায়, মনের আনন্দে বাধা প্রাপ্ত হলেই মন দুঃখে ভরে যায়। অর্থাৎ মনের চাহিদা পূরণ না হলেই দুঃখ সৃষ্টি হয়। মানুষ যা কিছু করে তা নিজের মনকে খুশী করতে, যেমন কেউ মন্দিরে পুজো দিয়ে মনের আনন্দ পাওয়ার চেষ্টা করে, আবার মদ খেয়ে নেশা করে মনের আনন্দ লাভ করে। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে মন খুশি রাখতে চেষ্টা করে। তবুও পৃথিবীতে বেশি সংখ্যক মানুষই দুঃখী। মানুষ যা কিছু করে তার দ্বারা শুধু মাত্র সাময়িক সুখ প্রাপ্ত হয়, এই সুখ বা আনন্দ কখনো চিরস্থায়ী হয় না। মনের চাহিদা কখনোই শেষ হয় না, মন চায় অন্তত সুখ। মন সুখী করতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে, মন কিভাবে প্রভাবিত হয়। মন বিভিন্ন কারণে বিভিন্নভাবেই প্রভাবিত হতে পারে। যেমন আস্বাদন ইন্দ্রিয়ের দ্বারা প্রভাবিত হলে মন চায় ভালো কিছু খেতে, দর্শনেন্দ্রিয় দ্বারা প্রভাবিত হলে মন চায় ভালো কিছু দেখতে, শ্রবণ ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রভাবিত হলে মন চায় ভালো কিছু শুনতে, স্পর্শন ইন্দ্রিয় দ্বারা প্রভাবিত হলে মন চায় ভালো কিছু স্পর্শ করতে, এবং ঘ্রাণেন্দ্রিয় দ্বারা প্রভাবিত হলে মন চায় সুগন্ধি। এদের কাজে বাধা প্রাপ্ত হলে বা বিপরীত কিছু ঘটলে, মন হয় রাগে নয় দুঃখে ভরে ওঠে। চাহিদা যত তীব্র হয় সুখ-দুঃখ ততই বেশি প্রাপ্ত হয়। মনের এই চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে মানুষ বহু চেষ্টা করেও সুখ ও সফলতা প্রাপ্ত করতে পারবেনা। একটি ছোট গল্পের মাধ্যমে বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে। 

একবার ভগবান গৌতম বুদ্ধের কাছে কিছু অল্প বয়সী ছেলেরা দীক্ষা নিতে গেলেন, ভগবান তাদের দীক্ষা দিলেন। বৌদ্ধ ধর্মের নিয়ম অনুসারে বৌদ্ধধর্মে দীক্ষা নিলে তারা বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হন, আর সন্নাসীরা ভিক্ষাবৃত্তি করে আহার করেন। অল্প বয়সী ছেলেরা যখন সন্ন্যাসীর বেশে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে গেলেন, কিছু মানুষ তাদের ভিক্ষা না দিয়ে কটু কথা বলতে লাগলেন। সাধারন মানুষদের মধ্যে ধারণা প্রচলিত আছে যে আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধ বয়সে করতে হয়। তারা বলেন এই বয়সে কেউ আধ্যাত্মিকতা করে, এখন কাজের বয়স, আধ্যাত্মিকতার সময় অনেক বাকি, তোমরা সবাই অলস কাজ না করার ইচ্ছা তাই তোমরা আধ্যাত্মিক পথে এসেছ, তোমাদের ভিক্ষা দিলে পাপ হবে, এবং নানা রকম কটুক্তি করছে। সন্ন্যাসী গণ ভগবান গৌতম বুদ্ধের কাছে ফিরে গেলেন। ভগবানের কাছে ফিরে গিয়ে তাঁরা বললেন, প্রভু আমরা আর ভিক্ষে করতে যাব না। ভগবান গৌতম বুদ্ধ অন্তর্যামী তিনি সকলের মনের ব্যাথা বুঝতে পারলেন, তিনি সকলকে জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা তোমরা ভিক্ষা করতে গেলে মানুষ যদি তোমাদের প্রশংসা করত, তোমাদের আদর করত, আপ্পায়ন করত, তাহলে তোমরা খুশি হতে? তাই তাদের কটুক্তিতে তোমরা দুঃখ পেয়েছ? অর্থাৎ তোমাদের সুখ এবং দুঃখ সম্পূর্ণ অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে? যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার সুখ তোমার দুঃখ অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে পারবেনা, ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে হলে অবশ্যই অন্যের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে। ভগবান গৌতম বুদ্ধ এখানে ঈশ্বর উপলব্ধির কথা বলেছেন কিন্তু একথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে সত্য, যদি জীবনে কোন কর্মে সফল হতে হয়, তাহলে অন্যের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে হবে, তা নাহলে অন্যের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে জীবনে বারবার সফলতার পথে বাধার সৃষ্টি হবে, কারণ কেউ আপনাকে প্রশংসা করে আপনাকে দিয়ে তার স্বার্থ সিদ্ধি করে নেবে, আবার আপনার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে আপনাকে কটু কথা বলে আপনাকে পিছু ছাড়াবে, অর্থাৎ আপনাকে অপব্যবহার করবে। আপনি ভাবতে পারেন ওই লোকটি ভালো নয়, কিন্তু সত্যি কথা বলতে ওই লোকটির কোন দোষ নেই, দোষ সম্পূর্ণই আপনারই, ওই লোকটি যা করেছে ওটাই তার গুণ ছিল। আপনি প্রভাবিত হন বলে আপনাকে প্রভাবিত করে ব্যবহার করেছে। তাই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে অন্যদের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। কেউ আপনাকে ভালো বাসবে কেউ আপনাকে ঘৃণা করবে, কেউ প্রশংসা করবে, কেউ বদনাম করবে, কেউ ভালো কথা বলবে, কেউ গালাগাল করবে, আপনি কখনোই সকলকে খুশি করতে পারবেন না। এই সমস্ত কিছুর দ্বারা যদি আপনি প্রভাবিত হন, তাহলে আপনার কর্ম সাধনায় বাধার সৃষ্টি হবে, এবং আপনি বারবার এই ধরনের ছোট ছোট সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার কারণে জীবনে কখনোই সফলতা প্রাপ্ত করতে পারবেন না। যদি এই ধরনের ঘটনা আপনার সঙ্গে ঘটে থাকে অবশ্যই সেই ঘটনা কমেন্টে তুলে ধরবেন এবং এই লেখা টি শেয়ার করে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেবেন, হয়তো আপনার দ্বারাও কোন মানুষ নিজের মনকে উপলব্ধি করে অন্যের প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চেষ্টা করতে পারে।


Astrolger

Dr Prodyut Acharya

Contact +91 9333122768 

মন্তব্যসমূহ

Astrologer Dr Prodyut Acharya, MA. M Phil. PhD. in asrtology gold medalist,

Astrologer Dr Prodyut Acharya, MA. M Phil. PhD. in asrtology gold medalist,
Online Astrology service and Palm reading, best Astrologer and palmist in india

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রধানমন্ত্রীর ডাকে প্রদীপ, মোমবাতি, জ্বালানোর সাথে উচ্চারণ করুন, সনাতনের আদি শব্দ "ওঁম"

ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন হয়

শিব পুজো করার আগে জেনে নিন শিবলিঙ্গ কি?

পৃষ্ঠাসমূহ