জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী গ্রহ রত্নের গুরুত্ব
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহের অবস্থান এবং দিক ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন দিককে প্রভাবিত করে। এই প্রভাবগুলিকে আরও ভাল করার জন্য, জ্যোতিষীরা গ্রহ রত্নের পরামর্শ দেন। গ্রহ রত্নের প্রত্যেকটিই একটি নির্দিষ্ট গ্রহের সাথে সম্পর্কিত। ধারণা করা হয় যে এই রত্ন গুলি গ্রহের শক্তিকে আকর্ষণ করে এবং ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। গ্রহ রত্নের গুরুত্ব অপরিসীম। গ্রহ রত্নের মাধ্যমে আমরা গ্রহদের শক্তিকে আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারি। গ্রহ রত্নের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুফল লাভ করতে পারি।
মানব জীবনে গ্রহ রত্নের প্রভাব ও কার্যকারিতা নিম্নরূপ:
সূর্য: সূর্যকে জীবন শক্তির কারক গ্রহ বলা হয়। সূর্যের শুভ প্রভাবে ব্যক্তির স্বাস্থ্য, শক্তি, আত্মবিশ্বাস এবং নেতৃত্বের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সূর্যের সাথে সম্পর্কিত রত্ন হল মাণিক্য (চুনী) ।
চন্দ্র : চন্দ্রকে মন ও আবেগের কারক গ্রহ বলা হয়। চাঁদের শুভ প্রভাবে ব্যক্তির আবেগ স্থির হয়, মানসিক শান্তি বৃদ্ধি পায় এবং পারিবারিক জীবন সুখী হয়। চন্দ্রের সাথে সম্পর্কিত রত্ন হল মুক্তা।
মঙ্গল: মঙ্গলকে কর্মের কারক গ্রহ বলা হয়। মঙ্গলের শুভ প্রভাবে ব্যক্তির কর্মজীবনে উন্নতি হয়, সাহস এবং দৃঢ়চেতা বৃদ্ধি পায় এবং শত্রুদের উপর জয়লাভ হয়। মঙ্গলের সাথে সম্পর্কিত রত্ন হল প্রবাল।
বুধ: বুধকে বুদ্ধিমত্তার গ্রহ বলা হয়। বুধের শুভ প্রভাবে ব্যক্তির বুদ্ধি, স্মৃতি এবং যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। বুধের সাথে সম্পর্কিত রত্ন হল পান্না।
বৃহস্পতি: বৃহস্পতিকে জ্ঞানের ও প্রতিভার কারক গ্রহ বলা হয়। বৃহস্পতির শুভ প্রভাবে ব্যক্তির জ্ঞান, ধন, সম্পদ এবং সন্তানদের সুখ বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতির সাথে সম্পর্কিত রত্ন হল পোখরাজ।
শুক্র: শুক্রকে প্রেমের গ্রহ বলা হয়। শুক্রের শুভ প্রভাবে ব্যক্তির প্রেম জীবন সুখী হয়, আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। শুক্রের সাথে সম্পর্কিত রত্ন হল হীরা।
শনির: শনিকে কর্ম ফল দাতা ও ভাগ্যের কারক গ্রহ বলা হয়। শনির শুভ প্রভাবে ব্যক্তির ভাগ্য উজ্জ্বল হয়, জীবনে সাফল্য লাভ হয় এবং কর্মজীবনে উন্নতি হয়। শনির সাথে সম্পর্কিত রত্ন হল নীলা।
জ্যোতিষশাস্ত্রে একটা খুব প্রচলিত কথা আছে। 'শনিবত্ রাহু' ও 'কুজবত্ কেতু'। রাহু ও কেতু অনেক বিষয়েই যথাক্রমে শনি ও মঙ্গলের মত বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে ও তদনুরূপ ফল প্রদান করে।
.রাহু:রাহুর রত্ন হলো গোমেদ। গোমেদ ধারণ করলে ব্যক্তির জীবনের বাধা-বিঘ্ন দূর হয়।
কেতু: কেতুর রত্ন হলো বৈদুর্য্যমণি। বৈদুর্য্যমণি ধারণ করলে ব্যক্তির জীবনের অশুভ প্রভাব দূর হয়।
গ্রহ রত্নের ব্যবহার
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, গ্রহ রত্নের সঠিক ব্যবহার করলে ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব। তবে, রত্ন ব্যবহারের আগে একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
গ্রহ রত্নের ব্যবহারের কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। রত্ন ব্যবহারের আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
রত্নটিকে সঠিকভাবে শুদ্ধ করা উচিত।
রত্নটিকে সঠিকভাবে ধারণ করা উচিত।
রত্নটিকে সঠিকভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
গ্রহ রত্নের ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তির জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব হলেও, এটি একটি আধ্যাত্মিক বিশ্বাস।
জ্যোতিষশাস্ত্রে নয়টি গ্রহ রয়েছে। প্রতিটি গ্রহের একটি করে রত্নের সংশ্লেষ রয়েছে। গ্রহের প্রভাব অনুযায়ী সেই গ্রহের রত্নের প্রয়োগ করা হয়।
গ্রহ রত্নের ব্যবহার করার আগে অবশ্যই একজন যোগ্য জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উচিত। জ্যোতিষী ব্যক্তির হাতের রেখা ও জন্মকুণ্ডলী বিচার করে সঠিক রত্ন এবং রত্ন ব্যবহারের উপায় নির্ধারণ করে দেবেন।
গ্রহ রত্নের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনে সুফল লাভ করতে পারি। তবে, গ্রহ রত্নের অপব্যবহারের মাধ্যমে আমরা ক্ষতিগ্রস্তও হতে পারি। তাই, গ্রহ রত্নের ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
গ্রহ রত্নের ধারণের নিয়ম
গ্রহ রত্নের সঠিক রত্ন নির্বাচন করা উচিত।
রত্নটি যেন খাঁটি এবং পরিষ্কার হয়।
রত্নটি যেন সঠিকভাবে ধারণ করা হয়।
রত্নটি যেন নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়।
গ্রহ রত্নের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, এবং সফলতা অর্জন করতে পারি।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন