পোস্টগুলি

“রানাঘাট থেকে Just Dial Scam: কিভাবে সচেতন থাকবেন গ্রাহকরা”

ছবি
 Just Dial Scam: প্রতারণা, বিশ্বাস ও সচেতনতার পাঠ ECS next installment আমি ডঃ প্রদ্যুত আচার্য, একজন জ্যোতিষী ও হস্তরেখা বিশ্লেষক, রানাঘাটের MyAstrology এর মাধ্যমে অনলাইনে হস্তরেখা ও জন্মকুন্ডলি বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন জ্যোতিষ পরিসেবা প্রদান করি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে Just Dial এর বিভিন্ন মার্কেটিং এজেন্ট আমাকে ফোন করে সার্ভিস নিতে প্রস্তাব করত, কিন্তু আমি সবসময় তা অস্বীকার করেছি। সম্প্রতি, একজন এজেন্টের প্রলোভনে আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। তিনি আমাকে বললেন, কমপক্ষে এক মাসের জন্য Just Dial প্রোফাইল সক্রিয় করতে ২,৮৩২ টাকা দিতে হবে, এবং তিনি আশ্বাস দিলেন—“২,৮৩২ টাকা লস হয়ে গেলেও আপনি একজন স্বনামধন্য জ্যোতিষী, মরে যাবেন না।” এই কথায় আমি কিছুটা ভরসা পেয়ে রাজি হই। পরবর্তীতে আমার চেম্বারে উপস্থিত হন Arnab Paul নামের Just Dial marketing agent। তিনি আমাকে প্রলোভন দেখান— প্রতি মাসে ২,৮৩২ টাকা করে ৩ মাসের পেমেন্ট করতে হবে, যাতে ছয় মাস প্রোফাইল লাইভ থাকে। রানাঘাট এড়িয়ার সার্ভিস নিলে নইহাটি এড়িয়া ফ্রি অন্তর্ভুক্ত। প্রথম দুই মাসের পেমেন্ট অন-স্পট দিতে হবে, বাকি এক মাসের টাকা ব্যাংক থেকে স...

দীক্ষা ও সত্যপথ: আত্মসমর্পণ ও চিরস্থায়ী মুক্তি – শেষ অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat  চিরশত্রুর মিলন ও মুক্তি: অহংকার ভাঙার মহাগাথা লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ ভুবন শেঠ ও বিবেক বাবু একসাথে গুরুদেবের আশ্রমে পৌঁছালেন। ভুবন শেঠ ধীরস্থির কণ্ঠে বললেন— “গুরুদেব, আজ আমার ঝুলি পূর্ণ হয়েছে। আজ আমি শুধু খাদ্য বা দ্রব্য সমর্পণ করিনি, আমি আমার অহংকারের শেষ বাঁধনও এখানে সমর্পণ করেছি।” গুরুদেব ঝুলির দিকে তাকালেন, তারপর ধীর হাসি মুখে বললেন— “ভুবন, এবার সত্যিকার দক্ষিণা পূর্ণ হয়েছে। তোমার আসল দক্ষিণা ছিল এই আত্মসমর্পণ। তুমি সংগ্রহ করেছো শুধু খাদ্যের জন্য নয়, নিজের হৃদয়কে খোলা ও শত্রুকে ক্ষমা করার শক্তি অর্জনের জন্য। এটাই প্রকৃত ভিক্ষা।” তারপর গুরুদেব বিবেক বাবুর দিকে চোখ দিয়ে দেখলেন— “বিবেক, তুমি যে নিজের হৃদয় সমর্পণ করেছ, এটাই তোমার সত্যিকার দক্ষিণা। তোমরা দু’জন একসাথে সত্যের দ্বারে প্রবেশের যোগ্য।” আশ্রমের নীরবতা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ালো। শিষ্যরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে, গুরুদেবের এই মুহূর্তের মহত্ত্ব অনুভব করছিল। ভুবন শেঠ ও বিবেক বাবু একসাথে দীক্ষা নিলেন। গুরুদেব মাথায় করুণার হাত রাখলেন এবং বললেন— ...

শত্রুর দ্বারে ভিক্ষা: বিবেক বাবুর হৃদয় গলে যাওয়া – পঞ্চম অংশ

ছবি
MyAstrology Ranaghat    চিরশত্রুর দ্বারে ভিক্ষা: অহংকার ভাঙার মহাপাঠ লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ পরদিন ভোরে ভুবন শেঠ আবারও ভিক্ষার বসন পরিধান করে বেরোলেন। কাঁধে ঝুলি, চোখে অদ্ভুত এক সংকল্প, অন্তরে ভরা ভয় আর প্রত্যয়ের এক অদ্ভুত মিলন। গ্রামের পথ পেরিয়ে তিনি এবার ছুটলেন সোজা বিবেক বাবুর প্রাসাদের দিকে। প্রাসাদের ফটকে দারোয়ান তাঁকে দেখে হতবাক। “এ কী! ভুবন শেঠ আপনি! ভিক্ষুকের বেশে কেন?” খবর মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছল বিবেক বাবুর কানে। ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি দোতলা থেকে ব্যালকনিতে ছুটে এলেন। প্রথমে চিৎকার করে বললেন— “ধরো! এই ভণ্ডকে বেঁধে রাখো!” কিন্তু যখন তাঁর চোখ পড়ল ভিক্ষুকের বেশে দাঁড়ানো ভুবন শেঠের উপর , তখনই যেন পৃথিবী থমকে গেল। অভিমানী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তিনি দেখলেন এক ভগ্ন অহংকারহীন মানুষ— ঝুলি পেতে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর দয়ার আশায়। বিবেক বাবুর শরীর কেঁপে উঠল। তাঁর অহংকার, ক্রোধ মুহূর্তেই গলে গেল। ব্যালকনি থেকে দৌড়ে নেমে এসে ভুবন শেঠকে বুকে জড়িয়ে ধরে তিনি কেঁদে ফেললেন। কাঁপা গলায় বললেন— “বন্ধু, এ কী অবস্থা তোর? তুই আমার দ্...

ভিক্ষার পথে: অহংকারের প্রতিটি স্তর ধ্বংস – চতুর্থ অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat  ভুবন শেঠের চূড়ান্ত পরীক্ষা: চিরশত্রুর দ্বারে ভিক্ষা লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ অবশেষে নির্ধারিত দিনে ভুবন শেঠ গুরুদেবের কাছে পৌঁছালেন। ভিক্ষা সংগ্রহের ঝুলি কাঁধে, চোখে গভীর বিনম্রতা, তিনি প্রণাম করে বললেন— “গুরুদেব, আপনার আদেশ মতো ভিক্ষা সংগ্রহ করে এনেছি। দয়া করে আজ আমাকে দীক্ষা দিন।” গুরুদেব ধীরচিন্তায় ঝুলির দিকে তাকালেন। একটি মুহূর্ত নীরবতার পর তিনি হাত বাড়িয়ে সমস্ত দ্রব্য স্পর্শ করলেন। তারপর শান্ত অথচ কঠিন কণ্ঠে বললেন— “না ভুবন, দক্ষিণা পূর্ণ হয়নি। তুমি এখনো সম্পূর্ণ ভিক্ষা জোগাড় করতে পারোনি।” এই এক বাক্যে ভুবন শেঠ যেন বজ্রাহত। আশ্রমে উপস্থিত অন্য শিষ্যরাও হতভম্ব। ভুবনের অন্তর কেঁপে উঠল—সে জানত সমস্ত গ্রামের দ্বারেই ভিক্ষা চেয়েছে, তবু একমাত্র দরজায় ঝুলি পাততে পারেনি। সেই দরজার পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন— চিরশত্রু বিবেক বাবু। অতীতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অহংকার, গর্ব—সবকিছু যেন এক সূক্ষ্ম সুতোয় বাঁধা। সেই সুতো ভাঙতে না পারা ভুবনকে এখনও পূর্ণ মুক্তি থেকে বঞ্চিত করছিল। তাঁর অন্তর জানল, শেষ পরীক্ষা ...

গুরুদেবের শর্ত: অহংকার ভাঙার চাবিকাঠি – তৃতীয় অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat  ভুবন শেঠের অহংকার ভাঙা: ভিক্ষার মাধ্যমে আত্মজীবনের নতুন অধ্যায় লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ রাত্রি গড়িয়ে দিন, দিন গড়িয়ে সপ্তাহ—ভুবন শেঠের মনের অস্থিরতা যেন কখনো থামছিল না। তার ধন-সম্পদ, বিশাল সাম্রাজ্য, সামাজিক মর্যাদা—সবকিছুর ভেতরে লুকিয়ে ছিল এক অপূরণীয় শূন্যতা। দিন দিন ভুবন বুঝতে লাগলেন, গুরুদেবের কথা ভুল নয়। সত্যিই, সম্পূর্ণ অহংকার ত্যাগ না করলে মানুষ কি সত্যের পথযাত্রী হতে পারে? অবশেষে এক দিন তিনি আবার গুরুদেবের আশ্রমে ফিরে এলেন। অন্তরের সমস্ত বিনম্রতা নিয়ে প্রণাম করলেন— > “গুরুদেব, আমি বুঝতে পেরেছি। দয়া করে আমাকে দীক্ষা দিন। আমার ভুল ক্ষমা করুন।” গুরু মৃদু হেসে বললেন— > “দীক্ষা চাইলে আগে গুরুদক্ষিণা চাই। তবে ভয় পেও না, তোমার ধনসম্পদ থেকে আমি কিছু চাই না। তোমার দক্ষিণা হবে ভিক্ষা। তোমাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা চাইতে হবে। যখন সেই ভিক্ষা তুমি আমার কাছে আনবে, তখনই দীক্ষা সম্ভব হবে।” ভুবন শেঠ প্রথমে স্তম্ভিত। এত বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি, শত শত মানুষের জীবিকা তাঁর হাতে—তবুও এক খালি ঝুলি ও ভি...

মেয়েটির এক বাক্য: আসল কাজ কোথায়? – দ্বিতীয় অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat 

অসুখী ধনকুবের: ভুবন শেঠের অন্তরের খোঁজ – প্রথম অংশ

ছবি
MyAstrology Ranaghat    ভুবন শেঠের অন্তরের যাত্রা: ধন, অহংকার ও জীবনের আসল কাজ লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ ভুবন শেঠ ছিলেন এক প্রসিদ্ধ ও দয়ালু ব্যক্তি—তাই নামটি শুনলেই চারিদিকে এক অদ্ভুত শ্রদ্ধার সঞ্চার হতো। তিনি ছিলেন অপার ধন-সম্পদের মালিক; রূপা-সোনা, হীরক-মুক্তা যেন তার জীবনের প্রতিদিনের খেলনা। তবুও, অসহায় মানুষদের সহযোগিতা ও দানে তার অন্তহীন আগ্রহ তাকে আলাদা পরিচয় দিয়েছিল। বৃহৎ ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য, শত শত কর্মচারীর আনাগোনা, রাজসভায় প্রভাব—সবকিছুতে ভুবন শেঠের উপস্থিতি অনুভূত হতো। তবুও, ভুবন শেঠের অন্তরে শান্তি ছিল না। ধন-সম্পদ মানুষের চোখে মর্যাদা আনে, কিন্তু নিজের ভিতরের শূন্যতাকে ঢাকতে পারে না। ভুবন শেঠ দিন-রাত অস্থিরতায় ভুগতেন। বিশেষত, তাঁর জীবনের এক অদৃশ্য শূল ছিল—বিবেক বাবু। এক সময় বন্ধু, পরে প্রতিদ্বন্দ্বী। এই সম্পর্কের প্রতিযোগিতাই যেন তার নিশ্বাসকে বিষিয়ে তুলেছিল। অর্থে সমান, প্রভাবে সমান, অথচ একে অপরকে হারানোর লোভে দু’জনেই যেন অর্ধেক জীবন পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। একদিন ব্যবসার কাজ সেরে ভুবন শেঠ ক্লান্ত দেহে শয্যায...