পোস্টগুলি

রাশি ও জন্ম নক্ষত্র – মানুষের স্বভাব, ভাগ্য | MyAstrology

ছবি
রাশি ও জন্ম নক্ষত্র – মানুষের ভাগ্য, স্বভাব ও চরিত্র প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র শুধু গণনার বিদ্যা নয়, এটি মানুষের অন্তর্লোক ও মহাজাগতিক শক্তির এক গভীর সংলাপ। রাশি হলো সেই আকাশপথ, যেখানে গ্রহ-নক্ষত্রের নিরন্তর চলাচল মানুষের জীবনের গতিপথ নির্দেশ করে। আবার জন্ম নক্ষত্র হলো সেই আধ্যাত্মিক আলো, যা জন্মের মুহূর্তে আমাদের চেতনার বীজ রোপণ করে। বৈদিক দর্শনে বলা হয়েছে – “যথা পিণ্ডে তথা ব্রহ্মাণ্ডে” , অর্থাৎ মানুষের জীবনে যা ঘটে, তা মহাজাগতিক ছন্দেরই প্রতিফলন। প্রতিটি রাশি মানুষের বহিরাঙ্গ চরিত্র, সামাজিক পরিচয় ও জীবনপথের প্রতীক। অন্যদিকে প্রতিটি নক্ষত্র মানুষের অন্তর্গত মনোভাব, প্রবৃত্তি ও কর্মফলের সূক্ষ্ম দিক প্রকাশ করে। তাই একজন মানুষকে জানতে হলে শুধু রাশি নয়, তার জন্ম নক্ষত্রের রহস্যও বিশ্লেষণ করা জরুরি। এখানেই জ্যোতিষশাস্ত্র দার্শনিক এক শিল্পে রূপ নেয় – যেখানে গণনা ও চেতনার মিলনে সত্য উদ্ভাসিত হয়। আজকের আলোচনায় আমরা ২৭টি জন্ম নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলব। প্রত্যেক নক্ষত্রের নিজস্ব শক্তি, চরিত্র, স্বভাব ও ভাগ্য...

জীবন মানেই পরিবর্তন: মহাভারতের আলোকে জ্যোতিষ মানচিত্র

ছবি
  Dr prodyut Acharya  নিজস্ব ধর্মে দৃঢ় থাকা – জীবন ও জ্যোতিষ দর্শন প্রতিটি মানুষ একা, প্রত্যেকে তার নিজস্ব চিন্তাভাবনা, অভিজ্ঞতা ও মানসিকতার ফলাফল। এই বাস্তবতাটিই মানুষকে করে তোলে অনন্য। কেউ নিখাদ যুক্তিতে বিশ্বাসী, কেউ আবেগে, আবার কেউ কর্মফলে। যেমন মহাভারতের প্রতিটি চরিত্র —কৃষ্ণ, কর্ণ, ভীষ্ম, দ্রোণাচার্য, শকুনি, দুর্যোধন—সবাই নিজেদের স্বধর্মে অটুট ছিলেন, চূড়ান্ত পরিণতি যাই হোক না কেন। তাদের সিদ্ধান্ত কখনও ছিল আত্মত্যাগমূলক, কখনও ধ্বংসাত্মক—তবুও তারা নিজের বিশ্বাসচ্যুত হননি। গীতার তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ বলেন— 👉 "শ্রেয়ান্ স্বধর্মো বিরতঃ, পরধর্মো ভয়াবহঃ" অর্থাৎ নিজের ধর্ম পালন করে মৃত্যুও শ্রেয়, অপরের ধর্ম পালন বিপজ্জনক। আমার জ্যোতিষ জীবনেও বহুবার দেখেছি—মানুষ নিজের অচলায়তন বিশ্বাস, অভ্যাস, প্রবৃত্তির শিকার হয়। সমস্যার মূল তাকে বোঝানো গেলেও সে নিজেকে পাল্টাতে চায় না। ❖ বাস্তব উদাহরণগুলো দেখলেই বোঝা যায় — একজন মানুষ তার সম্পর্কে অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছে, সম্পর্ক একতরফা, বারংবার অপমানিত হচ্ছে—তবু সে বলে, "আমি ভালোবাসি, সম্পর্ক রাখতেই হবে।" ...

জীবনের গোলকধাঁধায় ভাগ্যের সন্ধান

ছবি
    My Astrology  জীবনের বিভ্রান্তিতে ও ভাগ্যের অন্বেষণ — জ্যোতিষ ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এক আত্মজিজ্ঞাসা ✍️ জ্যোতিষ ও হস্তরেখাবিদ্ প্রদ্যুৎ আচার্য জীবনে কখনো কখনো এমন সময় আসে, যখন চারপাশের সব কিছুই যেন নিজের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মনে হয়। সহানুভূতির স্পর্শ দুর্লভ হয়ে ওঠে, সহযোগিতার আশ্বাস ফিকে হয়ে যায়। আপন মানুষগুলোও কেমন যেন নিজের হাত গুটিয়ে নিয়ে এক এক করে দূরে সরে যায়। তখন পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, বিশ্বাস করার মতো কেউ খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সময়গুলো কি নিছকই কাকতালীয়, না কি এও গ্রহ-নক্ষত্রের গভীর প্রভাব? দেখা যায়, কিছু মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচণ্ড চেষ্টা করেও কোনওভাবে সফল হতে পারছে না। আবার অন্য কেউ সামান্য প্রয়াসেই উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে ফেলছে জীবনে। এমন অসম সমীকরণ কিসে নির্ধারিত হয়? এগুলো কি শুধুই পরিশ্রমের তারতম্য, নাকি জ্যোতিষশাস্ত্রে বর্ণিত জন্মকালের গ্রহের অবস্থানেরই প্রভাব? ব্যর্থতা মানেই পরাজয় নয় আপনি যদি জীবনে প্রচুর প্রচেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, তবে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই—যদি নিশ্চিত হন আপনি আপনার যোগ্যতা ও শক্তির শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছিল...

বেদ থেকে বিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্রের অজানা ইতিহাস ও আধুনিক প্রয়োগ

ছবি
MyAstrology জ্যোতিষশাস্ত্র: আলো, যুক্তি ও আত্মদর্শনের একটি পথ ✍️ জ্যোতিষ ও হস্তরেখাবিদ্ ডঃ প্রদ্যুৎ আচার্য 🌟 জ্যোতিষ: শব্দার্থ ও আত্মার আলোকবিন্দু “জ্যোতিষ” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “জ্যোতি” থেকে, যার অর্থ—আলো, দীপ্তি, চেতনার উন্মেষ। এই আলো বাহ্যিক নয়, বরং অন্তরাত্মার দিশারী। জ্যোতিষ সেই শাস্ত্র, যেখানে আলোচ্য বিষয় হল জ্যোতিষ্ক—অর্থাৎ গ্রহ, নক্ষত্র, তাদের গতি ও মানসিক প্রতিফলন। অন্যদিকে, গ্রীক শব্দ “Astrology” এসেছে Astro (নক্ষত্র) + Logos (যুক্তি)। অর্থাৎ — “নক্ষত্রবিজ্ঞান” বা “নক্ষত্রসম্পর্কিত যুক্তিবাদ”। সংস্কৃতে একে বলা হয় — হোরাশাস্ত্র (Horāśāstra) — অর্থাৎ সময় বা কালজ্ঞানবিজ্ঞান। 🕉️ বেদের চক্ষু: শাস্ত্রের দার্শনিক ভিত্তি জ্যোতিষশাস্ত্র হল বেদাঙ্গ-এর একটি — বেদের ছয়টি অঙ্গ: ১) শিক্ষা, ২) কল্প, ৩) ব্যাকরণ, ৪) নিরুক্ত, ৫) ছন্দ, ৬) জ্যোতিষ। > 📖 "জ্যোতিষং চক্ষুষাম্" — “জ্যোতিষ হলো বেদের চোখ।” এই চোখ শুধু জ্যোতির নয়, এটি সময়, চেতনা ও আত্মোপলব্ধির অন্তর্দৃষ্টি। এই কারণেই প্রাচীন ঋষিরা বলেন— > “যে নিজের আত্মাকে জানে, সে-ই জ্য...

জন্ম আমার হাতে নয়, তবুও আমি স্বাধীন— জীবনকে মেনে নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি

ছবি
  “আমি কে?” — জন্ম, নিয়তি ও মুহূর্তের আত্মজিজ্ঞাসা ✍️ প্রদ্যুৎ আচার্য ছোটবেলা থেকেই জীবনের কঠোর বাস্তবতা আমাকে এক গভীর প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে— “আমি কেন জন্মালাম?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি এক অন্যরকম বোধে পৌঁছেছি— একটি দীর্ঘ উপলব্ধির পথ পেরিয়ে, যা আজও চলছে। আমার জন্ম আমার ইচ্ছা অনুযায়ী হয়নি। বিশ্বে এত পরিবার থাকতে, কেন আমি এই পরিবারেই জন্মালাম? একজন ধনী, প্রতিপন্ন পরিবারেও তো জন্ম হতে পারতো? ঠিক যেমন মৃত্যু কখন, কিভাবে, কোথায় হবে— সেটাও আমি ঠিক করতে পারবো না। 📖 "We can never know the thing-in-itself" — ইমানুয়েল কান্ট (Immanuel Kant) (আমরা কোনো কিছুর প্রকৃত স্বরূপ কখনোই জানতে পারি না) আমার জন্ম-মৃত্যু ঠিক তেমনই— আমার উপলব্ধির বাইরের জগৎ, যেখানে আমি কেবল অবলোকনকারী মাত্র। তবুও আমি বিশ্বাস করি— আমি স্বাধীন। কারণ আমি জীবনকে মেনে নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, যা ঘটছে তা-ই ঘটার কথা ছিল। এই গ্রহণযোগ্যতার মধ্য দিয়েই আমি মুক্তির স্বাদ পাই। আমার অস্তিত্ব এই প্রকৃতির অংশ। তাই আমার মধ্যেও প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য থাকবে— আনন্দ, দুঃখ, হাসি, কান্না, উৎসাহ ও বিষণ্ণতা। এই অনুভূতিগুলোকে আম...

হস্তরেখার রেখায় লুকিয়ে আছে এক অলৌকিক নিউরোসায়েন্স!

ছবি
MyAstrology   “হাত দিয়ে কি সত্যিই মন ভালো রাখা সম্ভব?” ✍️ প্রদ্যুৎ আচার্য  ---- নিভৃতে বসে থাকা গুরুদেবের পাশে এসে শিষ্য বলল, “গুরুদেব, একটা প্রশ্ন জাগে… ছোটবেলা থেকেই শিখিয়েছে প্রণাম করতে, হাত জোড় করতে। কিন্তু ভগবানের সামনে তো ঠিক আছে, কিন্তু মা বাবা ও গুরু স্থানীয় কাউকে ছাড়া প্রণাম করা কি নিজেকে ছোট করা নয়?” গুরুদেব মুচকি হেসে বললেন, “হাত জোড় মানে নিজেকে ছোট করা নয়, বরং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা, অর্থাৎ মস্তিষ্কের দুই অর্ধাংশের মাঝে বন্ধন তৈরি করা। যেখানে মনের আবেগ আর যুক্তির মধ্যকার সংঘর্ষে শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।” শিষ্য কিছুই বুঝতে না পেরে একটু কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করল— “কিন্তু গুরুদেব, আমি জানতে চাই এটা কি কেবল শিষ্টাচার বা সংস্কৃতি, না এর পেছনে কোনো বিশেষ কারণ আছে?” গুরু বললেন, “চলো তাহলে শুনি বৈজ্ঞানিক দর্শনে হস্তরেখা সম্বন্ধে— এই তিনের এক অপূর্ব সমন্বয়ের কথা।” --- 🧠 মস্তিষ্ক ও হাতের বিজ্ঞান মানুষের মস্তিষ্ক সাধারণত দু'ভাগে বিভক্ত: 🔹 বাম মস্তিষ্ক (Left Hemisphere) — যুক্তি, বিশ্লেষণ, ভাষা সৃষ্টি করে এবং শরীরের ডান পাশ নিয়ন্ত্রণ করে। 🔹 ডান মস্তিষ্ক (Right Hemisph...

জ্যোতিষ পরামর্শ পেতে এখনই জানুন ড. প্রদ্যুৎ আচার্যের কথা!

ছবি
Dr Prodyut Acharya  পশ্চিমবঙ্গের একজন বিশিষ্ট জ্যোতিষী: ড. প্রদ্যুৎ আচার্য – যাঁর জ্যোতিষশাস্ত্র মানেই বিজ্ঞান, গবেষণা ও সেবা --- 🌟 পরিচয় ড. প্রদ্যুৎ আচার্য – শুধুমাত্র একজন জ্যোতিষী নন, তিনি একজন গবেষক, দর্শনের শিক্ষার্থী এবং আধুনিক যুগের জ্যোতিষ-বিজ্ঞান চর্চার অগ্রপথিক। তিনি ভারতের অন্যতম সম্মানজনক বিশ্ববিদ্যালয় SKAVSA-র PhD (Gold Medalist) সহ একাধিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং "Vidya Baridhi", "Jyotish Acharya", "Gem Therapist" ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত। তিনি এখন রানাঘাট নাসড়া থেকে অনলাইন ও সরাসরি পরিষেবা দিয়ে থাকেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড MyAstrology বর্তমানে ভারতের অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য জ্যোতিষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে স্বীকৃত। --- 📚 অভিজ্ঞতা ও স্বীকৃতি ড. আচার্য 15 বছরেরও বেশি সময় ধরে জন্মকুণ্ডলী বিশ্লেষণ, শুভ সময় নির্ধারণ, জন্মতিথি ও পঞ্চাঙ্গ ব্যাখ্যা, রত্ন ধারণ পরামর্শ, বিবাহ ও প্রেম সমস্যা সমাধান, Palmistry & Numerology সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছেন। তাঁর ক্লায়েন্টদের মধ্যে রয়েছেন – বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিক্ষিত শ্রেণি, প্রবাসী ভারতীয়রা, বহু রাষ্ট্রীয়...