পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে আমরা সঠিকভাবে কিছুই জানি না, আজ আমি আপনাদের সঙ্গে পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব | আমি আলোচনা করব জ্যোতিষশাস্ত্রের কিছু বিষয় নিয়ে, জ্যোতিষশাস্ত্র বেদের অঙ্গ, বেদের আর এক নাম শ্রুতি | এই বেদ গুলোকে অনেক মানুষ শুধু ধর্মগ্রন্থ ভেবে ভুল করে থাকে, এগুলো শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থই নয়, এই গ্রন্থ গুলোর মাধ্যমে মানব জাতিকে উন্নত করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে | বেদ এমন এক গ্রন্থ যার শিক্ষা হাজার হাজার বছর পর ও মানুষকে উন্নত করতে সাহায্য করে | আপনি ভাবছেন বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এখন যথেষ্ট উন্নত | আপনার ভাবনাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি, কিন্তু আমি যেই বিষয়গুলো তুলে ধরতে চাই সেই বিষয়গুলো একটু বোঝার চেষ্টা করবেন | বেদ সম্বন্ধে যতটুকু জানা যায় তা হল বেদ পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন গ্রন্থ, এবং বেদ মানুষ দ্বারা সৃষ্ট নয়, ঈশ্বর দ্বারা সৃষ্ট | ঈশ্বর কথাটা বাদ দেওয়া হলে, তাহলে কারা সৃষ্টি করেছে? | পৃথিবীর ইতিহাস সম্বন্ধে আমরা কেউই সঠিকভাবে জানিনা | প্রত্নতাত্ত্বিকরা সত্যের সন্ধান করে চলেছে |
ইতিহাস সম্বন্ধে আমরা যতটুকু জানি তা মাত্র 500--1000 বছরের, তার আগের সব কিছুই আনুমানিক | ইতিহাস অনুযায়ী তখনকার মানুষ বন্য ধরনের ছিল তারা পাথরের অস্ত্র দিয়ে নিজেদের সমস্ত প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করত | তারপরে এল তাম্রযুগ অর্থাৎ তামার ব্যবহার শিখেছে | তামা হোক বা পাথর হোক সেটা কোনো বিষয় নয়, বিষয় হল তখনকার যুগের নির্মাণ পৃথিবীর কিছু প্রাচীন নির্মাণ যেমন মায়া সভ্যতা, হরপ্পা মহেঞ্জোদারো, কৈলাস শিব মন্দির, অনেক হিন্দু মন্দির, মিশরের পিরামিড, এছাড়াও আরো বহু নির্মাণ, এগুলো কোনরকম লোহার ব্যবহার না করেই করা হয়েছিল | এর অনেক নির্মাণ আজও পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে আছে |
এই নির্মাণ গুলো কারা তৈরি করেছে?, কোন রকম উন্নত প্রযুক্তি ছাড়া এই ধরনের নির্মাণ তৈরি করা কি সম্ভব? প্রতিটি নির্মাণে আছে অত্যাধুনিক কারিগরি দক্ষতার ঝলক, বাস্তুশাস্ত্র অসাধারণ সামঞ্জস্য, সঠিক দিক নির্ণয় পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল, গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক স্থানে এই নির্মাণ গুলো গড়ে উঠেছিল, যা কখনোই উন্নতি প্রযুক্তি ছাড়া সম্ভব নয় | আপনি নিজেই ভেবে দেখুন এগুলো কি পাথরের অস্ত্র বা শুধুমাত্র তামার অস্ত্র দিয়ে নির্মাণ করা সম্ভব?, সম্ভব নয় |
এবার চলে আসি পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম গ্রন্থ গুলোর দিকে পৃথিবীর নানা ধর্মগ্রন্থে আজব কিছু কথা উল্লেখ রয়েছে যেমন ঈশ্বরের আকাশপথে উড়ে যাওয়ার কথা, বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষ আকাশপথে উড়ে যেতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু তখনকার মানুষের মনে কিভাবে এই কল্পনার উদয় হয়েছিল?| আপনি কখনো কোন একটা জিনিস না খেয়ে তার স্বাদ বর্ণনা করতে পারেন? কোন জিনিস না দেখে তার রূপ বর্ণনা করতে পারেন? তা কখনোই সম্ভব না। আবার ধর্ম গ্রন্থগুলোর মধ্যে অদ্ভুত কিছু শক্তির কথা উল্লেখ আছে যেমন নর্স পুরানে থর নামে একজন দেবতাকে পাওয়া যায়, তার অস্ত্র বলতে ছিল এক প্রকাণ্ড হাতুড়ি, সে সেই হাতুড়ি দ্বারা মেঘ বজ্রপাত ও বাতাস কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত, এবং সে হাতুড়ির আঘাতে পাহাড়ও চূর্ণ করতে পারত। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মহাভারত, রামায়ণে, এমন সব শক্তির উল্লেখ আছে | যেমন বান শত্রুকে খুঁজে মারতো, আবার ফিরে আসত, যা বর্তমান যুগের মিসাইলের মতো। পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে আরো অনেক মহাশক্তিশালী অস্ত্রের কথা উল্লেখ আছে, এগুলো কি নেহাতই কল্পনা?
তাহলে এক যোগে সারা পৃথিবীর মানুষের মনে মধ্যে কেনই বা একই রকম কল্পনার উদয় হলো?। বর্তমান যুগে বিজ্ঞানের উন্নত প্রযুক্তির দ্বারা টেস্ট টিউবে শিশুর জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু মহাভারতে এমন ঘটনার উল্লেখ করার প্রয়োজনীয়তা কেন পরেছিল? যেমন গান্ধারীর 100 পুত্র ও একজন কন্যা আলাদা আলাদা পাত্রে তৈরি করা হয়েছে, এটা কি বর্তমান বিজ্ঞানের টেস্ট টিউবের ইঙ্গিত করে না? আবার বিজ্ঞানের নতুন নতুন চিন্তাধারার মাধ্যমে হলিউড মুভিতে দেখা যায় আয়রন ম্যান নামে একজন হিরোকে, সে যেখানেই থাকুক না কেন, তার কাছে এমন এক ডিভাইস আছে যেটা চাপ দিলে একটা রোবটের মত সুরক্ষা কভার তার শরীর ঢেকে দেয়, মুভিতে এই আয়রন ম্যান কে দেখলে আমার মহাভারতের কর্ণের কথা মনে পড়ে, সূর্যপুত্র কর্ণ যেখানেই কোনো অ-সুরক্ষা বোধ করতেন কবচকুণ্ডল তাকে রক্ষা করতে। এটা হলিউড মুভির থেকেও একধাপ এগিয়ে, হলিউড মুভিতে ডিভাইস চাপ দিতে হয়,
কিন্তু মহাভারতের কর্ণের সেই ডিভাইস ও চাপ দিতে হতো না সে নিজেকে অসুরক্ষিত মনে করলেই কবচকুণ্ডল তাকে রক্ষা করতো, অর্থাত অনেকটা সেন্সর টেকনোলজির মত, এই ধরনের ভাবনা মানুষের মাথায় কি করে আসলো? বর্তমান যুগেও আবিষ্কার অসম্পূর্ণ, শুধুমাত্র মুভিতে দেখা যায় | এ কথা বাদ দিলাম তখনকার যুগে পর্বত চিত্রে বিমান, মহাকাশযান, মহাকাশচারী, কম্পিউটার, এই ধরনের চিত্র তৈরি করার আইডিয়া মাথায় এলো কি করে?। বোঝা যায় ধর্মগ্রন্থগুলোতে যা লেখা আছে তা নিছক গল্প নয় সত্য, তা আমরা এখনো প্রমাণ করতে পারিনি, এর কারণ ধর্মগ্রন্থগুলো কু-সংস্কার বলে বিজ্ঞানের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। ইতিহাস অনুযায়ী মানুষ যখন প্রস্তর যুগে বা তাম্র যুগে, তখনকার মানুষ কিভাবে পৃথিবীতে এই ধরনের স্থাপত্য তৈরি করতে পারে? কিভাবে গ্রন্থগুলোতে এই ধরনের ঘটনাগুলো তুলে ধরতে পারে? রামায়নে হনুমানের কথা সবাই শুনেছি ছোটবেলায় সূর্যকে ফল ভেবে লাভ দিয়ে খেতে চলে গিয়েছিল, পৃথিবী থেকে সূর্য কে লাফ মেরে ধরার জন্য কতটা পথ হনুমান অতিক্রম করেছিল, তা হনুমান চল্লিশায় সঠিক এবং সুন্দর ভাবে বর্ণিত করা আছে।
আমি মেনে নিয়েছি, সূর্যকে লাফ দিয়ে ধরা সম্ভব নয়, এটা শুধু গল্প মাত্র, কিন্তু তারা পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব কতটা এতটা সঠিক অনুমান কিভাবে করেছিল? এটা কি কোনো উন্নত টেকনোলজি ছাড়া সম্ভব? সম্ভব নয়। পৃথিবীর প্রাচীন জ্যোতির্বিদ ভাস্করাচার্য পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয় করেছিলেন, তা সঠিক হলোই বা কি করে?।
তাহলে পৃথিবীতে আমরা যেভাবে চিনেছি এটা তার আসল পরিচয় নয়, পৃথিবী কোন একসময় অনেক উন্নত ছিল, সেই উন্নত মানুষের দ্বারা পৃথিবীর প্রাচীন গ্রন্থ গুলো সৃষ্টি, তারা প্রাচীন গ্রন্থ গুলোর সৃষ্টি করেছিল ভবিষ্যতের মানুষদের উন্নত করতে, আর এই প্রাচীন গ্রন্থ গুলোর মধ্যে আছে সমস্ত রকম শিক্ষার ভান্ডার, আর বেদ হলো সর্বাধিক প্রাচীন গ্রন্থ জ্যোতিষ হলো তার চক্ষু, তাই জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিধি ও বিধান, ধন্বন্তরি ওষুধের মত কার্যকরী। জ্যোতিষশাস্ত্র ভাগ্য পরিবর্তন করে না কিন্তু এই শাস্ত্রের সহযোগিতায় নিজের ভাগ্য নিজে তৈরি করা সম্ভব।
দাদা জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্পর্কে এতদিন কেউ এত ভাল হয় বোঝায়নি ধন্যবাদ তার জন্য
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনাকে সঙ্গে থাকবেন
মুছুনGood
উত্তরমুছুন