করোনা সংক্রমণ ভারতে থার্ড স্টেজ, বাড়ানো হবে লকডাউনের সময়সীমা ?
![]() |
ভিডিও কনফারেন্স |
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ এর গবেষণা অনুযায়ী ভারতবর্ষ সংক্রমণের পরিস্থিতি তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে, কারন এমন কিছু করোনা সংক্রমণ ব্যক্তি চিহ্নিত হয়েছে যারা কখনো বিদেশে যায়নি, বা বিদেশ থেকে আসা কোন ব্যক্তির সংস্পর্শ আসেনি, তাই তারা মনে করছেন সংক্রমণ তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করেছে |তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করলে তখন কোথা থেকে সংক্রমণ হচ্ছে এর কোন পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে | কিন্তু ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক তাদের এই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন, ভারত মন্ত্রকের থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছে, যে এই ধরনের সংক্রমণ গুলো শুধু সেই এলাকাগুলোতে পাওয়া গেছে, যেখানে করোনা আক্রান্ত রোগী বেশি | সেই এলাকাগুলোকে হৎস্পট নামে চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং এলাকাগুলোকে সিল করে দেওয়া হয়েছে | সেই সমস্ত এলাকার মানুষের কোনরকম ঘর থেকে বের হবার অনুমতি নেই | তাই ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ধারণা, সংক্রমণ এখনো তৃতীয় স্তরে পৌঁছয়নি, কিন্তু মানুষ সচেতন না হলে সংক্রমণ এইভাবে বাড়তে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি আমরা তৃতীয় স্তরে পৌঁছে যেতে পারি | যেকোনো মূল্যেই ভারতবর্ষকে তৃতীয় স্তরে যাবার থেকে রক্ষা করতে হবে, এর জন্য আমাদের সকলকে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে | বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী করোনা ভাইরাস এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত, ভারতবর্ষকে তৃতীয় স্তরের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে লকডাউন একমাত্র উপায় | বিভিন্ন দেশ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করবার চেষ্টা করছে, কিন্তু আবিষ্কার হয়ে গেলেই সমস্যা মিটবে না, কারণ, কোন ওষুধ আবিষ্কার করা হলে তা 16 থেকে 18 মাস তার ফলাফল এর উপর বিশ্লেষণ করে, তারপর সাধারন মানুষের উপরে প্রয়োগ করা হয় | তাই করুনা সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব এবং লকডাউন এর মত সিদ্ধান্তই সবথেকে বেশি কার্যকরী |
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন, ওই বৈঠকে বেশিরভাগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সুপারিশ করেছেন, ফলে রাষ্ট্রীয়ভাবে আবার লকডাউন বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে | কত তারিখ পর্যন্ত লকডাউন এর সময়সীমা বাড়ানো হবে তা এখনও অফিশিয়াল ভাবে ঘোষণা করা হয়নি | মনে করা হচ্ছে 30 শে এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন এর সময়সীমা বাড়তে পারে | প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে, সকলকেই মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ করেছেন | সার্জিক্যাল মাস্ক না হলে, সাধারণ কাপড় দিয়ে নিজেরা ঘরে তৈরি করে ও ব্যবহার করতে পারেন, যদি তাও সম্ভব না হয়, তাহলে তাওয়াল গামছা রুমাল বা কোন কাপুর দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন | কারণ এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও একজনের থেকে আরেক জনকে সংক্রমণ করতে পারে | তাই নাক মুখ ঢেকে রাখলে সংক্রমণের সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কম থাকে | তাই নিজেদের পরিবার সুরক্ষিত রাখতে এবং দেশকে তৃতীয় স্তরে প্রবেশ করা থেকে রক্ষা করতে আমাদের সকলকেই লক ডাউনের সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে |
ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন
নমস্কার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন