MyAstrology — যুক্তি, আস্থা ও মানুষের মানসিক দ্বৈততা নিয়ে এক দার্শনিক বিশ্লেষণ ✍️ Prodyut Acharya সমাজে একটি প্রচলিত ধারণা হল: “বিশ্বখ্যাত মেধাবীরা সাধারণত ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না” বা তারা নাস্তিক । এই বক্তব্যটি যেমন বিভ্রান্তিকর, তেমনি একপাক্ষিক। কারণ "মেধা" বলতে আমরা কী বুঝি, এবং "বিশ্বাস" বা "আস্থা" মানে ঠিক কী — এই দুই বিষয় না বুঝলে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছানো স্বাভাবিক। 📚 মেধা কাকে বলে? — একটি বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি মেধা কেবলমাত্র পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বিষয় নয়। দার্শনিকের মেধা চিন্তাশক্তিতে, বিজ্ঞানীর মেধা বিশ্লেষণ আর পর্যবেক্ষণে, কৃষকের মেধা বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সৃষ্টিশীল প্রয়োগে, গৃহিণীর মেধা সংসার রচনায়, সাধকের মেধা আত্মোপলব্ধিতে। অর্থাৎ, মেধা একমাত্রিক নয় , এটি ক্ষেত্রভেদে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। ⚖️ ধর্ম বনাম বিজ্ঞান? নাকি পরিপূরক দু'টি পথ? আমরা মানবজাতির মানসিক গঠন যদি বিশ্লেষণ করি, দেখি মানুষের মধ্যে দুটি বিপরীতমুখী প্রবণতা রয়েছে: যুক্তি, বিশ্লেষণ, প্রমাণনির্ভর মনন — যা বিজ্ঞান জন্ম দেয় আস্থা, অনুভব, মান্যতা ও অ...
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
জাপানে সার্জারির মাধ্যমে হাতের রেখা তৈরী করে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়: বৈদ্যুতিক স্কাল্পেল দিয়ে 10 মিনিটে কী ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব ?
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
-
সার্জারির আগের ও পরের ছবি
হস্তরেখা বিচার ভারতবর্ষে প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে | হস্তরেখা শাস্ত্র অনুযায়ী হস্তরেখা পূর্ব জন্মের কর্মফল অনুযায়ী, মাতৃগর্ভেই সৃষ্টি হয়ে থাকে, এবং এই জন্মের কর্মফল অনুযায়ী তার পরিবর্তন হয় |
নিজের ভাগ্য সম্বন্ধে জানবার উৎসুকতা প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই থাকে, তাই মানুষ নিজের ও কোন প্রিয়জনের ভাগ্যের সম্বন্ধে জানতে, কোন জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হন | জ্যোতিষী তার জন্মতারিখ, জন্মসময়, জন্মস্থান, জেনে নিয়ে একটি জন্ম কুণ্ডলী প্রস্তুত করে, এবং জন্ম কুণ্ডলীতে গ্রহের অবস্থান অনুযায়ী তার অতীত বর্তমান সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করেন, ও ভবিষ্যতের সম্বন্ধে কিছু পূর্বাভাস দেন | আবার কোন জ্যোতিষী হাতের রেখা বিচার করার মাধ্যমে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বলে থাকে |কেউ কেউ আবার জন্ম কুণ্ডলী ও হাতের রেখা দুটো একসাথে বিচার করার মাধ্যমে, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, সম্বন্ধে বলে থাকেন | আমার মতে এটাই সব থেকে বেশি উপযোগী |
জ্যোতিষ শাস্ত্রের উৎপত্তি ভারতবর্ষে হলেও ভারতের থেকে এই শাস্ত্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে গেছে, এবং বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্বন্ধে বিভিন্নভাবে গবেষণা করা হচ্ছে | হস্তরেখা বিচার জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি অঙ্গ বলে ধরা হয়, কিন্তু আসলে হস্তরেখা বিচার সামুদ্রিক শাস্ত্রের একটি অঙ্গ | অনেকের জন্ম সময়ের গরমিল থাকার কারণে, জন্ম কুণ্ডলী দেখে সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়না, সে ক্ষেত্রে হাতের রেখা বিচার বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে নিখুঁতভাবে, মানুষের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিচার বিশ্লেষণ করা যায় | হস্তরেখাবিদ কিরো বেনহাম, এর নাম আমরা সকলেই শুনেছি, ইনি শুধুমাত্র হাতের রেখা বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে, মানুষের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করতেন | হস্তরেখা বিষয়ে কিরো বেনহামই পৃথিবীতে সবথেকে বেশি প্রচার ও প্রসার করেছেন | বর্তমান সময়ে হস্তরেখার গবেষণা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে | আমরা সকলেই জানি হাতের রেখা অনুযায়ী মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ হয় | গত কয়েক বছর ধরে ভাগ্য উন্নতির জন্য জাপান এবং কোরিয়ার মতো দেশে, প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে, হাতে প্রয়োজনীয় রেখা তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে |
Takaaki Matsuoka
জাপানের ডাক্তার Takaaki Matsuoka তার ক্লিনিকে $800/$1000 চার্জ নিয়ে প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে, হস্তরেখা বিশারদের পরামর্শ অনুযায়ী হাতের রেখার গঠন করে দেন |
তিনি ইতিমধ্যে বহু মানুষের হাতের রেখার প্রতিস্থাপন করেছেন, তার কথা অনুযায়ী ছেলেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম, যশ, প্রতিষ্ঠা ও অর্থের জন্য, রবি রেখা, ভাগ্য রেখা, বিজনেস রেখা, ইত্যাদি তৈরি করান | মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রেম, ভালোবাসা, ও সাংসারিক সুখের জন্য, হৃদয় রেখার গঠন করান | ডাক্তার নিজে ভাগ্য পরিবর্তনের কোন দায়িত্ব নেন না |
যারা সার্জারির মাধ্যমে রেখার গঠন করিয়েছেন তাদের কথা অনুযায়ী, রেখার গঠন করানোর পরে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে | যেমন ডাক্তারের কথা অনুযায়ী একটি মেয়ে বিবাহ রেখার স্থাপন করেছিলেন তার কিছুদিনের মধ্যেই বিবাহ হয়ে গেছে, এবং বেশ কিছু মানুষের হাতের রেখা স্থাপন করার পরে জীবনে উন্নতি ও দেখা গেছে | Takaaki Matsuoka ক্লিনিক জাপানের একমাত্র ক্লিনিক নয়, আরো বেশ কিছু এই ধরনের ক্লিনিক আছে | জাপানসহ কোরিয়াতেও সার্জারির মাধ্যমে হস্তরেখার গঠন করার চাহিদা দিনে দিনে বেড়ে চলছে |
বৈদ্যুতিক স্কাল্পেলের মাধ্যমে এই ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি করতে 10 থেকে 15 মিনিট সময় লাগে, সম্পূর্ণ সেরে উঠতে এক মাসের মত সময় লাগে |
তবে ভারতে ধরনের সার্জারি শুরু হয়েছে বলে আমার জানা নেই | এবং এই ধরনের সার্জারি কতটা কার্যকরী সেটাও চিন্তা ও গবেষণার বিষয় | আপনাদের ধারণা অনুযায়ী এই ধরনের সার্জারি কতটা কার্যকরী তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন | নমস্কার
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
Astrologer Dr Prodyut Acharya, MA. M Phil. PhD. in asrtology gold medalist,
Online Astrology service and Palm reading, best Astrologer and palmist in india
Om ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শ্রী নরেন্দ্র মোদী, আগামী 5 ই এপ্রিল রবিবার রাত 9 ঘটিকায়, 9 মিনিট, সমস্ত দেশবাসীকে ঘরের ইলেকট্রিক লাইট বন্ধ করে, প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ, মোবাইলের ব্যাক লাইট, জ্বালিয়ে রাখতে অনুরোধ করেছেন | অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে এর ফলে লাভ কি হবে | লাভ ক্ষতির বিচার করতে গেলে, আগে জানতে হবে প্রদীপ মোমবাতি ইত্যাদি জালানো হয় কেন? প্রদীপ মোমবাতি ইত্যাদি জালানো হতো, অন্ধকার দূর করবার জন্য | বর্তমানে ইলেকট্রিক লাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা অন্ধকার দূর করে থাকি | কিন্তু ভারতীয় শাস্ত্র মতে শুধুমাত্র অন্ধকার দূর করবার জন্যই প্রদীপ, মোমবাতি, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না | অগ্নি, পৃথিবী, বায়ু, জল, আকাশ, এই পঞ্চতত্ত্বের মধ্যে সবথেকে পবিত্র হলো অগ্নি |অগ্নির যেমন দাহ করার ক্ষমতা আছে, তেমনই আছে এর পবিত্রতা | তাই যেকোনো মাঙ্গলিক কর্মে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে, শুভ শক্তিকে বৃদ্ধি করার জন্য, প্রদীপ, মোমবাতি, যজ্ঞ, ইত্যাদির মাধ্যমে পবিত্র অগ্নির ব্যবহার করা হয় | এছাড়াও যোগীদের সেরা সময় হল রাত্র, মানুষের মন সদা চঞ্চল, তাই মনকে স্থির করা খুব কঠিন কাজ | আমাদের পঞ্চ...
ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় সিংহ রাশি সিংহ রাশি রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি, সিংহ রাশিতে যখন রবি প্রবেশ করে তখন ভাদ্র মাসে শুরু হয়| মানুষের জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী মানুষের প্রকৃতি ও ভাগ্যের সম্পর্কে কিছুটা স্থূল ধারণা পাওয়া যায় | ভাদ্র মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম, তারা খুব সাহসী দৃঢ় প্রকৃতির, এরা চায় সবার থেকে আগে এবং সবার উপরে থাকতে, সেই জন্যই এরা যে কাজে হাত দেয় তা সম্পন্ন করতে জীবন-মরণ চেষ্টা করে থাকে| সমস্ত বড় ব্যাপারের দিকে এদের নজর থাকে, বড় আদর্শ সামনে রেখে এরা সেই ভাবে চলতে চেষ্টা করে, কিন্তু এরা আশা ও আদর্শ উচ্চ হওয়ায় মাঝে মাঝে তা কার্যক্ষেত্রে ফলদায়ক বা কার্যকরী হয় না| এরা একটু সরল প্রকৃতির অর্থাৎ খোলাখুলি ব্যবহার ও কথাবার্তা বলতে বেশি পছন্দ করে, মিথ্যা, ছল, প্রতারণা, এসব ব্যাপার কে অত্যন্ত ঘৃণা করে| এরা নিজেরা সৎ থাকার কারণে অন্যদের তেমন মনে করে এবং অন্যদের খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে ফেলে| কিন্তু বাস্তব জগতে মানুষ যখন চালাকি, প্রতারণার, পরিচয় পায় তখন এদের মন তিক্ত হয়ে যায়, এবং এরা কঠোর হৃদয়ের মানুষ হয়ে ওঠে| জাতকের...
শিবলিঙ্গ কি? লিঙ্গ কথার অর্থ হল প্রতীক চিহ্ন | আর শিবলিঙ্গ হলো, ভগবান শিবের নির্গুণ ব্রহ্মের প্রতীক চিহ্ন | ভগবান শিব কে বলা হয় পরমেশ্বর | শিবলিঙ্গ পরমেশ্বর ভগবান শিবের ধ্যান মগ্নতার প্রতীক, শান্ত হওয়ার প্রতীক | ভগবান শিব আত্মধ্যানে লীন থাকেন, আর এই সংসারের সমস্ত মানুষকে অন্তর্মুখী হয়ে ধান মগ্ন থাকার উপদেশ দেন | মহাদেব "লয়ং যাতি ইতি লিঙ্গ" অর্থাৎ যার মধ্যে সবকিছু লয় হয়ে যায় তাই হল লিঙ্গ | অন্তর্মুখী ধ্যান অভ্যাসের মাধ্যমে, পঞ্চ ইন্দ্রিয়, ষড়ঋপু, (পঞ্চ ইন্দ্রিয় হলো ঘ্রাণ আস্বাদন শ্রবণ দর্শন স্পর্শ আর ষড়ঋপু হল কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ মাৎসর্য) এই সমস্ত কিছু লয় প্রাপ্ত করে, মানুষ দেবগুণ সম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে | পরমেশ্বর ভগবান-শিব হিন্দু ধর্মের দেবতা হলেও যে কোন ধর্মের মানুষ ভগবান শিবের এই উপদেশ পালন করে, আত্মার উন্নতির সাথে সাথে নিজের ও সংসারের উন্নতি করতে পারে | শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞতাবশত কিছু ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে, যেমন লিঙ্গ শব্দের উৎপত্তি সংস্কৃত লিঙ্গম শব্দ থেকে, যার অর্থ প্রতীক চিহ্ন। যেমন অর্থের অর্থ হলো টাকা । কিন্তু বাংলা ব্যাকরণ এ লিঙ্গ শব্দ ...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন