জাপানে সার্জারির মাধ্যমে হাতের রেখা তৈরী করে ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়: বৈদ্যুতিক স্কাল্পেল দিয়ে 10 মিনিটে কী ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব ?
![]() |
সার্জারির আগের ও পরের ছবি |
নিজের ভাগ্য সম্বন্ধে জানবার উৎসুকতা প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই থাকে, তাই মানুষ নিজের ও কোন প্রিয়জনের ভাগ্যের সম্বন্ধে জানতে, কোন জ্যোতিষীর শরণাপন্ন হন | জ্যোতিষী তার জন্মতারিখ, জন্মসময়, জন্মস্থান, জেনে নিয়ে একটি জন্ম কুণ্ডলী প্রস্তুত করে, এবং জন্ম কুণ্ডলীতে গ্রহের অবস্থান অনুযায়ী তার অতীত বর্তমান সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করেন, ও ভবিষ্যতের সম্বন্ধে কিছু পূর্বাভাস দেন | আবার কোন জ্যোতিষী হাতের রেখা বিচার করার মাধ্যমে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বলে থাকে |কেউ কেউ আবার জন্ম কুণ্ডলী ও হাতের রেখা দুটো একসাথে বিচার করার মাধ্যমে, অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, সম্বন্ধে বলে থাকেন | আমার মতে এটাই সব থেকে বেশি উপযোগী |
জ্যোতিষ শাস্ত্রের উৎপত্তি ভারতবর্ষে হলেও ভারতের থেকে এই শাস্ত্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে গেছে, এবং বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্বন্ধে বিভিন্নভাবে গবেষণা করা হচ্ছে | হস্তরেখা বিচার জ্যোতিষ শাস্ত্রের একটি অঙ্গ বলে ধরা হয়, কিন্তু আসলে হস্তরেখা বিচার সামুদ্রিক শাস্ত্রের একটি অঙ্গ | অনেকের জন্ম সময়ের গরমিল থাকার কারণে, জন্ম কুণ্ডলী দেখে সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়না, সে ক্ষেত্রে হাতের রেখা বিচার বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে নিখুঁতভাবে, মানুষের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিচার বিশ্লেষণ করা যায় | হস্তরেখাবিদ কিরো বেনহাম, এর নাম আমরা সকলেই শুনেছি, ইনি শুধুমাত্র হাতের রেখা বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে, মানুষের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করতেন | হস্তরেখা বিষয়ে কিরো বেনহামই পৃথিবীতে সবথেকে বেশি প্রচার ও প্রসার করেছেন | বর্তমান সময়ে হস্তরেখার গবেষণা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে | আমরা সকলেই জানি হাতের রেখা অনুযায়ী মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ হয় | গত কয়েক বছর ধরে ভাগ্য উন্নতির জন্য জাপান এবং কোরিয়ার মতো দেশে, প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে, হাতে প্রয়োজনীয় রেখা তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে |
![]() |
Takaaki Matsuoka |
তিনি ইতিমধ্যে বহু মানুষের হাতের রেখার প্রতিস্থাপন করেছেন, তার কথা অনুযায়ী ছেলেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম, যশ, প্রতিষ্ঠা ও অর্থের জন্য, রবি রেখা, ভাগ্য রেখা, বিজনেস রেখা, ইত্যাদি তৈরি করান | মেয়েরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রেম, ভালোবাসা, ও সাংসারিক সুখের জন্য, হৃদয় রেখার গঠন করান | ডাক্তার নিজে ভাগ্য পরিবর্তনের কোন দায়িত্ব নেন না |
বৈদ্যুতিক স্কাল্পেলের মাধ্যমে এই ধরনের প্লাস্টিক সার্জারি করতে 10 থেকে 15 মিনিট সময় লাগে, সম্পূর্ণ সেরে উঠতে এক মাসের মত সময় লাগে |
তবে ভারতে ধরনের সার্জারি শুরু হয়েছে বলে আমার জানা নেই | এবং এই ধরনের সার্জারি কতটা কার্যকরী সেটাও চিন্তা ও গবেষণার বিষয় | আপনাদের ধারণা অনুযায়ী এই ধরনের সার্জারি কতটা কার্যকরী তা কমেন্ট করে জানাতে পারেন | নমস্কার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন