|
Corona panic |
নভেল করোনা ভাইরাস হল এক ধরণের সংক্রামিত ভাইরাস, যা একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমণ হয় | অন্যান্য ভাইরাস বা জীবাণু থেকে এর সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি, ফলে দ্রুত এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে | এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হলে 2 /14 দিনের পর থেকে, জ্বর কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা যায় | এই ভাইরাসে সবথেকে দ্রুত আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছে বৃদ্ধরা |
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর রিপোর্ট অনুযায়ী করুণা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে 80 বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে |
|
করুন আক্রান্ত রোগীর হার |
15-Mar-2020 রিপোর্ট অনুযায়ী ভাইরাসে আক্রান্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, এবং 1 লক্ষ 60 হাজার মানুষ এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়েছে |পৃথিবীর সমস্ত দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
চীন এবং
ইটালি | চীন দেশে প্রায় 81 হাজার মানুষ করুনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে, এবং 3200 মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, ইতালিতে 21200 মানুষ সংক্রমিত, এবং 1500 মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন | এর পরেই আছে ইরান, সাউথ কোরিয়া, স্পেন, জার্মান, ফ্রান্স, আমেরিকা ই,ত্যাদি |
এবার আসি ভারতের খবরে, ভারতে এখন পর্যন্ত 110 জন করোনা সংক্রমিত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, করুণা ভাইরাসে ভারতবর্ষে মৃতের সংখ্যা দুই | ভারতবর্ষে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আমাদের যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে | কিন্তু ভারতবর্ষে সচেতনতার নামে সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইলেকট্রিক মিডিয়ার মাধ্যমে, ভয়াবহভাবে করোনার আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে | কারণ অন্যান্য ভাইরাস এর তুলনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও মারণ ক্ষমতা অনেক কম |
|
করোনা তুলনা |
প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে আনুমানিক 290,000 থেকে 650,000 মানুষ seasonal influenza- ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
বর্তমানে বিশ্বে এইচআইভি / এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা: 41637500
চলতি বছরে এইচআইভি / এইডস দ্বারা আক্রান্ত মৃত্যু সংখ্যা: 345500
চলতি বছরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর সংখ্যা: 1688420
এছাড়াও হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, টিভি, ইত্যাদি রোগের কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয় | এত রকম রোগের কাছে করোনা ভাইরাস এখনপর্যন্ত সামান্য বিষয় | করোনা ভাইরাসে যে সকল মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষই কোন না কোন রোগের দ্বারা আক্রান্ত ছিলেন, যেমন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, ক্যান্সার, ইত্যাদি |
তাহলে শুধুমাত্র করোনার আতঙ্ক কেন? আমাদের সকল ধরনের সংক্রমণ বা রোগের বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে |
পৃথিবীর কয়েকটা দেশের কয়েকটা শহরে, করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু সমস্ত পৃথিবীতে এই খবর ঝড়ের বেগে প্রচার হয়েছে | বর্তমানের প্রচারমাধ্যমই এই খবরটা কে মহামারীর আকার দিয়েছে |
জন্ম-মৃত্যুর হিসেবঅঅনুযায়ী ভারতবর্ষে
প্রতিদিন গড়ে 77,575 শিশুর জন্ম হয়, এবং সব ধরনের কারণে,
প্রতিদিন গড়ে 28,164 মানুষ মৃত্যুবরণ করে |
তাই শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ও গুজব ছড়িয়ে লাভ নেই, বরং দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে | আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে এবং সকলকে সচেতন করতে হবে | আর বাকি ব্যবস্থা এই প্রকৃতিই নিজে থেকে করে নেবে, কারণ প্রাচীন শাস্ত্র ও চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী ঋতু পরিবর্তনের মাধ্যমে, গৃষ্ম কালে প্রচন্ড রোদের তাপে, সমস্ত রকম সংক্রমিত ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু বা ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয় |
তো আমাদের সকলকে সতর্ক ও সচেতন হয়ে, ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখতে হবে | ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুক |
লেখাটি শেয়ার করে অবশ্যই অন্যদের সচেতন করবেন, ধন্যবাদ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন