|
Headline |
শিরোরেখা বিচার করবার আগে কিছু নিয়ম আমাদের মনে রাখতে হবে, যে হাতের গঠনমূলক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে, যদি শিরোরেখার মিল না থাকে, তাহলে এর অর্থ অনেক গুরুত্বপূর্ণ |
যেমন ধরুন সাধারণ নিম্ন শ্রেণীর হাত দেখতে, ছোট, মোটা, শক্ত, হাতের চামড়া কর্কশ, হাত বেশ ভারী, ধরনের হয়ে থাকে |
এই হাতে শিরোরেখা ছোট, মোটা, চওড়া ধরনের হয়ে থাকে, হাতে প্রধান তিনটি রেখা ছাড়া অন্য রেখা সহজে দেখা যায়না, বা থাকে না |
এদের মানসিক ক্ষমতা কম হয়, এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শারীরিক পরিশ্রম করেই জীবন যাপন করে |
কিন্তু এই ধরনের হাতে যদি সুন্দর সুগভীর সুস্পষ্ট রেখা দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে, যে এই ব্যক্তি নিজের মানসিকতাকে এতটাই উন্নত করেছে যা তার কাছ থেকে আশা করা যায় না |
তেমনই চৌকো হাত, এই হাতের করতল বেশ চৌকো ধরনের দেখা যায়, আঙ্গুলগুলো বেশ চৌকো ধরনের হয় |
এই হাতের মানুষেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধীর-স্থির বাস্তবিক বা ব্যবহারিক ধরনের হয়ে থাকে |
এই ধরনের হাতে শিরোরেখা টি হাতের মাঝে আড়াআড়ি ভাবে দেখা যায়, এরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাকরি, পরিশ্রম, অথবা ছোটখাটো ব্যবসা বৃত্তি দ্বারা, জীবন যাপন করে |
কিন্তু এই ধরনের হাতে শিরোরেখা যদি ঢালু হয়ে চন্দ্রের দিকে নেমে আসে, এটা কিন্তু তাদের অসাধারণ মানসিক শক্তির নির্দেশ করে, এবং এদের শিল্প কল্পনাপ্রবণ মন হয়ে থাকে, এরা যেখানেই থাকুক সেই স্থান সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে পছন্দ করে |
আবার দার্শনিক হাত এই হাত লম্বা, প্রখর, ও প্রতিটি আঙুল গাঁটযুক্ত |
এই হাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিরোরেখা আয়ু রেখার সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় শুরু হয়ে হাতের মধ্যে প্রবেশ করে, যা অভিজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা, ও সর্তকতা নির্দেশ করে |
কিন্তু এই হাতে শিরোরেখা আয়ুরেখা ফাঁক হয়ে শুরু হলে, এই হাতের গঠন ও রেখার গঠন বিপরীত ধর্মী হয়ে যায়, ফলে তাদের বিপরীত গুণাবলীর ফুটে ওঠে |
কর্মী হাতে শিরোরেখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এই ধরনের হাতে ঢালু শিরোরেখা, বা হাতের মধ্যে আড়াআড়ি সোজা শিরোরেখা, দুটোই খাপ খায়, কোনটাই অস্বাভাবিক নয় |
শিরোরেখা ঢালু হলে এদের কল্পনাপ্রবণ, চিন্তাশীল কর্মের দিকে ঝোঁক থাকে |
শিরোরেখা সোজা হলে বাস্তবিক কর্ম, বাস্তবিক মানসিকতা, কোন কিছু আবিষ্কারের উৎসুকতা এদের মধ্যে থাকবে |
কৌণিক হাত বা শিল্পী হাত, হাতটি দেখতে অনেকটা মোচাকৃতি, এই হাতে শিরোরেখা কমবেশি ঢালু দেখা যায় |
কিন্তু এই হাতে শিরোরেখা যদি হাতে আড়াআড়িভাবে সোজা থাকে, তাহলে তাদের শিল্পীসুলভ মনোভাব হলেও তারা ওই পথে যাবে না, বরং কোন ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে যেতে পারে, অবশ্যই তা শিল্পজগতের সঙ্গে সম্বন্ধিত হবে |আধ্যাত্মিক হাতে এই রেখা স্বাভাবিকভাবে ঢালু হয়ে থাকে | যা কল্পনার জগৎ, ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি, ইঙ্গিত করে | এই হাতে শিরোরেখা যদি সোজা অবস্থায় থাকে, তাহলে তারা কল্পনাশক্তি, আধ্যাত্মিক চিন্তাধারা গুলো, বাস্তব বা লৌকিক জগতে ব্যবহার করে | শিররেখা বিচার করার সময় আরও একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে শিরোরেখা হাতকে দুভাগে বিভক্ত করেছে উপরের অংশ নির্দেশ করে মানুষের ব্যক্তিত্ব, কর্মজীবন, ইত্যাদি আর নিচের অংশ নির্দেশ করে মানুষের ব্যবহারিক, জীবনযাপনের ধরন ইত্যাদি | একটি সুন্দর শিরোরেখা আমাদের জীবনে আসা সমস্যা গুলোর সাথে মোকাবিলা করার ক্ষমতা প্রদান করে | হাতে শিরোরেখা ই একমাত্র দেখা যে রেখা এককভাবে কাজ করতে পারে |
Astrolger
Dr Prodyut Acharya
Contact- 9333122768
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন