|
Life line |
হাতের যে রেখাটি বৃহস্পতির ক্ষেত্রের নিচের থেকে শুরু করে, শুক্রের ক্ষেত্রকে ঘিরে ধনুকের মত বাকিয়ে, মনিবন্ধ রেখার দিকে চলে আসে, এই রেখা টি কে বলে আয়ু রেখা |
আয়ু রেখা টি যদি বৃহস্পতির ক্ষেত্রে নিচের থেকে শুরু না হয়ে, বৃহস্পতির ক্ষেত্র থেকেই শুরু হয় | তাহলে এই ধরনের জাতক-জাতিকা স্বাধীনচেতা মানসিকতার হয়, এদের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা প্রচন্ড পরিমাণে থাকে | এর ফলে এদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ছোটবেলা থেকেই দেখা যায় | কিন্তু যদি এই আয়ুরেখাতে দীপ চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে এটি নির্দেশ করে এই জাতক-জাতিকা বাল্যকালে খুব একটা শক্ত সামর্থ্য হবে না, কারণ সে নিজের ক্ষমতাকে অত্যাধিক ব্যবহার করেছে |
আবার ধরুন আয়ুরেখা বৃহস্পতির ক্ষেত্রে নিচ থেকেই শুরু হয়েছে, সেই রেখা থেকে একটি রেখা বৃহস্পতির ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে, এই রেখাটি যে বয়সে সৃষ্টি হবে অর্থাৎ যখন এই রেখাটি হাতে দেখা যাবে, ওই বয়সে জাতক বা জাতিকার উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি হবে, এবং উচ্চ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবার জন্য অত্যাধিক পরিশ্রম করবার দিকে ঝোঁক থাকবে | আবার এইসব রেখাতে ও যদি দ্বীপ চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে জাতক নিজের ক্ষমতার তুলনায় অত্যাধিক বেশি পরিশ্রম করবে, এই সময় এদের একটু প্রাণশক্তি সংযত রাখা উচিৎ |
আয়ুরেখা থেকে যদি কোন ভাগ্য রেখা শনির ক্ষেত্রে দিকে যায়, সে ব্যক্তির উচ্চ আকাঙ্ক্ষা কম থাকবে, কিন্তু পরিশ্রম করে উন্নতি করবার চেষ্টা অবশ্যই করবে, রেখাটি যদি কোন অশুভ চিহ্ন যুক্ত বা কোনো অশুভ রেখা দ্বারা কেটে না যায় তাহলে ভাগ্য উন্নতি অবশ্যই হবে |
আয়ুরেখা থেকে কোন রেখা যদি রবি ক্ষেত্রের দিকে যায়, এই রেখা মান, যশ, সুনাম, খ্যাতি অর্জনে সহযোগিতা করে, এই ধরনের ব্যক্তিরা ভালো বক্তা, রাজনীতিবিদ, সংগঠনের অধিকারী, ইত্যাদি হয়ে থাকে | এই রেখা যদি কোন অশুভ চিহ্ন যুক্ত না হয় অথবা অশুভ রেখা দ্বারা কাটা না থাকে, তাহলে তাদের মান, যশ, প্রতিষ্ঠা, প্রতিপত্তি, সবকিছুই লাভ হয়ে থাকে |
আয়ুরেখা প্রাম্ভিক পর্যায়ে যদি শৃঙ্খলা আকৃতি বা দ্বীপ চিহ্ন যুক্ত না হয়, স্পষ্ট ও সুগঠিত হয়, তাহলে নির্দেশ করে যে জাতক ছোটবেলা থেকেই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, সম্পূর্ণভাবে শিরোরেখা স্পষ্ট অবস্থায় দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে এই জাতকের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বেশি এবং এরা স্বাস্থবান |
যদি আয়ুরেখা মঙ্গলের নিম্ন ক্ষেত্র থেকে শুরু হয়, তাহলে জাতক একটু খিটখিটে, ঝগড়াটে মেজাজ সম্পন্ন, এবং হঠকারী স্বভাবের হয়ে থাকে | এরা ইচ্ছে করে বিপদের মুখে হাত বাড়ায় |
যদি কারো হাতে আয়ুরেখা ছোট ছোট সূক্ষ্ম রেখা দ্বারা গঠিত হয়, অথবা শৃঙ্খলাকৃতি বা চেনের মত হয়, তবে এটি জীবনীশক্তির অভাব নির্দেশ করে | জাতক শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকে, বিশেষ করে হাতটা যদি নরম ধরনের হয় | আবার দুর্বল আয়ু রেখার পাশে যদিও রেখার সমান্তরাল কোন রেখা দেখা যায়, তাহলে ওই রেখাটি জাতকের জীবনীশক্তি রক্ষা করে |
আয়ু রেখা টি যদি শিরোরেখার সঙ্গে অনেকটা মিশে হাতের মধ্যে প্রবেশ করে, তাহলে সেসব জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয় |
এরা আত্মকেন্দ্রিক এবং সেন্টিমেন্টাল প্রকৃতির হয়ে থাকে, খুব অল্পতেই আহত হন |
আয়ু রেখা ও শিরোরেখা প্রাম্ভিক পর্যায়ে যদি বেশ খানিকটা ফাঁক থাকে, তাহলে জাতক অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী, একরোখা, অবিবেচক ধরনের হয়ে থাকে | এরা জীবনের ঝুঁকি নিতে খুব ভালোবাসে | আবার কিছু মানুষের হাতে আয়ু রেখা শিরো রেখার সঙ্গে, হৃদয় রেখা এসে যুক্ত হয়, এই ধরনের জাতক-জাতিকারা স্নেহ-ভালবাসা, প্রেম-প্রীতি বিষয়ে অসুখী হয়, দাম্পত্য জীবনেও খুব ভালো সুখ হয় না | তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুল লোককে ভালোবেসে থাকে, অথবা যাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তাদেরকেই ভালোবাসে | যাদের কে ভালবাসে তাদের গভীরভাবেই ভালোবাসে | এরা হতভাগা ধরনের হয়, এদের জীবনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একবারই ভালোবাসা হয়ে থাকে |
Astrolger
Dr Prodyut Acharya
Contact - 9333122768
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন