|
Novel coronavirus |
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবথেকে বড় আতঙ্ক করোনা ভাইরাস, এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সমস্ত দেশের সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতা সহকারে কাজ করে চলেছে|
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে, শুধু সরকারের ভরসায় বসে থাকলে চলবে না, আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে |
আগে বুঝতে হবে করোনা ভাইরাস কি?
এই ভাইরাস হলো এক ধরনের জীবাণু, যাকে বৈজ্ঞানিকরা
নোভেল করোনা ভাইরাস নাম দিয়েছে | এই ভাইরাসের উৎস দেশ চীন |
চীন দেশের মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে | কিছু প্রাণীর শরীরে এই ভাইরাস থাকলেও এই ভাইরাসের প্রভাব তাদের উপর পড়ে না, সেই সব প্রাণীর শরীর এই ধরনের ভাইরাস বা জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম | মানুষের শরীরে সাধারণভাবে ওই ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করার সক্ষমতা থাকেনা | চীনের মানুষেরা, ভাইরাস আক্রান্ত জীবজন্তু ভক্ষণ করে, এই ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে, নিজেদের সহ সমস্ত মানবজাতিকে, সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে | তার ফলে গোটা বিশ্বের মানুষ এই করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত |
এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে আধুনিক বিজ্ঞান সহ প্রাচীন শাস্ত্রের বিধি নিষেধও মেনে চলতে হবে|
যে কোন ভাইরাস, জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া সেখানেই বিস্তার করে, যেখানে তার বিস্তার করার উপযোগী উপাদান থাকে | যেমন মশা বিস্তার হওয়ার উপযোগী স্থান স্থির জল, বিভিন্ন কীটপতঙ্গ বিস্তার হওয়ার উপযোগী স্থান ঝোপঝাড় জঙ্গল |
তেমনি কোনো মানুষের শরীরে বিভিন্ন জীবাণু বা ভাইরাসের বিস্তার করার উপাদান থাকলে, সেই ভাইরাসের সামান্য সংক্রমণ তাকে কঠিন ব্যধিতে আক্রান্ত করতে পারে | তেমনই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ|
কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনো নির্ণয় করতে পারেনি যে এই ভাইরাসের উপযোগী উপাদান গুলো কি? তাই এই ভাইরাস প্রতিরোধের প্রতিষেধক বা এন্টিবায়োটিক, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেনি |
যেহেতু এই রোগের ঔষধ এখনো আবিষ্কার হয়নি সেহেতু আমাদের সকলকে সুরক্ষিত থাকার জন্য যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে | চিকিৎসকরা এই সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন, তার সাথে কিছু শাস্ত্রীয় রীতিনীতি অনুসরণ করলে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা অনেকটাই সহজ হবে |
প্রতিটি মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা একরকম থাকে না | যেমন নাগা সন্ন্যাসী,
অঘোরী সন্ন্যাসীদের, কোন জীবাণু বা ভাইরাস সহজে আক্রান্ত করতে পারে না | তাদের জীবনযাপনের ধরনের জন্য, তাদের শরীর যেকোনো ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম | আমাদের শরীর সেই ভাবে গঠিত নয় | কিন্তু ভারতীয় শাস্ত্রে এই ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বেশ কিছু নিয়ম কানুন দেওয়া আছে |
যেমন ভারতীয় সংস্কৃতিতে কোন মানুষের সঙ্গে দেখা করার সময়, তাকে দূর থেকে নমস্কার জানিয়ে সম্মান করা হয় | কারণ একজন আরেকজনের সম্বন্ধে জানেন না, তিনি তার শরীরে কোনো রোগ বহন করছে কিনা? বা তিনি কোথা থেকে কিভাবে এসেছে, কোন জীবাণু বা ভাইরাস বহন করে এনেছে কিনা? তাই দূর থেকে নমস্কার দিয়ে সম্মান জানানো বেশি সুরক্ষিত |
আবার বাইরে থেকে সারাদিনের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম সেরে, স্নান করে, জামা কাপড় পরিবর্তন করে ঘরে প্রবেশ করা উচিৎ | সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা ও বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে যদি কোন ভাইরাস জীবাণু বহন হয়ে থাকে, তাহলে স্নান অর্থাৎ জল শুদ্ধির মাধ্যমে সেগুলো ধুয়ে যাবার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায় | আবার মৃত ব্যক্তি ছুঁয়ে, শ্মশান, হসপিটাল, বা যেখানে ভাইরাস বা জীবাণুর সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে, সেখান থেকে ফিরে জল শুদ্ধির পরে, অগ্নি শুদ্ধি, করার নিয়ম আছে, অর্থাৎ স্নান করার পরে, কোন কিছুতে আগুন জ্বালিয়ে, যেমন প্রদীপ বা মশাল জাতীয় কিছু বা কোন কাগজে বা শুকনো পাতায় আগুন জ্বালিয়ে শরীরের কিছুটা দূর থেকে, শরীরের চারিপাশে প্রদক্ষিণ করাকে বলা হয় অগ্নি শুদ্ধি | শাস্ত্রে অগ্নি শুদ্ধির বিশেষ কিছু নিয়ম থাকলেও সাধারণ নিয়ম হল এটি | এর ফলে স্নান করার পরে, শরীরে কোন জীবাণু থেকে গেলেও, অগ্নি শুদ্ধির মাধ্যমে তা নিষ্ক্রিয় হয়, এবং ভৌতিক ভাবেও কিছু শারীরিক ও মানসিক ভাবে উন্নতি হয় | আরো কিছু শুদ্ধিকরণ আছে যেগুলো এখানে উল্লেখ করলাম না |
রোগ প্রতিরোধ করতে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে, চিকিৎসক ও শাস্ত্রীয় পরামর্শ মেনে চলার সাথে, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে | আগেই বলা হয়েছে যে এই ভাইরাস এসেছে বিভিন্ন জীবজন্তুর থেকে, অর্থাৎ জীবজন্তু পশু পাখির মধ্যে এই ভাইরাস বিস্তার হওয়ার উপাদান বেশি থাকার সম্ভাবনা আছে | তাই বিভিন্ন জীব জন্তুর দ্বারা এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে | তাই কোন জীবজন্তু বা পশুপাখির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে | এছাড়াও অন্য হল ব্রহ্ম, অর্থাৎ খাদ্য হলো প্রাণী সৃষ্টি হওয়ার উৎস, আজ যা খাদ্য কাল তা শরীরে রূপান্তরিত হয় | আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু পশুপাখি খেয়ে নিজেকে তৈরি করেন বা নিজের শরীরের গঠন করেন | তাহলে সেসব পশুপাখি শরীরের যেসব ভাইরাস বা জীবাণু বহন করে থাকে, সেই ভাইরাস বা জীবাণু সহজেই আপনাকে আক্রান্ত করতে পারে | তাই এমন ধরনের খাবার খাওয়া বর্জন করে নিজে সচেতন থাকুন এবং এই লেখা টি শেয়ার করে অন্যদের সচেতন করুন |
Beautiful write up.
উত্তরমুছুনThank you so much
মুছুনAkdam��
উত্তরমুছুনধন্যবাদ আপনাকে
মুছুন💝💝💝👍👍
উত্তরমুছুন