|
Headline |
শিরোরেখা হলো মস্তিষ্কের কারক, এই রেখা জাতক-জাতিকার মানসিক শক্তির নির্দেশ করে | যদি কারো হাতে শিরোরেখায় দ্বীপ চিহ্ন থাকে, তাহলে তাদের মানসিক বিকলতা নির্দেশ করে | দ্বীপ চিহ্ন যে অবস্থানে থাকবে সেই অবস্থানের ওপর নির্ভর করবে | যেমন ধরুন যদি বৃহস্পতির ক্ষেত্রের নিচে শিরোরেখাতে দ্বীপ চিহ্ন থাকে, এটি নির্দেশ করে জাতক বা জাতিকা অত্যন্ত উচ্চ আকাঙ্ক্ষার কারণে জাতক দুঃখী হবে |
যদি শনির ক্ষেত্রে নিচে শিরোরেখাতে দ্বীপ চিহ্ন থাকে, এরা তত্ত্বদর্শী বা আত্মানুসন্ধান কারণে মানসিকভাবে বিষণ্ন থাকবে |
যদি রবির ক্ষেত্রের নিচে শিরোরেখা তে দ্বীপ চিহ্ন থাকে, এরা সফলতা অর্জনের কারণে অধিক পরিশ্রমের ফলে, মানসিক ভাবে হতাশা থাকব |
যদি বুধের ক্ষেত্রে নিচে শিরোরেখাতে দ্বীপ চিহ্ন থাকে, এরা ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞানের সাধনা, বা অতিরিক্ত চিন্তার ফলে যে মানসিক পরিশ্রম হয়, সেই কারণে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়বে |
এছাড়াও শিরোরেখা তে দ্বীপ চিহ্ন রোগব্যাধির ও নির্দেশ করে | রোগব্যাধি নির্ণয় করতে হলে, শিরোরেখাতে দ্বীপ চিহ্নের সাথে আয়ুরেখা, স্বাস্থ্যরেখা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হবে |
যদি কোনো শিশুর হাতে শিরোরেখাতে দ্বীপ চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে তার মস্তিষ্কের উন্নতির জন্য, তাকে কোন রকম মানসিক ভয়, বা মানসিকতা অপব্যবহার থেকে দূরে রাখতে হবে | এই ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করলে ঐ দ্বীপ চিহ্ন মিলিয়ে আসবে বা মুছে যাবে |
দীপ চিহ্নযুক্ত শিররেখা এবং শিকলের আকৃতি যুক্ত শিরোরেখা একই নয় | শৃঙ্খলাকৃতি শিরোরেখা তে অনেক ছোট ছোট ছোট দ্বীপ চিহ্ন দেখা যেতে পারে |
শিরোরেখায় দ্বীপ চিহ্ন দুর্বল মস্তিষ্কে নির্দেশ করে, যা কোনো রকম দুশ্চিন্তা, মানসিক আঘাত, বা দায়িত্ব গ্রহণ করতে অক্ষম, এবং মস্তিষ্কের বিকৃতি পর্যন্ত হতে পারে |
যদি রেখাটি শুরুতে শিকলের আকৃতি এবং শেষের দিকে সবল হয়, তাহলে নির্দেশ করে জাতক জাতিকা জীবনে যত অগ্রসর হবে, মস্তিষ্ক এবং সক্ষম হবে |
যদি রেখাটি শুরুতে সুগঠিত ও শেষে শৃঙ্খলাকৃতি হয়, তাহলে মধ্য বয়সের থেকে মস্তিষ্ক দুর্বল হতে থাকবে |
যদি শিরোরেখা এককভাবে পরিষ্কার ও স্পষ্ট না হয়ে বহু সূক্ষ্ম রেখা দ্বারা গঠিত হয়, তাহলে তাদের মানসিক পক্ষাঘাতের সম্ভাবনা থাকে, এদের কোনরকম দায়িত্ব, বা চাঞ্চল্যকর জীবন যাপনের থেকে দূরে থাকা উচিৎ, এবং শান্তিপূর্ণভাবে শান্ত হয়ে জীবনযাপন করা উচিৎ |
কিছু মানুষের হাতে শিরোরেখার উপরে ছোট ছোট গর্ত দেখা যায়, এদের জীবনে অনেকবার মস্তিষ্কে আঘাত প্রাপ্তি হতে পারে |
এছাড়াও অনেক ধরনের চিহ্ন শিররেখার উপরে দেখা যায়, যেমন চতুস্কোন চিহ্ন, বৃত্ত চিহ্ন, ত্রিভুজ চিহ্ন, তারকা চিহ্ন, ইত্যাদি |
শিরোরেখা ওপরে স্টার চিহ্ন গঠিত হলে তা অত্যধিক মানসিক প্রচেষ্টার ইঙ্গিত করে বা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে | চতুস্কোন চিহ্ন হল রক্ষাকবচ, তা সে হাতের যেখানেই থাকুক না কেন | ত্রিভুজ চিহ্ন একটি উন্নতির চিহ্ন চতুস্কোন চিহ্নের মতোই এটি একটি রক্ষাকবচ |
হাতে শিরোরেখা যদি ভগ্ন থাকে, তাহলে কোন দুর্ঘটনার ফলে মস্তিষ্কে আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকে, তার সাথে ভাগ্যরেখা যদি ভগ্ন শিরোরেখার মধ্য থেকে উপরে উঠে, এটিও মস্তিস্কের আঘাতের নির্দেশ করে | ভাগ্য রেখা যদি ভগ্ন মস্তিষ্ক রেখায় থেমে যায়, তাহলে জীবন সেখানেই থেমে যেতে পারে, অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত নির্দেশ করে, মৃত্যুর ক্ষেত্রে আয়ু রেখা বিচার করা অত্যন্ত প্রয়োজন |
যদি হাতে শিরোরেখা স্পষ্ট দীর্ঘ এবং সোজা হয়, তবে তা কল্পনা প্রবনতার চেয়ে যুক্তিসংগত বুদ্ধি নির্দেশ করে | যদি রেখাটি কিছুটা সোজা গিয়ে শেষের দিক ঢালু হয়ে যায়, তবে ব্যবহারিক এবং কল্পনা প্রবণতা কে সুন্দর ভাবে মিলিয়ে কাজ করে | এ ধরনের মানুষেরা কল্পনা এবং বাস্তবিক বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে পারে, যদি রেখাটি ধনুকের আকৃতি নিয়ে চন্দ্র ক্ষেত্রে নেমে আসে, তাহলে কল্পনাপ্রবণ কর্মের দিকে ঝোক থাকে, যেমন ছবি আঁকা, সঙ্গীত চর্চা, সাহিত্য ইত্যাদি তে বেশ উন্নত হয় | এই রেখা মানসিক বিষন্নতা আত্মহত্যার মনোবৃত্তি ও সৃষ্টি করে | বিশেষ করে যদি রেখাটি চন্দ্রের ক্ষেত্রে নিচের দিকে নেমে যায়, ফলে চন্দ্রের গুণাবলী গ্রহণ করতে পারে না |
হাতে একটি সুন্দর শিরোরেখা, এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত চলে গেলে, সেই জাতক-জাতিকার বুদ্ধিবৃত্তি, অনেক উন্নত ধরনের হয়ে থাকে | বুদ্ধিবৃত্তি আরো বেশি উন্নতি হয়, যদি রেখাটি আয়ু রেখার সঙ্গে যুক্ত হয়ে শুরু হয় | রেখাটি যদি হাতের মাঝামাঝি স্থান পর্যন্ত না পৌঁছে, তাহলে তারা ব্যবহারিক জগতের কর্ম করে থাকে, কল্পনাশক্তির খানিক অভাব থাকে | হাতের গঠন ভালো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য তে ও সফল হতে পারেন |
Astrolger
Dr Prodyut Acharya
Contact 9333122768
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন