পোস্টগুলি

2025 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

“রানাঘাট থেকে Just Dial Scam: কিভাবে সচেতন থাকবেন গ্রাহকরা”

ছবি
 Just Dial Scam: প্রতারণা, বিশ্বাস ও সচেতনতার পাঠ ECS next installment আমি ডঃ প্রদ্যুত আচার্য, একজন জ্যোতিষী ও হস্তরেখা বিশ্লেষক, রানাঘাটের MyAstrology এর মাধ্যমে অনলাইনে হস্তরেখা ও জন্মকুন্ডলি বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন জ্যোতিষ পরিসেবা প্রদান করি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে Just Dial এর বিভিন্ন মার্কেটিং এজেন্ট আমাকে ফোন করে সার্ভিস নিতে প্রস্তাব করত, কিন্তু আমি সবসময় তা অস্বীকার করেছি। সম্প্রতি, একজন এজেন্টের প্রলোভনে আমি কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি। তিনি আমাকে বললেন, কমপক্ষে এক মাসের জন্য Just Dial প্রোফাইল সক্রিয় করতে ২,৮৩২ টাকা দিতে হবে, এবং তিনি আশ্বাস দিলেন—“২,৮৩২ টাকা লস হয়ে গেলেও আপনি একজন স্বনামধন্য জ্যোতিষী, মরে যাবেন না।” এই কথায় আমি কিছুটা ভরসা পেয়ে রাজি হই। পরবর্তীতে আমার চেম্বারে উপস্থিত হন Arnab Paul নামের Just Dial marketing agent। তিনি আমাকে প্রলোভন দেখান— প্রতি মাসে ২,৮৩২ টাকা করে ৩ মাসের পেমেন্ট করতে হবে, যাতে ছয় মাস প্রোফাইল লাইভ থাকে। রানাঘাট এড়িয়ার সার্ভিস নিলে নইহাটি এড়িয়া ফ্রি অন্তর্ভুক্ত। প্রথম দুই মাসের পেমেন্ট অন-স্পট দিতে হবে, বাকি এক মাসের টাকা ব্যাংক থেকে স...

দীক্ষা ও সত্যপথ: আত্মসমর্পণ ও চিরস্থায়ী মুক্তি – শেষ অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat  চিরশত্রুর মিলন ও মুক্তি: অহংকার ভাঙার মহাগাথা লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ ভুবন শেঠ ও বিবেক বাবু একসাথে গুরুদেবের আশ্রমে পৌঁছালেন। ভুবন শেঠ ধীরস্থির কণ্ঠে বললেন— “গুরুদেব, আজ আমার ঝুলি পূর্ণ হয়েছে। আজ আমি শুধু খাদ্য বা দ্রব্য সমর্পণ করিনি, আমি আমার অহংকারের শেষ বাঁধনও এখানে সমর্পণ করেছি।” গুরুদেব ঝুলির দিকে তাকালেন, তারপর ধীর হাসি মুখে বললেন— “ভুবন, এবার সত্যিকার দক্ষিণা পূর্ণ হয়েছে। তোমার আসল দক্ষিণা ছিল এই আত্মসমর্পণ। তুমি সংগ্রহ করেছো শুধু খাদ্যের জন্য নয়, নিজের হৃদয়কে খোলা ও শত্রুকে ক্ষমা করার শক্তি অর্জনের জন্য। এটাই প্রকৃত ভিক্ষা।” তারপর গুরুদেব বিবেক বাবুর দিকে চোখ দিয়ে দেখলেন— “বিবেক, তুমি যে নিজের হৃদয় সমর্পণ করেছ, এটাই তোমার সত্যিকার দক্ষিণা। তোমরা দু’জন একসাথে সত্যের দ্বারে প্রবেশের যোগ্য।” আশ্রমের নীরবতা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়ালো। শিষ্যরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে, গুরুদেবের এই মুহূর্তের মহত্ত্ব অনুভব করছিল। ভুবন শেঠ ও বিবেক বাবু একসাথে দীক্ষা নিলেন। গুরুদেব মাথায় করুণার হাত রাখলেন এবং বললেন— ...

শত্রুর দ্বারে ভিক্ষা: বিবেক বাবুর হৃদয় গলে যাওয়া – পঞ্চম অংশ

ছবি
MyAstrology Ranaghat    চিরশত্রুর দ্বারে ভিক্ষা: অহংকার ভাঙার মহাপাঠ লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ পরদিন ভোরে ভুবন শেঠ আবারও ভিক্ষার বসন পরিধান করে বেরোলেন। কাঁধে ঝুলি, চোখে অদ্ভুত এক সংকল্প, অন্তরে ভরা ভয় আর প্রত্যয়ের এক অদ্ভুত মিলন। গ্রামের পথ পেরিয়ে তিনি এবার ছুটলেন সোজা বিবেক বাবুর প্রাসাদের দিকে। প্রাসাদের ফটকে দারোয়ান তাঁকে দেখে হতবাক। “এ কী! ভুবন শেঠ আপনি! ভিক্ষুকের বেশে কেন?” খবর মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছল বিবেক বাবুর কানে। ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি দোতলা থেকে ব্যালকনিতে ছুটে এলেন। প্রথমে চিৎকার করে বললেন— “ধরো! এই ভণ্ডকে বেঁধে রাখো!” কিন্তু যখন তাঁর চোখ পড়ল ভিক্ষুকের বেশে দাঁড়ানো ভুবন শেঠের উপর , তখনই যেন পৃথিবী থমকে গেল। অভিমানী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, তিনি দেখলেন এক ভগ্ন অহংকারহীন মানুষ— ঝুলি পেতে দাঁড়িয়ে আছে তাঁর দয়ার আশায়। বিবেক বাবুর শরীর কেঁপে উঠল। তাঁর অহংকার, ক্রোধ মুহূর্তেই গলে গেল। ব্যালকনি থেকে দৌড়ে নেমে এসে ভুবন শেঠকে বুকে জড়িয়ে ধরে তিনি কেঁদে ফেললেন। কাঁপা গলায় বললেন— “বন্ধু, এ কী অবস্থা তোর? তুই আমার দ্...

ভিক্ষার পথে: অহংকারের প্রতিটি স্তর ধ্বংস – চতুর্থ অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat  ভুবন শেঠের চূড়ান্ত পরীক্ষা: চিরশত্রুর দ্বারে ভিক্ষা লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ অবশেষে নির্ধারিত দিনে ভুবন শেঠ গুরুদেবের কাছে পৌঁছালেন। ভিক্ষা সংগ্রহের ঝুলি কাঁধে, চোখে গভীর বিনম্রতা, তিনি প্রণাম করে বললেন— “গুরুদেব, আপনার আদেশ মতো ভিক্ষা সংগ্রহ করে এনেছি। দয়া করে আজ আমাকে দীক্ষা দিন।” গুরুদেব ধীরচিন্তায় ঝুলির দিকে তাকালেন। একটি মুহূর্ত নীরবতার পর তিনি হাত বাড়িয়ে সমস্ত দ্রব্য স্পর্শ করলেন। তারপর শান্ত অথচ কঠিন কণ্ঠে বললেন— “না ভুবন, দক্ষিণা পূর্ণ হয়নি। তুমি এখনো সম্পূর্ণ ভিক্ষা জোগাড় করতে পারোনি।” এই এক বাক্যে ভুবন শেঠ যেন বজ্রাহত। আশ্রমে উপস্থিত অন্য শিষ্যরাও হতভম্ব। ভুবনের অন্তর কেঁপে উঠল—সে জানত সমস্ত গ্রামের দ্বারেই ভিক্ষা চেয়েছে, তবু একমাত্র দরজায় ঝুলি পাততে পারেনি। সেই দরজার পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন— চিরশত্রু বিবেক বাবু। অতীতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, অহংকার, গর্ব—সবকিছু যেন এক সূক্ষ্ম সুতোয় বাঁধা। সেই সুতো ভাঙতে না পারা ভুবনকে এখনও পূর্ণ মুক্তি থেকে বঞ্চিত করছিল। তাঁর অন্তর জানল, শেষ পরীক্ষা ...

গুরুদেবের শর্ত: অহংকার ভাঙার চাবিকাঠি – তৃতীয় অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat  ভুবন শেঠের অহংকার ভাঙা: ভিক্ষার মাধ্যমে আত্মজীবনের নতুন অধ্যায় লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ রাত্রি গড়িয়ে দিন, দিন গড়িয়ে সপ্তাহ—ভুবন শেঠের মনের অস্থিরতা যেন কখনো থামছিল না। তার ধন-সম্পদ, বিশাল সাম্রাজ্য, সামাজিক মর্যাদা—সবকিছুর ভেতরে লুকিয়ে ছিল এক অপূরণীয় শূন্যতা। দিন দিন ভুবন বুঝতে লাগলেন, গুরুদেবের কথা ভুল নয়। সত্যিই, সম্পূর্ণ অহংকার ত্যাগ না করলে মানুষ কি সত্যের পথযাত্রী হতে পারে? অবশেষে এক দিন তিনি আবার গুরুদেবের আশ্রমে ফিরে এলেন। অন্তরের সমস্ত বিনম্রতা নিয়ে প্রণাম করলেন— > “গুরুদেব, আমি বুঝতে পেরেছি। দয়া করে আমাকে দীক্ষা দিন। আমার ভুল ক্ষমা করুন।” গুরু মৃদু হেসে বললেন— > “দীক্ষা চাইলে আগে গুরুদক্ষিণা চাই। তবে ভয় পেও না, তোমার ধনসম্পদ থেকে আমি কিছু চাই না। তোমার দক্ষিণা হবে ভিক্ষা। তোমাকে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা চাইতে হবে। যখন সেই ভিক্ষা তুমি আমার কাছে আনবে, তখনই দীক্ষা সম্ভব হবে।” ভুবন শেঠ প্রথমে স্তম্ভিত। এত বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি, শত শত মানুষের জীবিকা তাঁর হাতে—তবুও এক খালি ঝুলি ও ভি...

মেয়েটির এক বাক্য: আসল কাজ কোথায়? – দ্বিতীয় অংশ

ছবি
  My Astrology Ranaghat 

অসুখী ধনকুবের: ভুবন শেঠের অন্তরের খোঁজ – প্রথম অংশ

ছবি
MyAstrology Ranaghat    ভুবন শেঠের অন্তরের যাত্রা: ধন, অহংকার ও জীবনের আসল কাজ লেখক: প্রদ্যুত আচার্য পেশা: জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ, দার্শনিক চিন্তাবিদ ভুবন শেঠ ছিলেন এক প্রসিদ্ধ ও দয়ালু ব্যক্তি—তাই নামটি শুনলেই চারিদিকে এক অদ্ভুত শ্রদ্ধার সঞ্চার হতো। তিনি ছিলেন অপার ধন-সম্পদের মালিক; রূপা-সোনা, হীরক-মুক্তা যেন তার জীবনের প্রতিদিনের খেলনা। তবুও, অসহায় মানুষদের সহযোগিতা ও দানে তার অন্তহীন আগ্রহ তাকে আলাদা পরিচয় দিয়েছিল। বৃহৎ ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য, শত শত কর্মচারীর আনাগোনা, রাজসভায় প্রভাব—সবকিছুতে ভুবন শেঠের উপস্থিতি অনুভূত হতো। তবুও, ভুবন শেঠের অন্তরে শান্তি ছিল না। ধন-সম্পদ মানুষের চোখে মর্যাদা আনে, কিন্তু নিজের ভিতরের শূন্যতাকে ঢাকতে পারে না। ভুবন শেঠ দিন-রাত অস্থিরতায় ভুগতেন। বিশেষত, তাঁর জীবনের এক অদৃশ্য শূল ছিল—বিবেক বাবু। এক সময় বন্ধু, পরে প্রতিদ্বন্দ্বী। এই সম্পর্কের প্রতিযোগিতাই যেন তার নিশ্বাসকে বিষিয়ে তুলেছিল। অর্থে সমান, প্রভাবে সমান, অথচ একে অপরকে হারানোর লোভে দু’জনেই যেন অর্ধেক জীবন পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। একদিন ব্যবসার কাজ সেরে ভুবন শেঠ ক্লান্ত দেহে শয্যায...

বিজ্ঞান, যুক্তি ও আধ্যাত্মিকতার সংমিশ্রণে সত্যের খোঁজ – MyAstrology রানাঘাট

ছবি
Dr Prodyut Acharya  যুক্তি, বিজ্ঞান ও বিশ্বাস: সত্যের সন্ধানে আজকের বিশ্বের মানুষ প্রায়শই ধরে নেয়—যা বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা যুক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত, শুধু সেটাই সত্য। বাকিটা সব ভুল। এই দৃষ্টিভঙ্গি একদিকে মানুষকে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস থেকে মুক্ত করেছে, অন্যদিকে সীমিত করেছে আমাদের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি এবং আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানকে। বিজ্ঞান আমাদের চারপাশের প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। যেমন—পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে  এবং ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ করে—এই সত্যগুলো পরীক্ষিত ও পুনরাবৃত্তি সক্ষম। তবে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও আছে। চেতনার প্রকৃতি, মৃত্যুর পরের অভিজ্ঞতা বা মানুষের অন্তর্জ্ঞান—এইসব বিষয় বিজ্ঞানের সরাসরি পরীক্ষার বাইরে। যুক্তিবাদীরা বলেন, যা যুক্তির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায় না, তা গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন—অশুভ শক্তি বা ভূত-প্রেতের ধারণা। আবার সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার, যেমন—“সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণে বাইরে বেরোলে বিপদ হবে,” যুক্তি তা খণ্ডন করেছে। কিন্তু সবকিছুকে শুধুই যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলে মানবিক অনুভূতি, নৈতিকতা এব...

পরিশ্রম, ভাগ্য ও জীবনপথের দিশা –জ্যোতিষী প্রদ্যুত আচার্য

ছবি
 MyAstrology রানাঘাট জ্যোতিষ ও হস্তরেখা পরামর্শ সেবা  Astrolgy and palmistry  কর্ম ও পরিশ্রমের সত্য “কর্ম করো, ফলে আশা করোনা”—ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই উক্তি প্রায় প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে পরিচিত। শৈশব থেকেই আমাদের শেখানো হয়েছে—পরিশ্রমই জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—পরিশ্রম বলতে আমরা ঠিক কী বুঝি? আমার দৃষ্টিতে পরিশ্রম সেই কর্ম, যা করতে আমাদের মন চায় না, তবু আমরা করতে বাধ্য হই। যেমন—কেউ এসি-ঘরে বসে সারাদিন কাগজপত্র সই করছে; বাইরে থেকে সেটি সহজ মনে হলেও, যদি তার অন্তর না চায়, তবে সেটিই প্রকৃত পরিশ্রম। অন্যদিকে, কেউ ভীষণ রোদের মধ্যে মাঠে কাজ করছে অথচ সে কাজ তার প্রাণের আনন্দ, তবে সেটি আর কেবল পরিশ্রম নয়—সেটি হয়ে ওঠে এক প্রকার আনন্দমগ্ন ধ্যান। প্লেটো বলেছেন—“যে কাজ ভালোবাসা দিয়ে করা যায়, তা-ই প্রকৃত শিল্প।” একই কথা রবীন্দ্রনাথও বলেছেন—“যে কাজ আনন্দ দেয়, সেই কাজই আমাদের পরম পূজা।” অর্থাৎ, যে কর্মে মানুষ ডুবে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব ভুলতে পারে, সে কর্ম কেবল খাটনি নয়, বরং আত্মার তৃপ্তি। কৃষ্ণের উপদেশ ও কর্মযোগ শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন— “হে অর্জুন, তুমি এখন কেবল একজন য...

পিতৃপক্ষ ২০২৫: পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ ও জীবনের সমৃদ্ধি

ছবি
পিতৃদোষ নিবারণ  By MyAstrology | Dr. Prodyut Acharya – সেরা জ্যোতিষী ও হস্তরেখাবিদ পিতৃপক্ষ হলো হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ১৫ দিনের সময়কাল, যা পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পিতৃদোষ শোধন করতে উৎসর্গীকৃত। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই সময়ে করা শ্রাদ্ধ, তর্পণ ও দান পূর্বপুরুষের আশীর্বাদ এবং জীবনের সমৃদ্ধি আনে। পিতৃপক্ষের জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী গুরুত্ব পিতৃদোষ নিবারণ: জন্মকুণ্ডলীতে যদি পিতৃদোষ থাকে, তবে পিতৃপক্ষে করা দান ও পূজা সবচেয়ে কার্যকর। সূর্য ও চন্দ্রের প্রভাব: দক্ষিণায়ন সূর্যের সময় পিতৃলোকের শক্তি পৃথিবীর কাছে আসে। কার্মিক ঋণ পরিশোধ: পিতৃপক্ষে দান, তর্পণ ও ব্রাহ্মণ ভোজ করলে পিতৃঋণ পরিশোধ হয় এবং জীবনে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। কেতু ও রাহু শান্তি: কালসার্প দোষ বা পিতৃদোষে ভোগা ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে ফলপ্রসূ। জন্মরাশি অনুযায়ী করণীয় রাশি করণীয় বিশেষ টিপস মেষ গঙ্গাজল দিয়ে তর্পণ, কালো তিল দান সূর্যোদয় সময় করলে ফলদায়ক বৃষ গরু বা ব্রাহ্মণকে দান, কালো তিল শনি-রাহু প্রভাব কমাতে দান ফলপ্রসূ মিথুন দুধ, চাল, তিল দিয়ে শ্রাদ্ধ পিতৃঋণ পরিশোধ ও কর্মফল শুভ ...

রানাঘাটের সেরা জ্যোতিষী ও হস্তরেখা বিশেষজ্ঞ

ছবি
  Dr Prodyut Acharya Ranaghat  MyAstrology Astrology and Palmistry Consultant Service  আজকের সময়ে সবাই নিজেদের সেরা জ্যোতিষী বলে প্রচার করে। কেউ বিজ্ঞাপন দেয়, কেউ আবার অর্থ দিয়ে পুরস্কার কিনে নেয়। কিন্তু একজন আসল জ্যোতিষীর পরিচয় পাওয়া যায় তার সঠিক পরামর্শ ও মানুষের মুখের প্রশংসায়। Dr. Prodyut Acharya – যিনি রানাঘাট, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গের একজন অভিজ্ঞ জ্যোতিষী ও হস্তরেখা বিশেষজ্ঞ, গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের জীবন নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন – > “মানুষের সমস্যা সমাধান করে তাদের মুখে হাসি ফেরা – এটাই একজন জ্যোতিষীর আসল সাফল্য।” তিনি জন্ম কুন্ডলি বিশ্লেষণ (Horoscope Analysis), হস্তরেখা বিচার (Palm Reading), রত্ন পরামর্শ এবং দার্শনিক মানসিক গাইডেন্সের মাধ্যমে মানুষকে জীবনের সঠিক পথ দেখান। --- কেন Dr. Prodyut Acharya রানাঘাটের সেরা জ্যোতিষী ১৫+ বছরের অভিজ্ঞতা: দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের জন্ম কুন্ডলি ও হাতের রেখা নিয়ে গবেষণা। সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী: বহু ক্লায়েন্ট রিভিউতে উল্লেখ আছে, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবের সঙ্গে মিলে গেছে। মানবিক পরামর্শ: কেবল জ্যোতিষ নয়, জী...

রাশি ও জন্ম নক্ষত্র – মানুষের স্বভাব, ভাগ্য | MyAstrology

ছবি
রাশি ও জন্ম নক্ষত্র – মানুষের ভাগ্য, স্বভাব ও চরিত্র প্রাচীন ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র শুধু গণনার বিদ্যা নয়, এটি মানুষের অন্তর্লোক ও মহাজাগতিক শক্তির এক গভীর সংলাপ। রাশি হলো সেই আকাশপথ, যেখানে গ্রহ-নক্ষত্রের নিরন্তর চলাচল মানুষের জীবনের গতিপথ নির্দেশ করে। আবার জন্ম নক্ষত্র হলো সেই আধ্যাত্মিক আলো, যা জন্মের মুহূর্তে আমাদের চেতনার বীজ রোপণ করে। বৈদিক দর্শনে বলা হয়েছে – “যথা পিণ্ডে তথা ব্রহ্মাণ্ডে” , অর্থাৎ মানুষের জীবনে যা ঘটে, তা মহাজাগতিক ছন্দেরই প্রতিফলন। প্রতিটি রাশি মানুষের বহিরাঙ্গ চরিত্র, সামাজিক পরিচয় ও জীবনপথের প্রতীক। অন্যদিকে প্রতিটি নক্ষত্র মানুষের অন্তর্গত মনোভাব, প্রবৃত্তি ও কর্মফলের সূক্ষ্ম দিক প্রকাশ করে। তাই একজন মানুষকে জানতে হলে শুধু রাশি নয়, তার জন্ম নক্ষত্রের রহস্যও বিশ্লেষণ করা জরুরি। এখানেই জ্যোতিষশাস্ত্র দার্শনিক এক শিল্পে রূপ নেয় – যেখানে গণনা ও চেতনার মিলনে সত্য উদ্ভাসিত হয়। আজকের আলোচনায় আমরা ২৭টি জন্ম নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলব। প্রত্যেক নক্ষত্রের নিজস্ব শক্তি, চরিত্র, স্বভাব ও ভাগ্য...

জীবন মানেই পরিবর্তন: মহাভারতের আলোকে জ্যোতিষ মানচিত্র

ছবি
  Dr prodyut Acharya  নিজস্ব ধর্মে দৃঢ় থাকা – জীবন ও জ্যোতিষ দর্শন প্রতিটি মানুষ একা, প্রত্যেকে তার নিজস্ব চিন্তাভাবনা, অভিজ্ঞতা ও মানসিকতার ফলাফল। এই বাস্তবতাটিই মানুষকে করে তোলে অনন্য। কেউ নিখাদ যুক্তিতে বিশ্বাসী, কেউ আবেগে, আবার কেউ কর্মফলে। যেমন মহাভারতের প্রতিটি চরিত্র —কৃষ্ণ, কর্ণ, ভীষ্ম, দ্রোণাচার্য, শকুনি, দুর্যোধন—সবাই নিজেদের স্বধর্মে অটুট ছিলেন, চূড়ান্ত পরিণতি যাই হোক না কেন। তাদের সিদ্ধান্ত কখনও ছিল আত্মত্যাগমূলক, কখনও ধ্বংসাত্মক—তবুও তারা নিজের বিশ্বাসচ্যুত হননি। গীতার তৃতীয় অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণ বলেন— 👉 "শ্রেয়ান্ স্বধর্মো বিরতঃ, পরধর্মো ভয়াবহঃ" অর্থাৎ নিজের ধর্ম পালন করে মৃত্যুও শ্রেয়, অপরের ধর্ম পালন বিপজ্জনক। আমার জ্যোতিষ জীবনেও বহুবার দেখেছি—মানুষ নিজের অচলায়তন বিশ্বাস, অভ্যাস, প্রবৃত্তির শিকার হয়। সমস্যার মূল তাকে বোঝানো গেলেও সে নিজেকে পাল্টাতে চায় না। ❖ বাস্তব উদাহরণগুলো দেখলেই বোঝা যায় — একজন মানুষ তার সম্পর্কে অসহনীয় মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করছে, সম্পর্ক একতরফা, বারংবার অপমানিত হচ্ছে—তবু সে বলে, "আমি ভালোবাসি, সম্পর্ক রাখতেই হবে।" ...

জীবনের গোলকধাঁধায় ভাগ্যের সন্ধান

ছবি
    My Astrology  জীবনের বিভ্রান্তিতে ও ভাগ্যের অন্বেষণ — জ্যোতিষ ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এক আত্মজিজ্ঞাসা ✍️ জ্যোতিষ ও হস্তরেখাবিদ্ প্রদ্যুৎ আচার্য জীবনে কখনো কখনো এমন সময় আসে, যখন চারপাশের সব কিছুই যেন নিজের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মনে হয়। সহানুভূতির স্পর্শ দুর্লভ হয়ে ওঠে, সহযোগিতার আশ্বাস ফিকে হয়ে যায়। আপন মানুষগুলোও কেমন যেন নিজের হাত গুটিয়ে নিয়ে এক এক করে দূরে সরে যায়। তখন পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, বিশ্বাস করার মতো কেউ খুঁজে পাওয়া যায় না। এই সময়গুলো কি নিছকই কাকতালীয়, না কি এও গ্রহ-নক্ষত্রের গভীর প্রভাব? দেখা যায়, কিছু মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ প্রচণ্ড চেষ্টা করেও কোনওভাবে সফল হতে পারছে না। আবার অন্য কেউ সামান্য প্রয়াসেই উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে ফেলছে জীবনে। এমন অসম সমীকরণ কিসে নির্ধারিত হয়? এগুলো কি শুধুই পরিশ্রমের তারতম্য, নাকি জ্যোতিষশাস্ত্রে বর্ণিত জন্মকালের গ্রহের অবস্থানেরই প্রভাব? ব্যর্থতা মানেই পরাজয় নয় আপনি যদি জীবনে প্রচুর প্রচেষ্টা করেও ব্যর্থ হন, তবে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই—যদি নিশ্চিত হন আপনি আপনার যোগ্যতা ও শক্তির শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছিল...

বেদ থেকে বিজ্ঞান, জ্যোতিষশাস্ত্রের অজানা ইতিহাস ও আধুনিক প্রয়োগ

ছবি
MyAstrology জ্যোতিষশাস্ত্র: আলো, যুক্তি ও আত্মদর্শনের একটি পথ ✍️ জ্যোতিষ ও হস্তরেখাবিদ্ ডঃ প্রদ্যুৎ আচার্য 🌟 জ্যোতিষ: শব্দার্থ ও আত্মার আলোকবিন্দু “জ্যোতিষ” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “জ্যোতি” থেকে, যার অর্থ—আলো, দীপ্তি, চেতনার উন্মেষ। এই আলো বাহ্যিক নয়, বরং অন্তরাত্মার দিশারী। জ্যোতিষ সেই শাস্ত্র, যেখানে আলোচ্য বিষয় হল জ্যোতিষ্ক—অর্থাৎ গ্রহ, নক্ষত্র, তাদের গতি ও মানসিক প্রতিফলন। অন্যদিকে, গ্রীক শব্দ “Astrology” এসেছে Astro (নক্ষত্র) + Logos (যুক্তি)। অর্থাৎ — “নক্ষত্রবিজ্ঞান” বা “নক্ষত্রসম্পর্কিত যুক্তিবাদ”। সংস্কৃতে একে বলা হয় — হোরাশাস্ত্র (Horāśāstra) — অর্থাৎ সময় বা কালজ্ঞানবিজ্ঞান। 🕉️ বেদের চক্ষু: শাস্ত্রের দার্শনিক ভিত্তি জ্যোতিষশাস্ত্র হল বেদাঙ্গ-এর একটি — বেদের ছয়টি অঙ্গ: ১) শিক্ষা, ২) কল্প, ৩) ব্যাকরণ, ৪) নিরুক্ত, ৫) ছন্দ, ৬) জ্যোতিষ। > 📖 "জ্যোতিষং চক্ষুষাম্" — “জ্যোতিষ হলো বেদের চোখ।” এই চোখ শুধু জ্যোতির নয়, এটি সময়, চেতনা ও আত্মোপলব্ধির অন্তর্দৃষ্টি। এই কারণেই প্রাচীন ঋষিরা বলেন— > “যে নিজের আত্মাকে জানে, সে-ই জ্য...

জন্ম আমার হাতে নয়, তবুও আমি স্বাধীন— জীবনকে মেনে নেওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি

ছবি
  “আমি কে?” — জন্ম, নিয়তি ও মুহূর্তের আত্মজিজ্ঞাসা ✍️ প্রদ্যুৎ আচার্য ছোটবেলা থেকেই জীবনের কঠোর বাস্তবতা আমাকে এক গভীর প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে— “আমি কেন জন্মালাম?” এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমি এক অন্যরকম বোধে পৌঁছেছি— একটি দীর্ঘ উপলব্ধির পথ পেরিয়ে, যা আজও চলছে। আমার জন্ম আমার ইচ্ছা অনুযায়ী হয়নি। বিশ্বে এত পরিবার থাকতে, কেন আমি এই পরিবারেই জন্মালাম? একজন ধনী, প্রতিপন্ন পরিবারেও তো জন্ম হতে পারতো? ঠিক যেমন মৃত্যু কখন, কিভাবে, কোথায় হবে— সেটাও আমি ঠিক করতে পারবো না। 📖 "We can never know the thing-in-itself" — ইমানুয়েল কান্ট (Immanuel Kant) (আমরা কোনো কিছুর প্রকৃত স্বরূপ কখনোই জানতে পারি না) আমার জন্ম-মৃত্যু ঠিক তেমনই— আমার উপলব্ধির বাইরের জগৎ, যেখানে আমি কেবল অবলোকনকারী মাত্র। তবুও আমি বিশ্বাস করি— আমি স্বাধীন। কারণ আমি জীবনকে মেনে নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, যা ঘটছে তা-ই ঘটার কথা ছিল। এই গ্রহণযোগ্যতার মধ্য দিয়েই আমি মুক্তির স্বাদ পাই। আমার অস্তিত্ব এই প্রকৃতির অংশ। তাই আমার মধ্যেও প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য থাকবে— আনন্দ, দুঃখ, হাসি, কান্না, উৎসাহ ও বিষণ্ণতা। এই অনুভূতিগুলোকে আম...

হস্তরেখার রেখায় লুকিয়ে আছে এক অলৌকিক নিউরোসায়েন্স!

ছবি
MyAstrology   “হাত দিয়ে কি সত্যিই মন ভালো রাখা সম্ভব?” ✍️ প্রদ্যুৎ আচার্য  ---- নিভৃতে বসে থাকা গুরুদেবের পাশে এসে শিষ্য বলল, “গুরুদেব, একটা প্রশ্ন জাগে… ছোটবেলা থেকেই শিখিয়েছে প্রণাম করতে, হাত জোড় করতে। কিন্তু ভগবানের সামনে তো ঠিক আছে, কিন্তু মা বাবা ও গুরু স্থানীয় কাউকে ছাড়া প্রণাম করা কি নিজেকে ছোট করা নয়?” গুরুদেব মুচকি হেসে বললেন, “হাত জোড় মানে নিজেকে ছোট করা নয়, বরং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা, অর্থাৎ মস্তিষ্কের দুই অর্ধাংশের মাঝে বন্ধন তৈরি করা। যেখানে মনের আবেগ আর যুক্তির মধ্যকার সংঘর্ষে শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।” শিষ্য কিছুই বুঝতে না পেরে একটু কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করল— “কিন্তু গুরুদেব, আমি জানতে চাই এটা কি কেবল শিষ্টাচার বা সংস্কৃতি, না এর পেছনে কোনো বিশেষ কারণ আছে?” গুরু বললেন, “চলো তাহলে শুনি বৈজ্ঞানিক দর্শনে হস্তরেখা সম্বন্ধে— এই তিনের এক অপূর্ব সমন্বয়ের কথা।” --- 🧠 মস্তিষ্ক ও হাতের বিজ্ঞান মানুষের মস্তিষ্ক সাধারণত দু'ভাগে বিভক্ত: 🔹 বাম মস্তিষ্ক (Left Hemisphere) — যুক্তি, বিশ্লেষণ, ভাষা সৃষ্টি করে এবং শরীরের ডান পাশ নিয়ন্ত্রণ করে। 🔹 ডান মস্তিষ্ক (Right Hemisph...