Where is the origin of astrology ? জ্যোতিষ শাস্ত্রের সৃষ্টি

জ্যোতিষ শাস্ত্র উৎপত্তি কোথা থেকে 

Astrology
Astrology 
জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্বন্ধে মানুষের বিশ্বাস, অন্ধ বিশ্বাস, এবং অবিশ্বাস, এই তিন ধরনের মানুষ আমাদের সমাজে বসবাস করছে | জ্যোতিষ শাস্ত্র সম্বন্ধে আমার কিছু ধারণা আমি জনসাধারণের মধ্যে তুলে ধরার চেষ্টা করছি |
সবার প্রথমে জ্যোতি শব্দের মানে সম্বন্ধে যা শিখেছি তার আলোচনা করছি, জ্যোতিষ শব্দকে ভাঙলে অর্থাৎ আলাদা করলে পাওয়া যায়, জ্যোতি+ঈশ, জ্যোতি যার অর্থ আলো, ঈশ যার অর্থ ঈশ্বর, জ্যোতিষের প্রকৃত অর্থ হল ঈশ্বরের আলো | ইংরেজি শব্দে বলা হয় Astrology যাকে ভাঙলে পাওয়া যায় A Star + Logic অর্থাৎ নক্ষত্রের পর্যালোচনা ও যুক্তি |
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে জ্যোতিষ এর উৎপত্তি কোথা থেকে? জ্যোতিষের উৎপত্তি হলো বেদ থেকে  জ্যোতিষ বেদেরই অঙ্গ | জ্যোতিষ হলো বেদের চক্ষুও স্বরূপ | যেমন চক্ষু বিনা সৃষ্টির সমস্ত প্রাণী অন্ধ | তেমনই জ্যোতিষ বিনা বেদের জ্ঞানও অসম্পূর্ণ |

অন্যান্য - জ্যোতিষ শাস্ত্র কি?

আবার প্রশ্ন আসতে পারে বেদ কেন মানবো? কি আছে এই বেদে?
বেদ মানুষের দ্বারা সৃষ্ট নয়, এর সৃষ্টি ঈশ্বর দ্বারা | ব্যাসদেব মুনি মানুষের পাঠ করার সুবিধার্থে, এই বেদ কে চার ভাগে বিভক্ত  করেছেন |
১.ঋগ্বেদ, ২.সামবেদ, ৩.যজুবেদ, ৪.অথর্ববেদ,

এই বেদ গুলোর থেকে পাওয়া যায়
১.শিক্ষা, ২.ব্যাকরণ, ৩.ছন্দ, ৪. নিরুক্ত, ৫.জ্যোতিষ, ৬.কল্প,

শিক্ষা - শিক্ষা হলো নির্ভুলভাবে বৈদিক শব্দ উচ্চারণ পদ্ধতি |

ব্যাকরণ - ব্যাকরণ হলো সন্ধি বিচ্ছেদ করে ব্যাকৃত রূপে পরিণত করা |

ছন্দ - ছন্দ হল প্রতিটি শব্দকে সঙ্ঘবদ্ধ করে ছন্দে প্রকাশ করা

নিরুক্ত - নিরুক্ত হলো প্রতিটি পথকে ভেঙে তার আলাদা আলাদা ব্যাখ্যা করা |

জ্যোতিষ - জ্যোতিষ হলো তিথি, নক্ষত্র, অহোরাত্র, পক্ষ, মাস, ঋতু, সংবৎসর, গণনা করে বিভিন্ন কর্মের আয়োজন করা |

কল্প - কল্প হল নির্ভুলভাবে বৈদিক ক্রিয়াকান্ডের বিধি প্রয়োগ করা |

এছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে এই চার বেদের মধ্যে যার সবকিছু আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয় | আমি একজন জ্যোতিষ গবেষক, তাই আমার আলোচনার বিষয় হলো জ্যোতিষ | বর্তমান সময়ে জ্যোতিষ বিদ্যা ও জ্যোতির্বিদ্যা আলাদা মনে হলেও প্রাচীনকালে তা একই ছিল, আর এই জ্যোতিষই হল পৃথিবীর প্রাচীন মহাকাশ বিজ্ঞান | এই জ্যোতিষ বিদ্যার দ্বারাই তখনকার সময়ে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করা হতো, গ্রহাবস্থান নির্ণয় করা হতো, ঋতু পরিবর্তন, পূর্ণিমা ও অমাবস্যা, চাষাবাদের নিয়ম নির্ণয় করা হতো, এমনকি স্বামী স্ত্রীর মিলন অর্থাৎ গর্ভধারণ কোন সময় সঠিক তার নির্ণয়, এবং গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব তারা জীব জগতের কল্যাণ অকল্যাণ এর ধারণা করা হতো |

অন্যান্য - জ্যোতিষ শাস্ত্র কেন মানবো?

এছাড়া পরবর্তীকালে গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব এর দ্বারা প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য, গ্রহাবস্থানের ফলে হয় তাও প্রাচীন মুনি ঋষিরা উপলব্ধ করে গবেষণাপত্র রেখে গেছেন | গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের ফলে প্রতিটি মানুষের বৈশিষ্ট্য আলাদা আলাদা হয় তা সকলেই জানে, কিন্তু কিভাবে হয়? কেন হয়? তা মাত্র অভিজ্ঞ জ্যোতিষীরই জানে | সাধারণ জ্যোতিষীরা জানে বলে আমার মনে হয় না | কারণ আমি নিজেও এর সন্ধান করে চলেছি, কেউ কেউ নিজের মত করে ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম, কিন্তু সঠিক প্রমাণ বা ব্যাখ্যা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনা বা সক্ষম নন, তাই আজ জ্যোতিষ শাস্ত্র বিজ্ঞান এর অন্তর্ভুক্ত নয় | আমাদের চেষ্টা প্রাচীন পুঁথিপত্র ঘেঁটে জ্যোতিষ বিদ্যা সম্বন্ধে সঠিক তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা |

একটা কথা মনে রাখা অবশ্যই প্রয়োজন জ্যোতিষ কারো ভাগ্য পরিবর্তন করে না কিন্তু এই শাস্ত্রের সহযোগিতায় নিজের ভাগ্য নিজে তৈরি করা সম্ভব |

অন্যান্য - অক্ষয় তৃতীয়া কি ? এই তিথিতে বিশেষ কর্ম করে দুর্ভাগ্যকে জয় করুন

আজকের লেখা এই পর্যন্তই, এই লেখা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, এবং শেয়ার করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দেবেন |
নমস্কার

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন হয়

শ্রাবণ মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন হয়

হাতের আয়ু রেখা বিচার