Facebook আজ, ৫ই মার্চ, ২০২৪, রাত 9:00 নাগাদ হঠাৎ করে ফেসবুক সার্ভার ডাউন হওয়ার কারণ এখনো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। কিছু সম্ভাব্য কারণ: ডেটা সেন্টারে ত্রুটি: ফেসবুকের ডেটা সেন্টারে কোন ত্রুটির কারণে সার্ভার ডাউন হয়ে থাকতে পারে। সাইবার হামলা: ফেসবুক সার্ভারে কোন সাইবার হামলার কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। নতুন আপডেটে ত্রুটি: সম্প্রতি ফেসবুকে কোন নতুন আপডেট দেওয়া হয়ে থাকলে, সেই আপডেটে ত্রুটির কারণেও সার্ভার ডাউন হতে পারে। অন্যান্য কারণ: বর্তমান পরিস্থিতি: বর্তমানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে। সার্ভার কখন সম্পূর্ণভাবে ঠিক হবে তা এখনো জানা যায়নি। কিছু ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারছেন, তবে অনেকে এখনো সমস্যার সম্মুখীন।
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
অক্ষয় তৃতীয়াই কি অক্ষয় তিথি ? জেনে নিন অক্ষয় তৃতীয়া সম্বন্ধে
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
-
অক্ষয় তৃতীয়া
প্রাচীন পুঁথিপত্র ঘাটলে এমন কিছু তথ্য পাওয়া যায় যা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ও বার, তিথি, নক্ষত্র, করণ, ও যোগ অনুযায়ী, সর্বক্ষণ শুভ অথবা অশুভ সময় চলতেই থাকে | এর মধ্যে কখনো কখনো বিশেষ কিছু শুভ অথবা অশুভ সময় আসে যায়, মানুষ তার খবর রাখে না | এই বিশেষ শুভ অথবা অশুভ মুহূর্তে মানুষ এমন কিছু কাজ করে ফেলে যার ফল সারা জীবন ভোগ করতে হয় | অনেক মানুষের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেমন কথায় কথায় কিছু কথা উচ্চারণ হয়েছে, যা কয়েক বছরের মধ্যেই সত্যি হয়েছে | অর্থাৎ যেই সময় সেই কথার উচ্চারণ হয়েছিল, সেই সময়টা বিশেষ শক্তিশালী মুহূর্ত ছিল | অন্যান্য - সমুদ্রশাস্ত্র অনুযায়ী হাতের উল্টো পিঠে লুকিয়ে মানুষের ভাগ্য
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে তেমনই কিছু শুভ দিনের কথা আলোচনা করব |
সবার প্রথমে একটি বিশেষ শুভ দিন অক্ষয় তৃতীয়া সম্বন্ধে আলোচনা করব |
অক্ষয় তৃতীয়া
এই তিথির প্রকৃতঅর্থ হল যার কোন ক্ষয় নেই বা বিনাশ নেই, যা অবিনশ্বর ও চিরস্থায়ী | অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম অনেক গ্রন্থ ও পুরাণে পাওয়া যায়, যেমন নারদ পুরাণ, মৎস্য পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ইত্যাদি গ্রন্থে অক্ষয় তৃতীয়ার সম্বন্ধে বিস্তারিত উল্লেখ করা আছে | শাস্ত্রে কথিত আছে এই যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন এই সৃষ্টির সূচনা হয়েছিল | বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষে তৃতীয়া তিথিতে এই তিথি, অর্থাৎ অক্ষয় তৃতীয়া | পয়লা বৈশাখের পরে এই তিথিতে, ভারতের বহু ব্যবসায়ী ব্যবসা স্থানে লক্ষ্মী গণেশের পুজো অর্চনা করে, নতুন বছরে ব্যবসার শুভ সূচনা করে থাকেন | এই দিনে বিভিন্ন ধরনের বাধা বিঘ্ন নাশ করার কামনা নিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করা হয়, এই তিথিতে সিদ্ধিবিনায়কের পুজো এক বিশেষ আকর্ষণ | শাস্ত্র মতে বলা হয়েছে ব্যবসা লক্ষ্মী, তাই এই তিথিতে সিদ্ধিদাতা গণেশের সঙ্গে মহালক্ষ্মী দেবীরও আরাধনা করা হয় | মহালক্ষ্মী হলেন গণেশের ভগিনী অর্থাৎ বোন | শ্রী-গণেশ, গণপতি, বিঘ্ন নাশায়ক, এর পূজা অর্চনা অক্ষয় তৃতীয়ার বিশেষ অঙ্গ | তার সঙ্গে মহালক্ষ্মীর আগমনে বিঘ্ন না ঘটে সেই কারণে গনেশ ও লক্ষ্মীর এক সাথে পুজো করা হয় | ভারতীয় শাস্ত্র মতে অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে তার কয়েকটি কারণ আছে | অন্যান্য - এই বিষয় গুলো না জানার কারণে সফল হতে পারছেন না
7. এই তিথিতে যক্ষরাজ কুবেরের তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহাদেব তাঁকে অতুল ঐশ্বর্য প্রদান করেন। এইদিনই কুবেরের লক্ষ্মী লাভ হয়েছিল বলে এদিন বৈভব-লক্ষ্মীর পূজা করা হয়।
8. পুরীতে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা রথ নির্মাণ এই পূর্ণ তিথি থেকেই শুরু হয় |
9. কেদারনাথ, বদরীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনত্রীর যে মন্দির গুলো ছয়মাস বন্ধ থাকে, এইদিনেই তার দ্বার উদঘাটন হয়। দ্বার খুললেই দেখা যায় সেই অক্ষয়দীপ, যা ছয়মাস আগে জ্বালিয়ে আসা হয়েছিল।
এই অক্ষয় তৃতীয়া যদি কোন সোমবার পড়ে তাহলে এই তিথির মাহাত্ম্য আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায় | অক্ষয় তৃতীয়া অক্ষয় তিথিতে পরিনত হয় |
আবার মুহূর্ত শাস্ত্র নামক এক শাস্ত্রে, শুভ তিথি গণনা পদ্ধতি তে, আরো কিছু অক্ষয় তিথির কথা উল্লেখ করা হয়েছে |
যেমন
* সোমবারের অমাবস্যা তাকে সোমাবতী অমাবস্যা বলে এই অমাবস্যা তিথি অক্ষয় তিথি|
* শুক্লপক্ষের সপ্তমী তিথি রবিবার হলে, অক্ষয় তিথি বলে |
* শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি মঙ্গলবার হলে, অক্ষয় তিথি বলে |
* শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি বৃহস্পতিবার হলে, অক্ষয় তিথি বলে |
হিন্দু বিশ্বাস মতে বলা হয়, এই তিথি গুলোতে কোন পাপ কার্য বা পুণ্য কার্য করা হয়, তাহলে তার ক্ষয় হয় না, যুগের পর যুগ ওই পাপ-পুণ্যের ফল ভোগ করতে হয় | তাই এই তিথি গুলো চিহ্নিত করুন, আর এই তিথি গুলোতে এমন কোন কর্ম করা থেকে বিরত থাকুন যাতে পাপ হয় | এবং এমন কোন কর্ম করুন যাতে পুন্য অর্জন করা যায় |
বিবাহিত মহিলারা অখন্ড সৌভাগ্যবতী হওয়ার জন্য এই তিথিতে নারায়ণের চরণে সিঁদুর ছুঁইয়ে সিঁথিতে ব্যবহার করলে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে, এবং সাংসারিক সুখ বজায় থাকবে |
সন্তানের মঙ্গল কামনায়, পাঁচটি তুলসী পাতা নারায়নের চরণে অর্পণ করে সন্তানকে খাওয়ালে সন্তানের উন্নতি হবে |
রুপোর পাত্রে গরম দুধ এবং এক চুটকি কেশর মিশিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনে ভাগ করে খেলে তাদের সম্পর্ক ও ভালবাসার গভীরতা বৃদ্ধি পাবে |
একটি লাল কাপড়ে রুপোর কয়েন বেঁধে তা নিজের সন্তানকে আশীর্বাদ স্বরূপ উপহার দিন, যদি তারা সেইদিন কাছে না থাকে তাহলে তাদের নাম গোত্র উচ্চারণ করে পুজোর স্থানে রেখে দিন, যেদিন আসবে তুলে তাদের হাতে দিয়ে দেবেন, এতে সন্তানের মঙ্গল অবশ্যই হবে |
মানুষের শুভ আশীষ ঈশ্বরের আশীর্বাদ স্বরূপ, তাই এই দিন অসহায় মানুষের সেবা করে তাদের শুভ আশিষ পেলে, সেই শুভ আশিষ এর ফল ক্ষয় হয় না | বিশেষ করে খেটে খাওয়া বৃদ্ধ মানুষের সেবা করলে এর ফল অনেক বেশি পাওয়া যায় | শাস্ত্র মতে নরের সেবাকে নারায়ন সেবা বলা হয়েছে | এই দিনে নর নারায়ণের সেবা করে পুণ্য অর্জন করা যায় |
এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে খেটে খাওয়া বৃদ্ধ মানুষদের শনি দেবের স্বরূপ মনে করা হয়, তাই এনাদের সেবা করে আশীষ পেলে দুর্ভাগ্য দুর হয়ে সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয় |
এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শুভ কর্মে নিয়োজিত হয়ে নিজের দুর্ভাগ্য কে দূর করে সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পারেন | এই তিথি গুলোতে ভুলেও যেন ভুল না হয়, অর্থাৎ আপনার দ্বারা কোন পাপ কর্ম না হয় তাহলে আপনার পাপের ফল, যুগের পর যুগ আপনাকেই ভোগ করতে হবে |
আজকের লেখা এই পর্যন্তই, এই তথ্য গুলো প্রত্যেক মানুষের জানার প্রয়োজন | প্রতিটা মানুষের জানার উদ্দেশ্যে এই তথ্য শেয়ার করুন, কারণ মানুষকে ভাল তথ্য দিয়েও পুণ্য অর্জন করা যায় | নমস্কার
Om ভারতের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শ্রী নরেন্দ্র মোদী, আগামী 5 ই এপ্রিল রবিবার রাত 9 ঘটিকায়, 9 মিনিট, সমস্ত দেশবাসীকে ঘরের ইলেকট্রিক লাইট বন্ধ করে, প্রদীপ, মোমবাতি, টর্চ, মোবাইলের ব্যাক লাইট, জ্বালিয়ে রাখতে অনুরোধ করেছেন | অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে এর ফলে লাভ কি হবে | লাভ ক্ষতির বিচার করতে গেলে, আগে জানতে হবে প্রদীপ মোমবাতি ইত্যাদি জালানো হয় কেন? প্রদীপ মোমবাতি ইত্যাদি জালানো হতো, অন্ধকার দূর করবার জন্য | বর্তমানে ইলেকট্রিক লাইট ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা অন্ধকার দূর করে থাকি | কিন্তু ভারতীয় শাস্ত্র মতে শুধুমাত্র অন্ধকার দূর করবার জন্যই প্রদীপ, মোমবাতি, ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না | অগ্নি, পৃথিবী, বায়ু, জল, আকাশ, এই পঞ্চতত্ত্বের মধ্যে সবথেকে পবিত্র হলো অগ্নি |অগ্নির যেমন দাহ করার ক্ষমতা আছে, তেমনই আছে এর পবিত্রতা | তাই যেকোনো মাঙ্গলিক কর্মে অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে, শুভ শক্তিকে বৃদ্ধি করার জন্য, প্রদীপ, মোমবাতি, যজ্ঞ, ইত্যাদির মাধ্যমে পবিত্র অগ্নির ব্যবহার করা হয় | এছাড়াও যোগীদের সেরা সময় হল রাত্র, মানুষের মন সদা চঞ্চল, তাই মনকে স্থির করা খুব কঠিন কাজ | আমাদের পঞ্চ...
ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় সিংহ রাশি সিংহ রাশি রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি, সিংহ রাশিতে যখন রবি প্রবেশ করে তখন ভাদ্র মাসে শুরু হয়| মানুষের জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী মানুষের প্রকৃতি ও ভাগ্যের সম্পর্কে কিছুটা স্থূল ধারণা পাওয়া যায় | ভাদ্র মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম, তারা খুব সাহসী দৃঢ় প্রকৃতির, এরা চায় সবার থেকে আগে এবং সবার উপরে থাকতে, সেই জন্যই এরা যে কাজে হাত দেয় তা সম্পন্ন করতে জীবন-মরণ চেষ্টা করে থাকে| সমস্ত বড় ব্যাপারের দিকে এদের নজর থাকে, বড় আদর্শ সামনে রেখে এরা সেই ভাবে চলতে চেষ্টা করে, কিন্তু এরা আশা ও আদর্শ উচ্চ হওয়ায় মাঝে মাঝে তা কার্যক্ষেত্রে ফলদায়ক বা কার্যকরী হয় না| এরা একটু সরল প্রকৃতির অর্থাৎ খোলাখুলি ব্যবহার ও কথাবার্তা বলতে বেশি পছন্দ করে, মিথ্যা, ছল, প্রতারণা, এসব ব্যাপার কে অত্যন্ত ঘৃণা করে| এরা নিজেরা সৎ থাকার কারণে অন্যদের তেমন মনে করে এবং অন্যদের খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে ফেলে| কিন্তু বাস্তব জগতে মানুষ যখন চালাকি, প্রতারণার, পরিচয় পায় তখন এদের মন তিক্ত হয়ে যায়, এবং এরা কঠোর হৃদয়ের মানুষ হয়ে ওঠে| জাতকের...
শিবলিঙ্গ কি? লিঙ্গ কথার অর্থ হল প্রতীক চিহ্ন | আর শিবলিঙ্গ হলো, ভগবান শিবের নির্গুণ ব্রহ্মের প্রতীক চিহ্ন | ভগবান শিব কে বলা হয় পরমেশ্বর | শিবলিঙ্গ পরমেশ্বর ভগবান শিবের ধ্যান মগ্নতার প্রতীক, শান্ত হওয়ার প্রতীক | ভগবান শিব আত্মধ্যানে লীন থাকেন, আর এই সংসারের সমস্ত মানুষকে অন্তর্মুখী হয়ে ধান মগ্ন থাকার উপদেশ দেন | মহাদেব "লয়ং যাতি ইতি লিঙ্গ" অর্থাৎ যার মধ্যে সবকিছু লয় হয়ে যায় তাই হল লিঙ্গ | অন্তর্মুখী ধ্যান অভ্যাসের মাধ্যমে, পঞ্চ ইন্দ্রিয়, ষড়ঋপু, (পঞ্চ ইন্দ্রিয় হলো ঘ্রাণ আস্বাদন শ্রবণ দর্শন স্পর্শ আর ষড়ঋপু হল কাম-ক্রোধ-লোভ-মোহ-মদ মাৎসর্য) এই সমস্ত কিছু লয় প্রাপ্ত করে, মানুষ দেবগুণ সম্পন্ন হয়ে উঠতে পারে | পরমেশ্বর ভগবান-শিব হিন্দু ধর্মের দেবতা হলেও যে কোন ধর্মের মানুষ ভগবান শিবের এই উপদেশ পালন করে, আত্মার উন্নতির সাথে সাথে নিজের ও সংসারের উন্নতি করতে পারে | শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞতাবশত কিছু ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে, যেমন লিঙ্গ শব্দের উৎপত্তি সংস্কৃত লিঙ্গম শব্দ থেকে, যার অর্থ প্রতীক চিহ্ন। যেমন অর্থের অর্থ হলো টাকা । কিন্তু বাংলা ব্যাকরণ এ লিঙ্গ শব্দ ...
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনখুব ভালো হয়েছে
উত্তরমুছুন