MyAstrology রানাঘাট জ্যোতিষ ও হস্তরেখা পরামর্শ সেবা Astrolgy and palmistry কর্ম ও পরিশ্রমের সত্য “কর্ম করো, ফলে আশা করোনা”—ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই উক্তি প্রায় প্রতিটি ভারতীয়ের কাছে পরিচিত। শৈশব থেকেই আমাদের শেখানো হয়েছে—পরিশ্রমই জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—পরিশ্রম বলতে আমরা ঠিক কী বুঝি? আমার দৃষ্টিতে পরিশ্রম সেই কর্ম, যা করতে আমাদের মন চায় না, তবু আমরা করতে বাধ্য হই। যেমন—কেউ এসি-ঘরে বসে সারাদিন কাগজপত্র সই করছে; বাইরে থেকে সেটি সহজ মনে হলেও, যদি তার অন্তর না চায়, তবে সেটিই প্রকৃত পরিশ্রম। অন্যদিকে, কেউ ভীষণ রোদের মধ্যে মাঠে কাজ করছে অথচ সে কাজ তার প্রাণের আনন্দ, তবে সেটি আর কেবল পরিশ্রম নয়—সেটি হয়ে ওঠে এক প্রকার আনন্দমগ্ন ধ্যান। প্লেটো বলেছেন—“যে কাজ ভালোবাসা দিয়ে করা যায়, তা-ই প্রকৃত শিল্প।” একই কথা রবীন্দ্রনাথও বলেছেন—“যে কাজ আনন্দ দেয়, সেই কাজই আমাদের পরম পূজা।” অর্থাৎ, যে কর্মে মানুষ ডুবে গিয়ে নিজের অস্তিত্ব ভুলতে পারে, সে কর্ম কেবল খাটনি নয়, বরং আত্মার তৃপ্তি। কৃষ্ণের উপদেশ ও কর্মযোগ শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন— “হে অর্জুন, তুমি এখন কেবল একজন য...
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
অর্থ উপার্জন বৃদ্ধি করতে হলে এই জিনিস গুলো ঘর থেকে বের করে দিন
লিঙ্ক পান
Facebook
X
Pinterest
ইমেল
অন্যান্য অ্যাপ
-
Vastu Shastra
শাস্ত্রে বলে অর্থই অনর্থের মূল | পৃথিবীতে অনেক ধনী মানুষ প্রচুর অর্থ-সম্পদ থাকার কারণে, নিজেদের সুখ শান্তি হারিয়ে ফেলেছেন | আবার কখনো কিছু ধনী মানুষ, শান্তির খোঁজে নিজেদের সমস্ত ধন-সম্পদ দান করে দিয়ে, সন্ন্যাস গ্রহণ করেছে এবং আধ্যাত্মিক পথে জীবনযাপন করছেন | আবার একদিকে পৃথিবীর বেশি সংখ্যক মানুষ দরিদ্রতা ভোগ করছে | মানুষ অর্থ উপার্জন করে নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী এ কথা সত্য | কিন্তু কিছু মানুষ দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও নিজেদের প্রয়োজনীয় অর্থ টুকুও উপার্জন করতে পারছেনা | জ্যোতিষ শাস্ত্র, হস্তরেখা সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী, এর অনেক কারণই আছে | কিন্তু আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব বাস্তু শাস্ত্র সম্পর্কে | বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী যে জিনিস গুলো আপনার ঘরে থাকলে, অর্থ উপার্জনে ও ধন সঞ্চয়ে বাধার সৃষ্টি হয় | আমি সেই বিষয়গুলো আপনাদের কাছে তুলে ধরব |
১. অনেক মানুষ, বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় জিনিস, যেমন পুরনো ছেঁড়া জামা কাপড়, বিভিন্ন ভাঙাচোরা বস্তু, খালি ওষুধের বোতল, ভাঙা বাসনপত্র, ইত্যাদি ঘরের কোণে বা বস্তাবন্দী করে ঘরের কোথাও রেখে দেয় | এই সব অপ্রয়োজনীয় বস্তু, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদায় করুন | বাস্তুশাস্ত্র মতে এই জিনিসগুলো ঘরে অর্থ আসতে বাধা সৃষ্টি করে |
২. বর্তমান সময়ে মানুষের অর্থের অভাবে বা ভুমির অভাবে, ঘর ছোট তৈরি করতে হয়, ঘরে খুব সল্প জায়গা, তাই বাধ্যতামূলক তাদের শোয়ার খাটের নিচে বিভিন্ন মালপত্র রাখতে হয় এবং সেখানে সারা বছরেও পরিষ্কার করা হয় না | সেখান প্রচুর পরিমাণে নোংরা আবর্জনা জমা হয়, এই নোংরা থেকে প্রচুর পরিমাণে নেগেটিভ এনার্জি সৃষ্টি হয় | এই এই অশুভ শক্তি ও সংসারের উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে | তাই খাটের নিচের অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিদায় করে, প্রয়োজনীয় জিনিস রাখুন এবং মাঝে মাঝে তা পরিষ্কার করুন |
৩. বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচারের সঙ্গে কাঁচ ও আয়নার ব্যবহার বেড়েছে, আর এই কাঁচ এমনই বস্তু কখনো না কখনো ভেঙেই যায়, আর এই ভাঙ্গা কাঁচ ও ভাঙ্গা আয়না কে বাস্তুশাস্ত্র মতে অশুভ বলা হয়েছে | তাই ভাঙ্গা কাঁচ ও ভাঙ্গা আয়না যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবর্তন করে ফেলুন |
৪. আজকাল স্মার্টফোন ও বিভিন্ন গ্যাজেট থাকার কারণে, ঘরের দেওয়ালে থাকা ঘড়িটির দিকে সহজে চোখ পড়ে না ,তাই একবার দেখে নিন ঘরের দেওয়ালে থাকা ঘড়িটি চলছে তো? | বাস্তুশাস্ত্র মতে ঘরে থাকা বন্ধ ঘড়িও অত্যন্ত অশুভ, এটা আপনার অশুভ সময়ের ইঙ্গিত করে | তাই ঘরের দেয়ালে থাকা বন্ধ ঘড়িটি সচল করুন |
৫. মানুষের জন্ম হলে মৃত্যু হবে একথা সত্য, প্রিয় মানুষ হারিয়ে যাওয়ার ব্যথা সকলের হৃদয়ে থাকে ,তাই স্মৃতি হিসেবে তার ছবি ঘরে টানিয়ে রাখা হয়, তাতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু ছবিটি জীবিত অবস্থায় তোলা হতে হবে | বাস্তুশাস্ত্র মতে কোন ব্যক্তির মৃত অবস্থার ছবি ঘরের দেয়ালে টানানো অত্যন্ত অশুভ | এই ছবি ঘরে থাকলে আপনার আত্মবিশ্বাসের অভাব হবে |
৬. অনেকের ঘরে মাকড়সার উৎপাত খুব বেশি | মাকড়শা ঘরের এমন এমন জায়গায় জাল তৈরি করে, তা অনেক সময় চোখেই পড়ে না | এই ঘরে থাকা মাকড়সার জাল অত্যন্ত অশুভ | মাকড়শার জাল আর্থিক উন্নতির বাধা সৃষ্টি করে | তাই মাকড়সা বিদায় করার চেষ্টা করুন, আর তা সম্ভব না হলে প্রতিদিন জাল খুঁজে পরিষ্কার করুন |
৭. অনেক বাড়ির জলের কল খারাপ হয়ে থাকে, জলের কল বন্ধ করলেও তার থেকে ফোটা ফোটা জল পরতেই থাকে, আবার অনেক সময় নিজেদের কাজের শেষে, জলের কলটি সঠিকভাবে বন্ধ করাই হয় না, সেক্ষেত্রেও ফোটা ফোটা জল পরতে থাকে | আর বাস্তুশাস্ত্র মতে বিনা প্রয়োজনে ঘরের জল বাইরে চলে গেলে, ঘরের পজিটিভ এনার্জি ও জলের সাথে বাইরে চলে যায়, এবং ধনের অপচয় বৃদ্ধি হয় ও ধন সঞ্চয় হতে চায় না, সে কারণে জলের কল তাড়াতাড়ি সারাই করে ফেলুন, অথবা কাজের শেষে জলের কল ঠিক ভাবে বন্ধ করুন |
৮. ঘরের ঠাকুর মন্দির ও ঠাকুরের ছবিতে আমরা ফুল ও ফুলের মালা দিয়ে পুজো করে থাকি, অথবা ঘরের ফুলদানী বা কোন মৃত ব্যক্তির ছবিতে আমরা ফুল ও ফুলের মালার ব্যবহার করে থাকি | কিছু দিনের মধ্যে ফুল শুকিয়ে যায়, আর আমরা তা পরিষ্কার করি না, এই শুকনো ফুল ও ঘরে থাকা অশুভ, তাই ফুল শুকানোর আগে পরিস্কার করুন |
উপরোক্ত এই কয়েকটি কর্মের মাধ্যমে, আপনার সংসারিক অশান্তি ও রোগ ব্যাধি, হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমাতে পারেন, এবং আপনার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কে ও অনেকটাই পরিবর্তন করে, দরিদ্রতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন |
ভাদ্র মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় সিংহ রাশি সিংহ রাশি রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি, সিংহ রাশিতে যখন রবি প্রবেশ করে তখন ভাদ্র মাসে শুরু হয়| মানুষের জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী মানুষের প্রকৃতি ও ভাগ্যের সম্পর্কে কিছুটা স্থূল ধারণা পাওয়া যায় | ভাদ্র মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম, তারা খুব সাহসী দৃঢ় প্রকৃতির, এরা চায় সবার থেকে আগে এবং সবার উপরে থাকতে, সেই জন্যই এরা যে কাজে হাত দেয় তা সম্পন্ন করতে জীবন-মরণ চেষ্টা করে থাকে| সমস্ত বড় ব্যাপারের দিকে এদের নজর থাকে, বড় আদর্শ সামনে রেখে এরা সেই ভাবে চলতে চেষ্টা করে, কিন্তু এরা আশা ও আদর্শ উচ্চ হওয়ায় মাঝে মাঝে তা কার্যক্ষেত্রে ফলদায়ক বা কার্যকরী হয় না| এরা একটু সরল প্রকৃতির অর্থাৎ খোলাখুলি ব্যবহার ও কথাবার্তা বলতে বেশি পছন্দ করে, মিথ্যা, ছল, প্রতারণা, এসব ব্যাপার কে অত্যন্ত ঘৃণা করে| এরা নিজেরা সৎ থাকার কারণে অন্যদের তেমন মনে করে এবং অন্যদের খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বাস করে ফেলে| কিন্তু বাস্তব জগতে মানুষ যখন চালাকি, প্রতারণার, পরিচয় পায় তখন এদের মন তিক্ত হয়ে যায়, এবং এরা কঠোর হৃদয়ের মানুষ হয়ে ওঠে| জাতকের...
শ্রাবণ মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয় কর্কট রাশি কর্কট রাশি, রাশিচক্রের চতুর্থ রাশি, কর্কট রাশিতে যখন রবি প্রবেশ করে তখন শ্রাবণ মাসে শুরু হয়| জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী জাতকের স্বভাব প্রকৃতি ও ভাগ্যের সম্পর্কে কিছুটা স্থূল ধারণা পাওয়া যায় | শ্রাবণ মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম এরা খুব বেশি পরিমাণে ভাবপ্রবণ আবেগপ্রবণ ও অভিমানি প্রকৃতির হয়ে থাকে, এদের মধ্যে প্রেম প্রীতি ভালোবাসা স্নেহ মায়া-মমতা বেশি দেখা যায়, এরা সমাজের কল্যাণকর কাজে নিজেকে নিয়োগ করে, দাতা ও শান্তিপ্রিয় প্রকৃতির হয়ে থাকে| এদের মধ্যে কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখতে পাওয়া যায় যা অন্যদের মধ্যে খুব বেশি দেখা যায় না, যেমন প্রাচীন জিনিসের উপরে প্রচন্ড আকৃষ্ট থাকে প্রাচীন শাস্ত্র, ইতিহাস, পুরান, প্রাচীন নির্মাণ ইত্যাদির প্রতি এদের আকর্ষণ থাকে| এরা সংসারী এবং গৃহসুখ প্রিয় প্রকৃতির, তবুও এদের ভ্রমণের খুব নেশা থাকে| এরা পরিশ্রমী কিন্তু কারো আদেশ অনুযায়ী কাজ করার থেকে ভালোবাসার বিনিময়ে পরিশ্রম করতে বেশি পছন্দ করে | এরা অন্যের থেকে সহানুভূতি, ভালোবাসা, প্রশংসা, বাহবা পাওয়ার জন...
Life line হাতের যে রেখাটি বৃহস্পতির ক্ষেত্রের নিচের থেকে শুরু করে, শুক্রের ক্ষেত্রকে ঘিরে ধনুকের মত বাকিয়ে, মনিবন্ধ রেখার দিকে চলে আসে, এই রেখা টি কে বলে আয়ু রেখা | আয়ু রেখা টি যদি বৃহস্পতির ক্ষেত্রে নিচের থেকে শুরু না হয়ে, বৃহস্পতির ক্ষেত্র থেকেই শুরু হয় | তাহলে এই ধরনের জাতক-জাতিকা স্বাধীনচেতা মানসিকতার হয়, এদের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা প্রচন্ড পরিমাণে থাকে | এর ফলে এদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ছোটবেলা থেকেই দেখা যায় | কিন্তু যদি এই আয়ুরেখাতে দীপ চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে এটি নির্দেশ করে এই জাতক-জাতিকা বাল্যকালে খুব একটা শক্ত সামর্থ্য হবে না, কারণ সে নিজের ক্ষমতাকে অত্যাধিক ব্যবহার করেছে | আবার ধরুন আয়ুরেখা বৃহস্পতির ক্ষেত্রে নিচ থেকেই শুরু হয়েছে, সেই রেখা থেকে একটি রেখা বৃহস্পতির ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে, এই রেখাটি যে বয়সে সৃষ্টি হবে অর্থাৎ যখন এই রেখাটি হাতে দেখা যাবে, ওই বয়সে জাতক বা জাতিকার উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি হবে, এবং উচ্চ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবার জন্য অত্যাধিক পরিশ্রম করবার দিকে ঝোঁক থাকবে | আবার এইসব রেখাতে ও যদি দ্বীপ চিহ্ন দেখা যায়, তাহলে জাতক নিজের ক্ষমতার তুলনায় অত্যাধি...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন