পৌষ মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন হয়

পৌষ মাসে জন্ম হলে মানুষ কেমন প্রকৃতির হয়

ধনু রাশি

ধনুরাশি রাশিচক্রের নবম রাশি, ধনু রাশির উপরে যখন রবি প্রবেশ করে তখন পৌষ মাসের শুরু হয়|
মানুষের জন্ম সময় রবির অবস্থান অনুযায়ী মানুষের ভাগ্য স্বভাব চরিত্র প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়|

পৌষ মাসে যেসব জাতক-জাতিকাদের জন্ম এরা অত্যন্ত নিয়ম-শৃঙ্খলা পরায়ন, এবং এদের মধ্যে মনঃসংযোগ ক্ষমতা যথেষ্ট পরিমাণে থাকে, যে কোন কাজে একাগ্রতা এবং নিজের বুদ্ধি নিয়োগ করে তা সুসম্পন্ন করে তোলে| এরা সাহসী, সংবেদনশীল, উৎসাহী ও আশাবাদী হয় প্রতিটি ব্যাপারেই নিয়ম-শৃঙ্খলা সহকারে এগিয়ে যায় সব কাজে সত্য ও যুক্তি থাকে এরা সব সময় যুক্তিসঙ্গত পথ খোঁজেন| এদের মধ্যে উপদেশ দেওয়ার ভাবধারা থাকে, অন্ধ বিশ্বাস বা গোঁড়ামি কম থাকে, স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করে তাই অনেকের কাছে অপ্রিয় হতে পারে| পরের দোষ ত্রুটি সহজেই ধরতে পারে, এদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টি ও জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়, এরা কুটিল ব্যবহার খুব ঘৃণা করে, সহজ সরল ব্যবহার পছন্দ করে| এরা উদার ও ধার্মিক প্রকৃতির হয়, বিজ্ঞান দর্শন ও ধর্ম ব্যাপারে এদের যথেষ্ট ঝোঁক থাকে |জীবনের প্রথমভাগে পারিবারিক দুর্যোগের কারণে কর্ম উন্নতিতে বাধা হতে পারে| যে কাজে বুদ্ধির প্রয়োজন হয় এরা সেই কাজের বিশেষ উপযুক্ত, আইন সংক্রান্ত কাজ, পরামর্শদাতা, অধ্যাপকের কাজে এরা বিশেষ সফলতা অর্জন করে, অনেক পরিশ্রম করলেও এদের বুদ্ধির পরিচয় দিতে হয়, গবেষণার কাজে ও এরা বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করতে পারে, এছাড়াও শিক্ষা, আবিষ্কার, লেখালেখির কর্ম দ্বারা উপার্জন করতে পারে| এদের মধ্যে বহুমুখী প্রতিভা থাকে ও লোকের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে, তাদের সত্য কথা বলিয়া তাদের অপমান করে অযথা শত্রু সৃষ্টি করতে পারে| এরা মানসিক দিক থেকে ভালো হলেও এদের আচার ব্যবহার এর কারণে সাধারণ মানুষ এদের সম্বন্ধে স্পষ্ট ধারণা করতে পারে না| এরা বুদ্ধিমান ও মেধাবী কোন ব্যাপার খুব তাড়াতাড়ি সহজেই বুঝে উঠতে পারে| এদের মধ্যে ধর্মভাব যথেষ্ট পরিমাণে দেখা যায়, এরা বাস্তব ব্যাপারে চাইতে সূক্ষ্ম ও মৌলিক মানসিকতার ব্যাপারে ঝোক বেশি থাকে| এদের হঠাৎ করে বিবাহ হয়ে যেতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে এদের দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ হয়না, কিন্তু এদের ঘরের অশান্তি বাইরে প্রকাশ পায় না| এদের অশান্তি মূল কারণ জাতকের স্ত্রীর রোগ, বা জাতিকার স্বামীর রোগের কারণে হতে পারে| এদের ভাগ্য ভালো বলাই চলে জীবনের দ্বিতীয়ার্ধে এরা উন্নতির সুযোগ পায়| কিন্তু এদের স্পষ্ট কথা বলার স্বভাব অন্যকে চটিয়ে দেয়, সেহেতু উন্নতির পথে বাধার সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে| এরা অত্যাধিক স্বাধীনতাপ্রিয় ও স্পষ্ট কথা বলার কারণে উন্নতির বাধা নিজেরাই সৃষ্টি করে| তাই এদেরকে উন্নতি করতে হলো স্পষ্ট কথা বলার অভ্যাস কে সংযত করতে হবে|
তো আজকের লেখা এই পর্যন্তই
নমস্কার