জল সম্পর্কে যে বিষয় আপনি কখনোই শোনেন নি
![]() |
Water |
পৃথিবীতে বেশিরভাগ প্রাণীর শরীরেই জলের ভাগ বেশি, তাই জল ছাড়া আমরা প্রাণের অস্তিত্বের কথা কল্পনাও করতে পারি না | কিন্তু এটা কখনো ভেবে দেখেছেন জীবন সৃষ্টিকারী এই জলের জীবন আছে কিনা না? |
অন্যান্য - জ্যোতিষ শাস্ত্র কি
বিজ্ঞানের সহযোগিতায় আমরা জানতে পেরেছি জল হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের সংমিশ্রণ | কিন্তু জাপানের বিশিষ্ট বৈজ্ঞানিক Masaru Emoto জলের আরো সুক্ষ্ম গবেষণা করে জানিয়েছেন পৃথিবীর এই অমূল্য সম্পদ জল নিজেও জীবিত, শুধু তাই নয় জল আলাদা আলাদা পরিবেশের আলাদা আলাদা গুণাবলী ধারণ করে আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ক্ষমতা রাখে |
অন্যান্য - জ্যোতিষ শাস্ত্র কেন মানবো
Masaru Emoto বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পরিবেশে জলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন জলের সূক্ষ্ম কনা গুলো বিভিন্ন রূপ ধারণ করে | তিনি বেশ আনন্দময় পরিবেশে যখন জলের পরীক্ষা করে তখন দেখাগেছে জলের সূক্ষ্ম কনার আকৃতি সুন্দররূপে রূপান্তরিত হয়েছে, আবার সেই জলের পরীক্ষা যখন অশান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে করেন তখন দেখাগেছে জলের সুক্ষ্ম কনা গুলোর আকৃতি ও বিশ্রী রূপে রূপান্তরিত হয়েছে | তার এই পরীক্ষা তাকে ভ্রমের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল, তিনি আরো কয়েকবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন এবং একই রকম রেজাল্ট পায় | তারপরে তিনি ধ্বনির প্রভাবে জলের পরীক্ষা করে তিনি জলকে সুন্দর মিউজিক শোনায় ও পরীক্ষা করে সেখানেও জলের সূক্ষ্ম কণাগুলো সুন্দর আকৃতি ধারণ করে | এবং কিছু ভয়ানক ও নেগেটিভ ধ্বনিতে জলের সূক্ষ্ম কণাগুলোর রূপ ভয়ানকভাবে গঠিত হয় |
![]() |
জলের বিভিন্ন রূপ |
এইভাবে তিনি জলের আরো অনেক ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, এমনকি তিনি প্রমাণ করেছেন মানুষের মানসিক চিন্তা ধারা ও মানুষের দৃষ্টিতেও জল প্রভাবিত হয় | এর অর্থ হল এই যে মানুষের শরীরে 70% জল থাকে এই জলও একই ভাবে প্রভাবিত হয়, এর কারণেই আমরা কোন সুন্দর পরিবেশে গেলে বা সুন্দর ধ্বনিতে আমাদের মনে অজানা কারণে সুখানুভূতি ও প্রফুল্লতা সৃষ্টি হয়, এবং কোন অশুভ পরিবেশে গেলে বা ভয়ানক শব্দে অজানা কারণে আমাদের মন চঞ্চল অস্থির ও ভীত হয়ে ওঠে | Scientist Masaru Emoto এর এই আবিষ্কার, বিজ্ঞান ও মানব সভ্যতা কে এক নতুন দিশা দেখিয়েছে |
এনার এই গবেষণার পরে প্রাচীন শাস্ত্র থেকে যদি কিছু গবেষণা তুলে ধরা হয়, যেগুলো এক সময় কিছু মানুষ যারা নিজেদের নাস্তিক যুক্তিবাদী ও বুদ্ধিজীবী বলে দাবি করেন, তারা যেই শাস্ত্রীয় সংস্কারকে কুসংস্কার বলে প্রচার করেছে |
কিন্তু এখন বোঝা যাচ্ছে যে প্রাচীন মুনি-ঋষিরা শাস্ত্রের মাধ্যমে আমাদের যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন তা কুসংস্কার নয় বরং বিজ্ঞান যা আমাদের প্রমাণ করতে পাচহাজার বছরের বেশি সময় লেগেছে | যেমন শাস্ত্র অনুযায়ী অতিথিকে ভগবান বলাহয়, আর এই অতিথি রুপি ভগবান বাড়িতে আসলে তাকে প্রথমে একটি পাত্রে জল খাওয়ানোর নির্দেশ দেওয়া আছে, এতে পরিবারের কল্যাণ হবে | যদি Masaru Emoto এনার গবেষণা অনুযায়ী এই নিয়মের বিচার করি তাহলে দেখা যায় একজন অতিথিকে ভগবান মানলে মনে ভক্তির উদয় হয়, যখন মনে ভক্তির উদয় হয় তখন মনে বিচার ও খুব ভালো সৃষ্টি হয় আর এই ভালো বিচার জলও ধারণ করে, আর সেই জলে অতিথির শরীর তৃপ্ত হয় এবং তার মনেও ভালো বিচার সৃষ্টি হয় |
অন্যান্য - স্বভাব পরিবর্তন করলে জীবন পরিবর্তন হয়
একই ভাবে সাধু ঋষিদের মানুষের চিকিৎসার নামে ঝাড়ফুঁক করতে দেখা যায়, এবং একটি পাত্রে জল নিয়ে সেই জল স্পর্শ করে বা জলের দিকে তাকিয়ে কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করতে দেখা যায়, এবং এই জল যার চিকিৎসা হয় তাকে পান করতে দেওয়া হয়, এই ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে অনেক মানুষ নিজেরা ভালো হয়েছে বলে দাবি করে | তাহলে এই ঘটনার ও যদি Masaru Emoto এর গবেষণার অনুযায়ী বিচার করা হয় তাহলে বোঝা যায় মন্ত্র হলো কিছু পজেটিভ ধনী, তার সাথে মনের বিচার এবং দৃষ্টি একসাথে জলে মিশৃত হয়েছে এবং সেই জল পান করে মানুষ ভালো হচ্ছে | তেমনি ভগবান শিবের আরাধনা করে শিব লিঙ্গে ঢালা জলকে চরণামৃত বলা হয়েছে |
এছাড়াও শাস্ত্র অনুযায়ী জল ব্যবহারের বিভিন্ন নিয়ম আছে যে নিয়ম গুলোর মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে অনেকটা সুখী ও শারীরিকভাবে সুস্থ করে তুলতে পারি সেগুলো আরো একটা লেখার মাধ্যমে আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব | আজকের জন্য এই পর্যন্তই ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুক এই বলে আজকে লেখা শেষ করছি নমস্কার |
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন