জ্যোতিষশাস্ত্র সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের বিশ্বাস জয় করে আসছে| ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় প্রাচীন রাজ রাজাদের সভায় জ্যোতিষীর স্থান ছিল| তারা সমস্ত শুভ-অশুভ কর্ম জ্যোতিষী দের পরামর্শ মতোই করতেন| এই আধুনিক যুগেও জ্যোতিষ শাস্ত্রের উপর বিশ্বাস টিকে আছে এমন মানুষ প্রচুর আছে| তারা এখনো জ্যোতিষীদের পরামর্শ মতো সমস্ত কর্ম করে থাকে| আবার কিছু মানুষ আছে যারা জ্যোতিষশাস্ত্র কে বিশ্বাস করে না, কিন্তু তবুও নিজের ভাগ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী|
জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিচার পদ্ধতি দুই ভাগে বিভক্ত,
১) ফলিত জ্যোতিষ|
২) হস্তরেখা বিচার পদ্ধতি|
হস্তরেখা বিচার পদ্ধতি সমুদ্র শাস্ত্রের একটি অঙ্গ|
সেখান থেকে প্রেম-ভালোবাসা বিবাহিত জীবন কেমন কাটতে পারে? কি বলছে হস্তরেখা তা একবার দেখে নেওয়া যাক|
কনিষ্ঠ আঙুলের নীচে বুধের ক্ষেত্রে বিবাহ রেখাটা সম্বন্ধে আমরা অনেকেই জানি। বিবাহ রেখা থেকে বিবাহ ছাড়াও আরও অনেক কিছু জানা যায়? প্রেম করে বিয়ে হবে না দেখাশোনা করে, বেশি বয়সে বিবাহ, না তাড়াতাড়ি বিয়ে, পরকীয়া সম্পর্কে জড়াবেন কি না? বা বিবাহ বিচ্ছেদের কোনো সম্ভাবনা আছে কি না? সব জান যায় এই বিবাহ রেখা দেখে।
* হৃদয় রেখা ও বিবাহ রেখার সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে। হৃদয় রেখা থেকে বিবাহ রেখার দূরত্ব যত কম, তাঁর বিয়ে তত কমবয়সে হবে। এই দুই রেখার মধ্যে অনেক দূরত্ব থাকলে, তত বেশি বয়সে বিয়ে হবে।
* বিবাহ রেখার প্রথম দিকে যদি দুটো শাখা মত ভাগ হয়ে যায়, এবং একই রকম রেখা দু-হাতেই দেখা যায়, তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
* মহিলাদের হাতে বিবাহ রেখার শুরুতেই যদি ‘দ্বীপের’ মতো চিহ্ন থাকে, তা হলে বিবাহ ক্ষেত্রে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। প্রেমের ক্ষেত্রেও প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা । স্বামীর স্বাস্থ্য খুব ভালো থাকে না।
* হাতে যদি দুটো বিবাহ রেখা স্পষ্ট ভাবে থাকে এবং দুটোই পরস্পরের সমান্তরাল অবস্থায় থাকে, তাহলেও কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের ইঙ্গিত করে। যদি বিবাহ বিচ্ছেদ নাহলেও, কোনও কারণে ওই ব্যক্তির দুই বার বিবাহ হতে পারে।
* বিবাহ রেখার সমান্তরাল রেখাটি যদি বিবাহ রেখার নীচে প্রায় বিবাহ রেখার গায়ে গায়ে থাকে, তার মানে ওই ব্যক্তির বিয়ের আগে কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলে মনে করা যেতে পারে। বিয়ের পরেও পরকীয়ায় জড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।
* বিবাহ রেখা বেঁকে গিয়ে হৃদয় রেখায় গিয়ে মিলিত হয়, সেই ব্যক্তির প্রেম বিবাহের সম্ভাবনাই বেশি থাকে। তবে, বিচ্ছেদের আশঙ্কাও থাকবে। এমনকী সঙ্গীর হঠাৎ দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হতে পারে। সঙ্গীর প্রাণহানী বা অন্য কোনও কারণে এই বিচ্ছেদও হতে পারে।
* বিবাহরেখা বেঁকে যদি হৃদয় রেখায় মিলিত হয়ে এবং ঠিক তার উপরে সমান্তরাল আরও একটা বিবাহরেখা থাকে, এটা প্রথম প্রেম অথবা বিবাহ বিচ্ছেদের স্পষ্ট ইঙ্গিত।
* বিবাহ রেখার শেষের দিকে যদি দু-ভাগে ভাগ হয়ে থাকে, তাহলেও কিন্তু বিচ্ছেদেরই ইঙ্গিত করে। এই শাখা রেখা দুটি ছোট হলে, সাময়িক বিচ্ছেদ। আর বড় হলে সম্পুর্ন ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অথবা বা বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কের কারণেও এই বিচ্ছেদ হতে পারে।
শুরুর দিকে বিবাহরেখা দুভাগে ভাগ হয়, তাহলে ঐ ব্যক্তির বিবাহের জন্য খুব বেশি সমস্যা ভোগ করতে হয়। পছন্দ মত পাত্র বা পাত্রী পাওয়া দুষ্কর। আবার বিয়ে না-হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়। যদিও বিয়ে হয়, প্রথম দিকে নানা সমস্যার কাটাতে হবে।
* বিবাহ রেখার শেষে দুভাগে বিভক্ত হওয়া শাখা রেখার একটি রেখ যদি হৃদয়রেখাকে গিয়ে স্পর্শ করে, তাহলে সেই ব্যক্তি নিশ্চিত ভাবেই বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে জড়াবেন। নিজের আত্মীয় স্বজনের মধ্যেও শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে যেতে পারে। ফলে, বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা থেকে যায়।
Astrolger Dr. Pradyut Acharya
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন