মকর রাশির মানুষের স্বভাব কেমন হয়
|
মকর রাশি
|
মকর রাশি, রাশি চক্রের দশম রাশি, এই রাশির অধিপতি গ্রহ হল শনিদেব, তাই মকর রাশিতে জন্ম মানুষের একাগ্রতা খুব বেশি থাকে, কোনও কিছুতে লেগে থাকার ধৈর্য শনিদেব এদের দিয়েছে, সমস্যা এঁদের জীবনে লেগেই থাকে কিন্তু কোনও দিনই ঘাবরে যায় না, এরা জীবন যুদ্ধেও পরিশ্রমে হার মানার মতো মানুষ নয়, কখনও তো এমনও হয় যে এরা এদের ক্ষমতার থেকে অধিক পরিশ্রম করে, কিন্তু সফলতা হওয়ার আগেই এমন একটা বাধা এসে উপস্থিত হয়, এদের মন ভেঙে যায়, কিছুদিন কাটিয়ে আবার সাহস দেখানোর চেষ্টা করে কিন্তু সফলতা আবারও এদের থেকে দূরে পালিয়ে যায়| মকর রাশির মানুষরা বাস্তববাদী ও শৃঙ্খলা পরায়ন এবং নিয়মাবর্তিতা সম্পন্ন হয়ে থাকে, অর্থাৎ এঁরা রুটিন মাফিক কাজ করতে বা জীবনে চলতে ভালোবাসে| এঁরা জীবনে চলার পথে বাধা পেলে থেমে যায় না শুধু চলার গতি ধীর করে নেয় এবং অন্য পথের অনুসন্ধান করে এগিয়ে চলে, সমস্ত বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে শত্রুদের হারানোর মতো ক্ষমতা এঁদের আছে, কিন্তু কখনোই এরা আপন লোকদের কাছে জিততে পারেনা, আপন লোকেদের থেকে লাগা মনে ব্যথা সহ্য করা এদের অভ্যাস হয়ে গেছে| এরা ভাবে কাকেই বা কী বলব আগের দিনগুলোতে যাকেই যা বলেছে সেই কথার উল্টো মানে বার করে নিয়েছে| মকর রাশির অধিপতি শনি দেব তাই শনিদেবের দোষ গুণ এই রাশিতে ভালোভাবেই ফুটে ওঠে যেমন শনিদেব দন্ডনায়ক অর্থাৎ বিচারক, বিচার করে দণ্ড দেওয়া এবং নিরপেক্ষতার পালন করা এঁদের স্বভাব|তাই এরা মাঝে মাঝেই অন্যের ঝামেলায় হস্তক্ষেপের কারণে বদনামের ভাগীদার হয়, এবং নিরপক্ষ হয়েও এদের কথা যার পক্ষপাতিত্ব হয় তাঁরা এঁদের ভুলে গেলেও যার বিপক্ষে যায় তারা কখনোই এদের ভোলে না অন্যের ভাল করতে গিয়ে নিজে সমস্যার মধ্যে জড়িয়ে যায়| সাংসারিক সুখের আশায় এঁরা কর্তব্য পূরণ করতে নিজের ব্যক্তিগত সময়টুকু হারিয়ে ফেলে পারিবারিক সুখের জন্য ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য এরা সব কিছু মানিয়ে চলে এবং নিজেদের খুশির বলীদান করে থাকে তবুও সবার কাছে যেন ভালো মানুষ হিসেবে হয়ে ওঠা হয় না| এদের মানসিক কষ্ট এতটাই বেশি হয় যে মানসিক কষ্ট মাঝে মাঝে শারীরিক কষ্ট রূপান্তরিত হয়| এদের জীবনে উত্থান পতন লেগেই থাকে, এদের কিছু জটিলতা কিছু সমস্যা এদের দুশ্চিন্তা করতে বাধ্য করে, মকর রাশির মানুষেরা অন্য রাশির তুলনায় আহার অনেক কম করে তাই শারীরিক পরিকাঠামোও কিছুটা চাপা ধরনের হয়| মকর রাশির মানুষের ব্যবহারিক জীবনে অন্য রাশির তুলনায় কিছুটা সুখ শান্তি কম পেলেও পরমেশ্বর এদের কুশল বুদ্ধি এবং অনেক ধৈর্য দিয়েছে| আগামী দিনগুলোতে নিজের ধৈর্য ও কুশল বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হবে|
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা একটা কথা মনে রাখতে হবে সুখ ও দুঃখ কোনওটাই দীর্ঘস্থায়ী হয় না, সবকিছু পরিবর্তনশীল, তাই এইবার দুঃখকে জয় করে সুখের সন্ধানে এগিয়ে যেতে হবে, তার সাথে যে স্বভাবের কারণে নিজেদের জীবনে সমস্যা ভোগ করতে হয়েছে সেই স্বভাব ত্যাগ করতে হবে তা হলে আপনার জীবনের সফলতা আসবেই আসবে| যে সময়ের মূল্য দিতে জানে সফলতা তার জীবনে শীঘ্র হয়|
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন এই বলে আজকের লেখা শেষ করছি|
নমস্কার
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন