হঠাৎ করে ফেসবুক সার্ভার ডাউন
.svg.png)
![]() |
Depression |
হতাশা মানসিক বিষন্নতা বর্তমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বিষন্নতা পূর্ণ হয়ে মানসিক চাপ ভোগ করছেন। হতাশা মনেরই একটি বিশেষ অবস্থা যখন আমরা জীবনের নেতিবাচক দিক গুলো ভাবতে শুরু করি। তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায়, জীবনে হতাশা নেমে আসে মনে হয় জীবনের সমস্ত কিছু শেষ হয়ে গেছে। আমাদের মনে কোনো আসা আকাঙ্ক্ষা থাকে না। এই ভাবেই অবিরত নেতিবাচক তীব্রতর চিন্তা ভাবনার কারণে, একজন ব্যক্তি জীবন থেকে আনন্দ উদ্দীপনা তার জীবন থেকে প্রত্যাখ্যান করে একাকীত্ব জীবন যাপন করে, যার ফলস্বরূপ শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক ও স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এক জন মানুষ বিভিন্ন কারণেই হতাশা / বিষন্নতা ভোগ করতে পারে, যেমন উন্নতিতে বাধা, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হওয়া,যেকোন বিষয়ে ব্যর্থতা, আর্থিক সমস্যা, অপমানিত হওয়া, পারিবারিক অশান্তি, ইত্যাদি।
হতাশা, বিষন্নতা, মানসিক কষ্ট যে নামই বলুন এগুলো একজন মানুষের জীবন সম্পুর্ন ভাবে নষ্ট করে দিতে পারে।
বর্তমান যুগে বিজ্ঞান প্রচুর উন্নতি লাভ করেছ। এই উন্নতির কারনে মানুষের জীবন ধারায় অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের সমস্ত কাজকর্ম সহজ হয়ে উঠেছে, আজ আমরা যা কিছু ভোগ করছি তা আগের দিনের রাজ-রাজারও ভোগ করতে পারে নি। এগুলো সম্ভব হয়েছে শুধু মাত্র বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে। কিন্তু মানুষের সমস্ত প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি আবিষ্কার হলেও হতাশা বিষন্নতা দুর করবার কোনো কিছুই বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি। বরং বিজ্ঞানে উন্নত দেশ গুলোতে মানসিক সমস্যা বেড়ে চলেছে, ফল স্বরূপ ডিভোর্স, আত্মহত্যা ইত্যাদির পরিমাণ উন্নত দেশ গুলোতেই বেশি। তাহলে বোঝা যাচ্ছে হতাশা দুর করবার জন্য বিজ্ঞানে তেমন কোন বিশেষ ব্যবস্থা নেই। হতাশা দুর করতে হলে একমাত্র সনাতন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
এবং সনাতন জ্যোতিষ শাস্ত্রের পরামর্শ হতাশা দুর করতে সহায়ক হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী চন্দ্র মনের কারক, জন্ম কুণ্ডলীতে চন্দ্রের অবস্থান থেকে বোঝা যায় ব্যক্তি কতটা আবেগাপূর্ণ বা শক্তিশালী মনের অধিকারী। রাশিচক্রের প্রথম ভাব বা লগ্ন মস্তিষ্ককে উপস্থাপন করে। এবং রবি মস্তিষ্কের কারক গ্রহ। এই বিষয় গুলো মন ও মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। এছাড়াও বিভিন্ন জ্যোতিষীয় সমীকরণ রয়েছে যা মানুষের হতাশার কারণ হতে পারে।
এর মধ্যে কয়েকটি কারণ হলো....
জন্ম কুণ্ডলীতে শনির সাথে চন্দ্রের সম্পর্ক হলে বিষ যোগ সৃষ্টি হয়, এই যোগ মানুষের মধ্যে প্রচন্ড হতাশা বিষন্নতা সৃষ্টি কর।
যদি রাহু, মঙ্গল বা সূর্যের সাথে সম্পর্ক করে এবং
চন্দ্র অশুভ বা পিরিত অবস্থায় থাকে।
যদি চন্দ্রের আগের ও পরের ঘরে অর্থাৎ দুপাশে কোনো গ্রহ না থাকলে।
যদি রবি লগ্নে অবস্থান করে শনি দ্বারা সম্পর্কিত হয়
যদি রবি চন্দ্র রাহু সম্পর্কিত হয়।
হতাশা বিষন্নতা মানসিক চাপ কেন? এগুলো নিয়ে বেশি বিচার বিশ্লেষণ না করে, এর মূল বিষয় সমাধান করা উচিৎ। এর জন্য কিছু জ্যোতিষীয় প্রতিকার নিয়ে এসেছি এগুলো অনুসরণ করলে আপনি বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন।
১. রূপোর পাত্রে জল রেখে পান করুন।
এটি হতাশার জন্য সমস্ত আয়ুর্বেদ ও জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতিকারের সহজতম উপায়। রূপোর (silver) পাত্রে জল রাখলে চন্দ্র জলের শক্তি বৃদ্ধি করবে, চন্দ্র মনের ইতিবাচক চিন্তাভাবনা এবং শান্তি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
২. রৌপ্য অলংকার ব্যবহার করা।
হতাশার জন্য এটি বৈদিক সহজ জ্যোতিষের সহজ প্রতিকার। এমন অলঙ্কার বেশি ব্যবহার করুন যাতে জয়েন্ট কম থাকে যেমন বালা, আংটি ইত্যাদি। রৌপ অলঙ্কার অবশ্যই সোমবারে ধারন করবেন।
৩. ভগবান শিবের উপাসনা করুন।
ভগবান শিবের আরেক নাম সোমনাথ বা সৌম এর অর্থ হলো শান্ত, শিব লিঙ্গ সৌমের প্রতিক। ভগবান শিবের পুজো করে জল অর্পণ করলে হতাশা জনক পরিস্থিতি খুব সহজে দুর হবে। সোমবার উপবাস করলে আশ্চর্যজনক ফল পেতে পারেন।
৪. ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করুন।
ভগবান শিবের মন্ত্র ওম নমঃ শিবায় প্রতিদিন 108 বার জব করা হতাশাগ্রস্ত রোগীদের জন্য খুব কার্যকরী। ওম ধ্বনির সৃষ্টি তিনটি ধ্বনি বা শব্দ দ্বারা অ উ ম খেয়াল রাখতে হবে যেন তিনটি শব্দ সমান্তরাল ও স্পষ্টভাবে উচ্চারণ হয়। হতাশার জন্য এটি সুন্দর ও সহজ জ্যোতিষ পদ্ধতির প্রতিকার।
৫. মা এবং মাতৃতুল্য নারীদের সম্মান ও শ্রদ্ধা করুন।
শ্রদ্ধা মানুষকে বিনয়ী করে, ফলে সকলের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে, তাই অবশ্যই মাকে এবং মাতৃতুল্য নারীদের শ্রদ্ধা করতে হবে, তাদেরকে সেবার মাধ্যমে খুশী করে আশির্বাদ পার্থনা করতে হবে। সোমবার তাদের চিনি, দুধ, ফুল, সাদা রঙের বস্ত্র, এবং সাদা কোন মিষ্টি, সরবরাহ করুন। এতে চন্দ্রের শুভ প্রভাব বাড়বে আশ্চর্য জনক ফল প্রাপ্তি হবে।
6. ধ্যান অভ্যাস করুন। Meditation
ধ্যানই মনকে স্থির ও শান্ত করবার সর্বোত্তম উপায়, মন বায়ুর থেকেও বেশি চঞ্চল মনকে শান্ত না করতে পারলে মনে কখনই শান্তি আসবে না। যারা হতাশায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ধ্যান অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন ধ্যান অভ্যাস করলে শরীর, মন, বুদ্ধি ও আত্মার উন্নতি হয় এটি মনের হতাশা, দুশ্চিন্তা, দুর করে মনের শীতলতা প্রদান করে এছাড়া বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলি সমাধান করবার ক্ষমতা রাখে।
হতাশা হলো নেতিবাচক চিন্তা ভাবনার ফল আপনি নিয়মিত প্রচেষ্টায় মাধ্যমে এর থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। উপরোক্ত উপায় গুলো হতাশা থেকে বেরিয়ে আপনাকে হতাশা থেকে বেড়িয়ে আসতে সহায়তা করবে। যদি আপনি এই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন বা আপনি অন্য কারো মধ্যে এই সমস্যাটি প্রত্যক্ষ করছেন তবে এই বেদিক জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতিকার গুলি তাকে অনুসরণ করতে অনুপ্রেরিত করুন। আর আপনি যদি হতাশা থেকে মুক্তি পেতে কোন অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিতে চান তাহলে স্বনামধন্য বহু প্রশংসিত একাধিক পদক সহ, স্বর্ণপদক প্রাপ্ত জ্যোতিষী "ডঃ প্রদ্যুত আচার্য" আপনাকে সহযোগিতা করবে, তিনি নিয়মিত জ্যোতিষ চর্চা ও গবেষণা করে, মানুষের সমস্যাগুলি সমাধান করতে নিরলস ভাবে প্রচেষ্টা করে চলছেন।
যোগাযোগ +91 9333122768
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত প্রকাশ করুন